ট্রাফিকের হট্টগোল এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি by অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী

ডেনমার্কের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে পাওয়া গেল মোটরগাড়ির হর্ন, সাইরেন এবং অন্যান্য ট্রাফিক নয়েজের জন্য স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, বিশেষ করে বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে। ৫১০০০ অধিক ড্যানিশ লোকের মধ্যে রোড ট্রাফিক হট্টগোলের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্বন্ধ গবেষণা করে দেখা গেল, গোলমাল ১০ ডেসিবেল প্রতিবার বেড়ে গেলে স্ট্রোকের


ঝুঁকি বাড়ে ১৪%। ৬৫ উর্ধ ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ল ২৭ %। স্বাভাবিক কথোপকথনে শব্দের মাত্রা হলো ৬০ ডেসিবেল, গোলমাল ৬০ ডেসিবেলের বেশি হলে ঝুঁকি বাড়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে।
ডেসিবেলের একক হলো লগারিথমিক। তাই ৬০ ডেসিবেল গোলমাল ৫০ ডেসিবেল গোলমাল থেকে ১০ গুণ বেশি।
ইতোমধ্যে আরো গবেষণায় ট্রাফিক হট্টগোলের সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশ প্রমাণিত: হার্ট এ্যাটাক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। এই গবেষণায় ট্রাফিক হট্টগোলের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক দেখানো হলো।
এই গবেষণা থেকে যে পরামর্শ দেয়া যাবে তা হলো ট্রাফিকের হট্টগোলের মুখোমুখি যত কম করা যাবে জনগণকে তা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য হবে হিতকর। বলেন কোপেনহেগেনের ক্যান্সার এপিডেমিওলজি ইনস্টিটিউটের গবেষক মেট্টে সোরেনসেন। তবে জোরালো কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়নি, আরো গবেষণা চলছে।
শব্দ দূষণ
সেটে এবং সহকর্মীরা কোপেনহেগেনের ড্যানিশ নাগরিকের জীবনযাপন পর্যবেক্ষণ করেন চার বছর। এদের চিকিৎসা ইতিহাস, আবাসস্থল পরীক্ষা করেন, ট্রাফিক হট্টগোলের প্রভাব লক্ষ্য করেন। প্রায় ৩৫% লোকজন ৩৫ ডেসিবেলের ওপর ট্রাফিক হট্টগোলর মুখোমুখি হন। শব্দমান ছিল ৪০-৮০ ডেসিবেলের মধ্যে।
গবেষণারকালের মধ্যে ১৮৮১ অংশগ্রহণকারীদের হলো স্টোক।
গবেষকরা দেখলেন, জনগোষ্ঠীর যত স্ট্রোক হয় এর ৮% হয় ট্রাফিক হট্টগোলের কারণে। এদের মধ্যে ১৯% এর বয়স ৬৫ বা এর ওপর।
হট্টগোলের মুখোমুখি হলে বাড়ে রক্তচাপ। স্ট্রেসহরমোন মানে পড়ে এর প্রভাব। এ জন্য স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়া ট্রাফিকের হট্টগোলে ঘুমের হয় সমস্যা, এজন্যও বার্ডে স্ট্রোকের ঝুঁকি।
বয়স্কলোকের ঘুমের সমস্যা বেশি। আর এজন্য এদের স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেশি। এর একটি ব্যাখ্যা এখন পাওয়া যায়।

No comments

Powered by Blogger.