মার্কিন কারাগার থেকেই জন্ম আইএস-এর

২০০৯ সালের মার্চ৷ কুয়েত সীমান্ত লাগোয়া শহর গার্মায় মার্কিন সেনা পরিচালিত ক্যাম্প বুকা কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় কয়েকশ বন্দিকে। ইরাক যুদ্ধবন্দিদের এই কারাগারে রাখা হয়েছিল। দেশটিতে অন্যতম কুখ্যাত কারাগার হিসেবে পরিচিত ছিল এটি৷ প্রায় এক লাখ বন্দি ছিল এখানে৷ তাদের মুক্তির পর বন্ধ হয়ে যায় বুকা৷ কয়েক বছর পর ওই দিন জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল কারও ছেলে, ভাই বা বাবা৷ সেই দিন আনন্দে-উল্লাসে চিৎকার করে ওঠেছিলেন তারা৷ কিন্তু এই উল্লাসে আড়ালে লুকনো ভয়াবহতার আঁচ পেয়েছিলেন স্থানীয় পুলিশ প্রধান সাদ আব্বাস মাহমুদ। জেলের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিশকর্মী বলেছিলেন, ‘এরা বাগানে ফুলের পরিচর্যা করেনি। তারা রাস্তায় রাস্তায় খেলা দেখিয়েও বেড়াবে না৷ মুক্ত এই বন্দিদের ৯০ শতাংশই আবার যুদ্ধে ফিরবে৷’ তিনি আরো বলেন,‘এটি মুক্তি কত বিপজ্জনক হতে পারে ইরাক সরকার তা বুঝতে পারছে না৷ আগামী দিনে এই সমস্যা কত বড় হয়ে দেখা দেবে তার আঁচ পাচ্ছে না প্রশাসন৷’ এর কিছুদিনের মধ্যেই তার আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়।  ক্যাম্প বুকাকেই এখন মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)- এর পীঠস্থান বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আইএস-এর অধিকাংশ নেতাই এই কারাগারে বন্দি ছিল। আইএস-এর প্রধান নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির সঙ্গে অন্যান্য নেতাদের এই কারাগারেই পরিচয় হয়৷ তার পর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে ধারণা৷ক্যাম্প বুকার কারাগার বন্দিদের জিহাদি হিসেবে গড়ে উঠতে মদত করেছিল৷ এভাবেই গড়ে ওঠে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস৷

No comments

Powered by Blogger.