গণতন্ত্র রক্ষায় দলবাজি ছাড়তে হবে: ড. কামাল

গণতন্ত্র রক্ষায় দলবাজি ছাড়তে হবে, তাই দলবাজি ছেড়ে সবাইকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন সংবিধান প্রণেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে  স্বাধীনতা প্রজন্ম বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সভায় স্বাধীনতা প্রজন্ম বাংলাদেশের সভাপতি এস এম সায়মন কামালীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ। কামাল হোসেন বলেন, “গণতন্ত্রকে যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক না কেন, গণতন্ত্রকে নিয়ে মানুষের ভুল বুঝার কোনো অবকাশ নেই। তাই গণতন্ত্র রক্ষায় দলবাজি ছেড়ে সবাইকে জাতীয় ঐক্যে গড়ে তুলতে হবে।”   জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে যারা বিজয় দিবস ছিনিয়ে এনেছিল তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৬ ডিসেম্বর দলবাজি ছেড়ে গণতন্ত্র রক্ষায় ও দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে জাতীয় ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ বিতর্কিত নির্বাচন জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। ড. কামাল বলেন, “দেশজুড়ে এখন বৈষম্য চলছে। রাজউক গ্রাম উজার করে উপরতলার লোকদের জন্য জায়গার তৈরি করছে। সুন্দর সুন্দর নাম দিয়ে প্লট হচ্ছে। কিন্তু ঢাকার ৫০ শতাংশ মানুষই বস্তিবাসী।” তিনি বলেন, “কালো টাকার মালিকদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তাদের অনেকেই দুই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।” দেশের সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এই সরকারের কথায় কোনো যুক্তি নেই, বিএনপির কথার ভিত্তি নেই।” তিনি বলেন, “১ নভেম্বর সারা দেশে যে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছিল, সে সম্পর্কে সরকারের মন্ত্রী বলেছেন ভারতের দিক থেকে কোনো সমস্যা ছিল না, সমস্যা ছিল আমাদের দিক থেকে। কিন্তু কি সমস্যা ছিল তার সঠিক ব্যাখ্যা তিনি আজও দিতে পারেননি, যা অযৌক্তিক। আবার বিএনপি বলেছে তাদের জনসভা প্রচার না করার জন্যই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করেছে। যা একেবারেই ভিত্তিহীন।” প্রধান দুই দল দেশে মিথ্যার চাষ করছে এমন মন্তব্য করে মান্না বলেন, “এদের কারো কাছেই গণতন্ত্র নিরাপদ নয়।” আসিফ নজরুল বলেন, “৫ জানুয়ারির মতো ভুয়া নির্বাচন খালেদা জিয়া ও এরশাদ সরকারের সময়ও আমরা দেখেছি কিন্তু তারা সেটাকে সুষ্ঠু বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালায়নি। যে ঘৃণ্যকাজ আওয়ামী লীগ করছে।” তিনি বলেন, “এই সরকার একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে তার পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করছে। একজনকে শুধুমাত্র শার্ট পরিয়ে সুসজ্জিত মানুষ বললে যেমন দেখায় এই সরকার গণতন্ত্রকে এমনই রুপ দিয়েছে।”

No comments

Powered by Blogger.