রাস লানুফ দখলে মরিয়া গাদ্দাফি বাহিনী

লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী বিদ্রোহীদের কাছ থেকে বিন জাওয়াদ পুনর্দখলের পর গতকাল সোমবার তেলবন্দর হিসেবে পরিচিত রাস লানুফ পুনর্দখলে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে। গত রোববারই তারা বিন জাওয়াদের একটি বড় অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। গতকাল তারা সাঁজোয়া যান নিয়ে রাস লানুফের দিকে অগ্রসর হয়। তাদের সহায়তা করতে বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। বিন জাওয়াদ ও রাস লানুফে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত ও ১০১ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বেনগাজির মিসরাতা এলাকায় ভারী কামানের গোলা নিক্ষেপের ফলে শিশুসহ ২১ জন মারা যান।
গত রোববার সন্ধ্যা থেকে বিন জাওয়াদের বিভিন্ন এলাকায় গাদ্দাফি বাহিনী বোমাবর্ষণ শুরু করে। এতে বিদ্রোহীরা সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হন। রাস লানুফের রাস্তাঘাটে এখনো বিদ্রোহীরা টহল দিলেও তাদের মধ্যে অতর্কিত বোমা হামলার আশঙ্কা কাজ করছে। স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছেন। রাস লানুফ থেকে পালানোর সময় এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, তাঁরা শুনেছেন গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী বাড়ি বাড়ি ঢুকে লোকজনকে গ্রেপ্তার করছে এবং অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে কর্নেল গাদ্দাফি ফ্রান্সের একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, আফ্রিকান ইউনিয়ন লিবিয়ার প্রকৃত ঘটনা পরিদর্শনের জন্য একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ পাঠাচ্ছে। গাদ্দাফি দাবি করেন, ওই কমিটির সদস্যরা এসে বুঝতে পারবেন, লিবিয়ার ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যা প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গাদ্দাফি বলেন, তিনি আফ্রিকান নেতাদের জানিয়েছেন, লিবিয়ার ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে সেখানে বড় ধরনের সমস্যা চলছে। তাঁর দাবি, লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
এদিকে জর্ডানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেলিয়াহ্ আল-খতিবকে জাতিসংঘ লিবিয়ায় বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে। পাশাপাশি সেখানে উদ্ধার ও পুনর্বাসনকর্মী পাঠানোর ব্যাপারেও জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.