মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়তে হবে : ড. কামাল

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতে জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়ে সংবিধান প্রণেতা এবং গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে ভিন্ন মত থাকবে, ভিন্ন ভিন্ন দলও থাকবে। তবে নিজেদের বিবেক দ্বারা কোনটা করতে হবে কোনটা করা যাবে না তা নির্ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যের মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর আন্দোলন এবং ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতা প্রজন্ম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত গণতন্দ্র ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ড. সুকমল বড়–য়া, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ।স্বাধীনতা প্রজন্ম বাংলাদেশ সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক এসএম সায়মন কামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. কামাল হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, তার মূল স্তম্ভ হলো গণতস্ত্র। আমাদের মনে রাখতে হবে জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। তিনি বলেন, ইতিহাসের মৌলিক বিষয় নিয়ে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছেন, তার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বির্তক করা উচিত নয়। রেসকোর্স ময়দানে তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়েছিল। তা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। দেশের স্বার্থে সব দ্বিধাভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈষম্য মুক্ত দেশ গড়তে হবে।বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান কখনো অস্বীকার করা যাবে না। সেই রাষ্ট্রনায়কের অনেক ভুল থাকতে পারে। কিন্তু এজন্য রাষ্ট্রনায়ককে হত্যাই কি একমাত্র সমাধান ? স্রোতে গা না ভাসিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করতে হবে এবং স্বাধীনতার চেতনায় নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে। আর তখনই গণতন্ত্র মজবুত হবে। তিনি বলেন, দুই রাজনৈতিক দল বা দুই জোট কারও হাতেই দেশ নিরাপদ নয়। এ দুটি রাজনৈতিক দলই এক রকম। তবে তারা যদি ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তাহলে কোনো কথা নেই।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বর্তমান সরকারের সবচেয়ে ভালো কাজ স্বীকার করে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, দেশের সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হমলার বিচার দ্রুত করা হোক।

No comments

Powered by Blogger.