দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল হয়েছে বুধবার। ফার্স্টলেডি কিম কিওন হি’র স্টক জালিয়াতির একটি অভিযোগে একজন প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবের শুনানিতে পার্লামেন্টারি কমিটিতে এ ঘটনা ঘটে। সিউল নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট প্রসিকিউটর অফিসের সিনিয়র প্রসিকিউটর কিম ইয়ং-চোল, অন্য প্রত্যক্ষদর্শী, ফার্স্টলেডি এদিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না। এই শুনানি থেকে রাজনৈতিক সুফল পাওয়ার চেষ্টা করছে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি) এমন সমালোচনা করেছে ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি)। বার্তা সংস্থা ইয়োনহোপের রিপোর্টে আরও বলা হয়, পিপিপি’র প্রতিনিধি সং সিউওগ-জুন বলেছেন, অভিশংসন ছাড়া কি প্রসিকিউটরকে শাস্তি দেয়ার আর কোনো উপায় নেই? আমাদের তো অ্যাক্ট অন ডিসিপ্লিনারি অব প্রসিকিউটরস আছে। এই আইনের অধীনে একজন প্রসিকিউটরকে বরখাস্ত করা সহ নানাবিধ ব্যবস্থা নেয়া যায়। তিনি আরও বলেন, এই শুনানি করে এবং অভিশংসন প্রস্তাব সামনে এনে সময়ক্ষেপণ করে লেজিসলেশন এবং বিচারবিভাগ সময় নষ্ট কেন করছে তা বুঝতে পারছি না। পার্লামেন্টারি কমিটির চেয়ারম্যান চুং জুং-রাই জোর দিয়ে বলেন- জাতীয় পরিষদ আইন অনুযায়ী এটা একটা মানসম্মত প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে তিনি ফার্স্টলেডি এবং যেসব ব্যক্তি এই শুনানিতে উপস্থিত হননি তাদের সবার বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ ফাইল করার প্রতিশ্রুতি দেন। শুনানিতে ২০ জন সদস্যকে তলব করা হয়েছিল।
তার মধ্যে শুধু লিম ইউন-জিওং, যিনি ডাইজিওন ডিস্ট্রিক্ট প্রসিকিউটরস অফিসের সিনিয়র প্রসিকিউটর, তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে যে, যেহেতু অভিযোগের সঙ্গে ফার্স্টলেডির যোগসূত্র আছে, তিনি ডয়েচ মটর্স এনকরপোরেশন ইনকরপোরেশনে ম্যানিপুলেট করেছেন- তাই যথাযথ তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন কিম।
কিম এবং অন্য তিনজন প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ডিপি। দলটির সাবেক নেতা লি জায়ে-মিউংসহ অনেকের বিরুদ্ধে নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ওই প্রস্তাবের ফলে এসব দুর্নীতি তদন্ত শুরু হয়। এ ছাড়া আছে বেআইনিভাবে উত্তর কোরিয়াকে আন্ডারওয়্যার প্রস্তুতকারক কোম্পানি সসাঙ্গবাঙ্গউল গ্রুপের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর অভিযোগ আছে। সম্প্রতি এন্টি করাপশন অ্যান্ড সিভিল রাইটস কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা মারা যান। তা নিয়েও দুই দল প্রচণ্ড হট্টগোল করে।
No comments