উত্তাল মিশর: মার্কিনীসহ ৪৩ জনের বিচারের ঘোষণা

মিশরে বেসামরিক সংস্থাগুলোকে অর্থ সাহায্য দিয়ে দেশটির চলমান বিক্ষোভকে উসকে দেয়ার অভিযোগে মার্কিন ও পশ্চিমা নাগরিকসহ মোট ৪৩ জনের বিচারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল। অভিযোগে তারা বলেছে, ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ করছে, তাদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিদেশী সংস্থাগুলো। অভিযুক্তদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক মন্ত্রী-পুত্রও রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ মার্কিন নাগরিকসহ বেশ কয়েকজন পশ্চিমা নাগরিক রয়েছেন। সামরিক কাউন্সিলের আনীত অভিযোগে বলা হয়েছে, মিশরে সংগঠনগুলো অবৈধভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে ও দেশটিতে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা এ অর্থ সাহায্য নিয়েছে।  মিশরকে অস্থিতিশীল করতে ও সেখানে অচলাবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। এ খবর দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এরই মধ্যে দেশটির বেশকিছু বেসামরিক সংস্থায় অভিযান চালিয়েছে সামরিক কাউন্সিল। এর মধ্যে রয়েছে গণতন্ত্রপন্থি ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বেশ কয়েকজন বিদেশী কর্মকর্তাকে মিশর ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যানবাহন বিষয়ক মন্ত্রীর ছেলেও রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিষয়টির যথাযথ ব্যাখ্যাও দাবি করেছে তারা।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মিশরীয় সরকারকে ওই এনজিও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিশর এখন জিম্বাবুয়ে ও ইথিওপিয়ার কৌশল অনুসরণ করে মতামত প্রকাশের পথকে বাধাগ্রস্ত করছে বলেও মন্তব্য করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। বিবিসি’র এক সাংবাদিক বলেন, এ ঘটনায় মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বছরের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে মিশর না এগোলে, দেশটি দেড় বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অর্থ সাহায্য হাতছাড়া করবে। গত সপ্তাহে এক ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ৭৪ জন নিহত হওয়ার পর নতুন করে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিকে টানা চতুর্থ দিনের বিক্ষোভের সময় এ ঘোষণা দিল মিশরীয় কর্তৃপক্ষ।




No comments

Powered by Blogger.