'এবারের কাশ্মীরের নির্বাচন সম্মান ও সমাধানের জন্য'

প্রায় এক দশক পরে আবার বিধানসভা ভোট হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সেপ্টেম্বরের ১৮, ২৫ এবং অক্টোবরের ১ তারিখ- মোট তিন দফায় ভোট হবে উপত্যকায়। তার আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে  নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেন পিপলস্‌ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি। সাংবাদিক বৈঠকে পিডিপি প্রধান বলেন, “আমার কাছে এ বারের নির্বাচন কেবল রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি বা আসন সমঝোতার জন্য নয়। আমাদের লক্ষ্য আরও বড়। আমরা সম্মান ও সমাধানের জন্য লড়াই করছি।”

এ বারের নির্বাচনী ইস্তাহারে পিডিপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হবে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা এ বারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনিও জানিয়েছেন, ভোট মিটলেই বিধানসভায় ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করা হবে। ২০১৪ সালে যখন শেষবার সেখানে বিধানসভা ভোট হয়েছিল, মেহবুবার দল তখন জোট বেঁধেছিল বিজেপির সঙ্গে। তার পিতা প্রয়াত মুফতি মহম্মদ সৈয়দ তখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ২০১৬ সালে পিতার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী হন মেহবুবা এবং ২০১৮ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে প্রাথমিক টালবাহানার পর কাশ্মীরে বিজেপিকে রুখতে এক ছাতার তলায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  কংগ্রেস এবং ন্যশনাল কনফারেন্সে। সূত্রের খবর, বুধবার রাতেই ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা হয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের। সেখানেই তাঁরা একসঙ্গে লড়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছেন। আসন সমঝোতার প্রাথমিক সূত্র বলছে, কংগ্রেস কাশ্মীর উপত্যকায় ১২টি আসনে লড়তে চায়। বদলে ন্যাশনাল কনফারেন্সের জন্য জম্মুতে ১২ আসন ছাড়তে রাজি হাত শিবির। আসলে কাশ্মীরের দুই অংশে দুই দল শক্তিশালী। কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের ঘাঁটি, তুলনায় দুর্বল কংগ্রেস। আবার জম্মুতে শক্তিশালী হাত শিবির। তুলনায় দুর্বল ন্যাশনাল কনফারেন্স। দুই শিবির একসঙ্গে লড়লে বিজেপি তথা এনডিএ কড়া টক্কর দেওয়া যাবে।

সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

No comments

Powered by Blogger.