আনারকলি, সারারায় আভিজাত্যের ঠমক by তানভীর সোহেল

গুলশান-বনানীবাসী ​​ঈদের কেনাকাটায় ভিড় জমাচ্ছেন আড়ং,
আলমাস, খাজানাসহ নামীদামি সব ব্র্যান্ডের দোকানে৷ গতকাল
গুলশান-বনানী ​এলাকা থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো
গুলশান, বনানী ও বারিধারা—রাজধানীর অভিজাত এলাকা। এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের বেশির ভাগই উচ্চবিত্ত শ্রেণির। রাজধানীর অন্যান্য এলাকার তুলনায় তাই এখানে ঈদের কেনাকাটার ধরনটাও আলাদা। দামি পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে দামি অলংকার, জুতা, ব্যাগ কেনেন এখানকার বাসিন্দারা।
গতকাল রোববার এই এলাকাগুলোর কয়েকটি শপিং মল ও শোরুম ঘুরে দেখা গেল, ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন পোশাক আনা হয়েছে। তবে এখনো ক্রেতাদের ভিড় সেভাবে শুরু হয়নি। কয়েকটি শোরুমের বিক্রয়কর্মীরা বললেন, এই এলাকায় সাধারণত রাতে মানুষ বেশি কেনাকাটা করতে আসে। তবে ঈদের বাজার বলতে যা বোঝায়, তা আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে।
কয়েকজন ফ্যাশন ডিজাইনার বললেন, বিত্তবানদের কথা মাথায় রেখে এখানে পোশাকের ডিজাইন করা হয়। কিছু পোশাক তৈরিই করা হয় উচ্চবিত্তদের জন্য। এগুলো সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে। তাঁরা জানালেন, এ ধরনের একটি পোশাকের দাম দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা বা তারও বেশি।
ফ্যাশন ডিজাইনার ঋতু বারীও এবারের নতুন ধরনের পোশাক সম্পর্কে জানালেন। তিনি বললেন, বিয়েতে কনেরা যে ধরনের পোশাক পরেন, সেই ধরনের পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে এবার মেয়েদের ঈদ পোশাকের কথা ভাবা হয়েছে। এগুলো বিয়ে বা যেকোনো উৎসবেই তাঁরা পরতে পারবেন। তিনি বললেন, শিফন কাপড় ও নেটের ওপর সুতা ও পাথরের কাজ করে এই পোশাকগুলো তৈরি করা হয়েছে। দাম পাঁচ লাখ টাকার ওপরে।
কয়েকটি অভিজাত ফ্যাশন হাউসের বিক্রয় কর্মকর্তারা জানালেন, অভিজাত বা উচ্চবিত্ত মেয়েদের কাছে এবার ফ্লোর টাচ গাউন, লং গাউন, আনারকলি, সারারা নামের পোশাকগুলোর চাহিদা বেশি। এর পাশাপাশি এবার লং কোটি ফ্লোর টাচ গাউনের চাহিদাও অনেক। এগুলোর দাম ১০ হাজার টাকা থেকে তিন লাখ টাকার মধ্যে। লেহেঙ্গা ১৫ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে। তাঁরা জানালেন, দামি পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে লং কামিজও কিনছেন অনেকে। এগুলোর দাম ৪৮ হাজার টাকার মধ্যে।
নাবিলা ফ্যাশন হাউসে কেনাকাটা করতে আসা স্কলাস্টিকা স্কুলের ‘এ’ লেবেলের শিক্ষার্থী অনিন্দিতা অরিন বললেন, তাঁর পছন্দ লং কামিজ। তবে ঈদের দিন রাতে পার্টির জন্য একটি গাউনও কিনবেন। দিনের বেলা কামিজ পরবেন। তবে যদি বন্ধুরা মিলে ঈদের দিনে লংড্রাইভে যান, তাহলে জিনস ও শার্ট পরার ইচ্ছা তাঁর।
নারীদের কাছে শাড়ির চাহিদাই বেশি। মায়াসির, খাজানা, আলমাসের সঙ্গে ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে শাড়ি এসেছে প্রচুর। ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যে এক্সক্লুসিভ শাড়িগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এর চেয়ে কম দামেও শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।
আর পুরুষদের কাছে এবার পাঞ্জাবি ও মোদি কোট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মোদি কোট ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। শার্ট ও পাঞ্জাবির ওপর পরার জন্য পৃথক কোট রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.