মঠবাড়িয়া-বড় মাছুয়া স্টিমারঘাট সড়ক: খানাখন্দে বেহাল দশা নদীতে একাংশ বিলীন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া-বড় মাছুয়া স্টিমারঘাট সড়কটির
দুই কিলোমিটারে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি
বড় মাছুয়া সড়কের মল্লিক বাড়ি এলাকা থেকে তোলা
নদীভাঙন ও খানাখন্দে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া-বড় মাছুয়া স্টিমারঘাট সড়কের বেহাল অবস্থা। ১০ কিলোমিটার সড়কটির মঠবাড়িয়া খাদ্যগুদাম থেকে পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের খানবাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটারে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বড় মাছুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় সড়কটির একাংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বড় মাছুয়া স্টিমারঘাটের যেতে এই সড়কটি উপজেলা সদরসহ সাত-আটটি ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র ভরসা। বড় মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া, চর ভোলমারা, দক্ষিণ বড় মাছুয়া এবং বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠাখালী ও কালিরহাট গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগের মাধ্যমও এটি। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির সংস্কারকাজ ঠিকাদার এক বছর আগে শুরু করলেও কাজ শেষ না করে ফেলে রেখেছেন।
গত ২৮ জুন সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌরসভার দক্ষিণ বন্দর এলাকায় খাদ্যগুদাম থেকে পশ্চিম মিঠাখালী খানবাড়ি পর্যন্ত সড়কে ১৫টির বেশি ছোট-বড় গর্ত। গর্তে বৃষ্টির পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। খানাখন্দের কারণে সড়কটি দিয়ে যান চলাচল করতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। এ ছাড়া বড় মাছুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় বলেশ্বর নদের ভাঙনে ৫০০ মিটার সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বোতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বশির আহমেদ বলেন, তিন বছর ধরে সড়কটির অবস্থা খারাপ। এক বছর আগে ঠিকাদার সড়কটির কয়েক স্থানে ইটের খোয়া ফেলে পরে আর কাজ করেননি।
পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সড়কটির মঠবাড়িয়া খাদ্যগুদাম থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ২ মে মেসার্স স্বর্ণা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর কার্যাদেশ পায়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ওই বছর কাজ শুরু হয়নি। এরপর গত বছরের জুলাইয়ে কাজ শুরু হয়। কিছু কাজ করে ২০ লাখ টাকার বিল তুলে নেন ঠিকাদার।
জানতে চাইলে ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটি সংস্কার করার জন্য রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের তহবিলে টাকা না থাকায় কাজ শুরু করেও শেষ করা যায়নি। ৪০ লাখ টাকার কাজ করে ২০ লাখ টাকার বিল পেয়েছি। অর্থবরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করব।’
সওজ পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বে বলেন, ঠিকাদারকে কাজ শুরু করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.