শুভ হোক নতুন বছর

পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গেল আরেকটি বছর। কালের মাঝে বিলীন হয়ে গেল ২০১৩ সাল। ঘটনাবহুল ১৩ নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত। বছরটিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল সংঘর্ষ। একে একদিকে সহিংসতার বছর বলা যায়, অন্যদিকে ভালো খবরও রয়েছে বছরটিতে। আমরা নানা আন্দোলনও দেখেছি। শাহবাগের গণজাগরণ, শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন; উপঅন্যদিকে ছিল বিরোধী দলগুলোর তত্ত্বাবধায়কের জন্য আন্দোলন। তবে এসব আন্দোলনে অনেক সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে। ২০১৩ সালে বাঙালির আরেকটি বড় অর্জন হলো একাত্তরের ঘৃন্যতম ব্যক্তি কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা। অন্যদিকে এ বছর আমরা হারিয়েছি অনেক গুণী ব্যক্তিকে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, চলচ্চিত্রের নবাব সিরাজদৌল্লাহ খ্যাত আনোয়ার হোসেন, খালেদ খানসহ অসংখ্য ব্যক্তিকে। তাদের স্মরণ করি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে। এরপরই আমরা পেলাম ২০১৪ সাল। আমরা চাই না ২০১৩ সালের মতো হোক ২০১৪। আশা করব, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ বছরের মতো অটুট রেখে, শান্তি ফিরে আসবে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ প্রত্যাশায়।
ইমরান হোসেন এমি
সাধারণ সম্পাদক, আনোয়ারা সাহিত্য সংসদ, চট্টগ্রাম
শিক্ষকদের ভোগান্তি দূর করুন
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত গেজেট প্রকাশ হয়নি। সরকার অতি শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে। যারা সর্বশেষ নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তারাও এ গেজেটের আওতাভুক্ত। এখন পর্যন্ত তারা স্থায়ী হননি। জানা গেছে, বর্তমান গেজেট প্রকাশ হলে এই গেজেট বলেই তারা স্থায়ী হয়ে যাবেন। তাদের স্থায়ীকরণের জন্য মাত্র কিছু তথ্য প্রয়োজন, যা প্রতিটি স্কুলেই সংরক্ষিত আছে। একাধিকবার তাদের থেকে এ তথ্য ডিডি ও ডিজি অফিসে পাঠানো হয়েছে। যে কোনো অফিসিয়াল প্রয়োজনে যা অফিস নিজ দায়িত্বে সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে। অথচ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ডিডি অফিসগুলোতে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তার সহায়তায় স্থায়ীকরণের নামে তাদের থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাই তারা শুরু করেছেন ফাইল চালাচালি। কাগজপত্রের তেলেসমাতি। তাদের যুক্তি হলো, আমাদের ডিডি অফিসের কাজ শেষ করে ডিজিতে গিয়ে কাজ করিয়ে নিতে খরচ বাবদ তারা এ টাকা নিচ্ছেন। তাহলে ডিডি ও ডিজি অফিসের কাজ কী? তারা কি উপরি পাওনা দিয়ে চলে, না সরকার তাদের বেতন দেয়? যদি আমাদের টাকায় আমাদের কাজ করতে হয়, যদি সত্যিকারে করিয়ে নেওয়ার এ রকম কোনো ব্যবস্থা থাকে যে, এটা মাউশির রুটিন ওয়ার্কের মধ্যে পড়ে না, তাহলে আমরা ডিজি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করছি, লিখিতভাবে আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে জানিয়ে দিন।
আয়শা ইসলাম, কানিজ ফাতেমা জয়িতা পাল, নিশাত জাহান
সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা বিভাগ
মহিলা কলেজ চাই
শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি আর উজানভাটির এক অপূর্ব ভূমি কিশোরগঞ্জ জেলার স্বনামধন্য তাড়াইল উপজেলা। এই উপজেলার প্রায় ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬টি মাদ্রাসা, ১৪টি স্কুল থাকলেও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনার জন্য মাত্র একটি মহাবিদ্যালয় রয়েছে। তাছাড়া উপজেলায় দুটি বালিকা বিদ্যালয় থাকলেও নেই নারীদের জন্য পৃথক কোনো কলেজ। শিক্ষাজীবনের পাট চুকে যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার পরপরই। আর তাই এলাকার নারী শিক্ষার দ্বার প্রশস্তকরণে অন্তত একটি বালিকা মহাবিদ্যালয়ের বিকল্প নেই। এ মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথক জায়গা বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদির প্রয়োজন নেই, শুধু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা ও সামান্য উদ্যোগই এ মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত হতে পারে। উপজেলায় যে দুটি বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে তার অন্যতম একটি হাজী গোলাম হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, সমাজহিতৈষী হাজী গোলাম হোসেনের (মহাজন) একক প্রচেষ্টায় ১৯৮৩ সালে দুই একর ৬৮ শতাংশ জমির ওপর এ বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বিষয় হলো, অবস্থানগত গুরুত্ব, অবকাঠামোগত দৃষ্টিকোণ থেকে এই বালিকা উচ্চবিদ্যালয়টি এ উপজেলার নারী শিক্ষার দাবি মেটাতে বালিকা মহাবিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা রাখে।
মনিরুজ্জামান খান তপন
তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ

No comments

Powered by Blogger.