এক দশক পর জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন, কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি ও কংগ্রেস
অন্যদিকে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে রাজ্যটির আরেক গুরুত্বপূর্ণ শরীক মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে আবদুল গনি লোনের পিপলস কনফারেন্স, গুলাম নবী আজাদের ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টি এবং আলতাফ বুখারির আপনি পার্টি। এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। দলটি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বেশ কয়েকটি প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। পুলওয়ামার চারটি, শোপিয়ানে দুটি, কুলগামে তিনটি, অনন্তনাগে সাতটি, কিশতওয়ারে তিনটি, ডোডায় তিনটি এবং রামবান ও বানিহালে দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে জম্মু অঞ্চলের ৮টি ও কাশ্মীরে ১৬টি নির্বাচনী আসনে ভোট চলছে। পুলওয়ামা নির্বাচনী এলাকাগুলির মধ্যে একটি যেখানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই আসনে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন পিডিপি যুব নেতা ওয়াহেদ উর রহমান পারা। তিনি ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাবেক অভিজ্ঞ মহম্মদ খলিল ব্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পারা কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ইউএপিএ-এর অধীনে একটি মামলায় জামিনে রয়েছেন। ৭৩ বছর বয়সী খলিল ব্যান্ড এর আগে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। আসনটি পিডিপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে দলটি এবার কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়েছে। কেননা দলটির সামনে এবার শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াতের প্রার্থী তালাত মজিদ। জামায়াত ইঞ্জিনিয়ার রশিদের আওয়ামী ইত্তেহাদ পার্টির সাথে জোটে করে এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৪টি আসনে মোট ২৩ লাখ ২৭ হাজার ভোটার দেবেন। যার মধ্যে ১১ লাখ ৭৬ হাজার পুরুষ এবং ১১ লাখ ৫১ নারী ভোটার। বিধানসভা ডোডা, কিশতওয়ার, রামবান, অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, কুলগাম এবং শোপিয়ান জেলার বিধানসভা কেন্দ্রে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
No comments