কলকাতায় ডাক্তার ধর্ষণ: হত্যা মামলা সিবিআইতে
মামলাটি সিবিআইয়ে স্থানান্তরের আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সে একজন স্বেচ্ছাসেবক। ঘন ঘন তাকে ওই হাসপাতালে দেখা যেতো। নিহতের পিতামাতা পিটিশনে বলেছেন, অন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কোনোই পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অন্যদিকে পরিষ্কার তথ্যপ্রমাণ মিলেছে যে, তাদের কন্যাকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই অপরাধ একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। তারা পিটিশনে আরও জোর দিয়ে বলেছেন যে, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তখনকার অধ্যক্ষ ও অন্য অংশীদারদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব ছিল তাদের। মামলাটি সিবিআইয়ে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট হাসপাতাল প্রশাসন, বিশেষ করে সাবেক অধ্যক্ষ ড. সন্দ্বীপ ঘোষের কড়া সমালোচনা করেছে। আদালত প্রশ্ন রেখেছে, একজন ডাক্তারকে মৃত অবস্থায় পাওয়ার পর পুলিশে কেন অভিযোগ দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধানের পদ ত্যাগ করেন ড. ঘোষ। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে অন্য একটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। নিহত ডাক্তারের পিতামাতা অভিযোগ করেছেন তাদের মেয়ের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে তড়িঘড়ি করে।
এই হত্যায় অন্যদের জড়িত থাকাকে আড়াল করতে মিথ্যা ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। হাইকোর্টে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেছেন, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং দু’জন নারী ডাক্তারের উপস্থিতিতে নিহতের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তাতে স্বাক্ষর করেছেন নিহতের মা। রাজ্য পুলিশও দাবি করছে যে, তারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট শেয়ার করেছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ময়নাতদন্ত করে তা ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে, যাতে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না ওঠে। এই ভিডিও নিহতের পরিবারকে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট মামলা সিবিআইতে স্থানান্তর করার পর এখন তা সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে রয়েছে। সিবিআইয়ের টিম এই মামলা তদন্তে তিনটি গ্রুপ করেছে। একটি গ্রুপ সেমিনার হল পরিদর্শন করবে, যেখানে ওই ডাক্তারের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। অন্যদল অভিযুক্তকে আদালতে তুলবে। এবং তার রিমান্ড চাইবে।
তৃতীয় দলটি কলকাতা পুলিশের সঙ্গে মামলার তদন্তে সমন্বয় করবে।
No comments