বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশ

বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি রিজার্ভ সংকট মোকাবিলা ও ঝুঁকি এড়াতে রপ্তানি আয় দ্রুত দেশে আনতে বলা হয়েছে। 'বৈদেশিক মুদ্রার দেশীয় ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার ভঙ্গি ও ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাকক্ষে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান ও আহসান উল্লাহ এবং ফরেন রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্টের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রাতারাতি অনেক ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ওই সব দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্যে সাবধানতা অবলম্বন আবশ্যক। কেননা বিদেশি ব্যাংকের এলসি গ্যারান্টির বিপরীতে রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যাক টু ব্যাক এলসি এখানকার কোনো ব্যাংক দিয়ে থাকে। দেখা গেল পণ্য রপ্তানির পর ওই বিদেশি ব্যাংকটি বন্ধ হয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে ওই রপ্তানির অর্থ তো দেশে আসবেই না বরং ব্যাক টু ব্যাক এলসির অর্থও খেলাপি হয়ে পড়বে। তা ছাড়া দেশীয় ব্যাংকগুলো রপ্তানি আয় দ্রুত দেশে না আনলে তার পাওনা-সংশ্লিষ্ট ওই ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে পড়লে ওই অর্থও আর ফেরত আসবে না। তাই রিজার্ভ সংকট মোকাবিলা ও ঝুঁকি এড়াতে রপ্তানি আয় দ্রুত দেশে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সর্বোচ্চ মেয়াদ ১২০ দিন। তবে ব্যাংকগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব তা দেশে আনতে বলা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.