সাংবাদিক মেহেদীর ভাইয়ের প্রশ্ন কার বিরুদ্ধে মামলা করবো by মরিয়ম চম্পা
ভাইয়ার অফিস থেকে তারা সহায়তা করার চেষ্টা করেছেন। এই অবস্থায় মেহেদীর অসহায় পরিবারের প্রতি কোনো বিত্তবান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দায়িত্ব নিলে হয়তো দুই সন্তান এবং স্ত্রী-বাবা-মা তারা মোটামুটি একটি স্বাভাবিক জীবন পেতেন। এবং আমার জন্য উপকার হতো। এর আগে পটুয়াখালীর হোসনাবাদ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মেহেদী অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা টাইমসে কর্মরত ছিলেন। ১৮ই জুলাই সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী ইমাম হোসেন ইমন জানান, ওইদিন অন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে থেকে পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েই সংবাদ সংগ্রহ করেন হাসান মেহেদী। বিকালে পুলিশের একটি এপিসি থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়া হচ্ছিল। এ সময় হাসান মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন। তার মুখ, গলা ও বুক ও শরীরে অসংখ্য ছররা গুলির চিহ্ন দেখা যায়। ঢাকা টাইমসের সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মেহেদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিটে কর্মরত ছিলেন। ঢাকায় তিনি কেরানীগঞ্জ এলাকায় পরিবারসহ থাকতেন। তার সাত মাস ও চার বছর বয়সী দুই কন্যা শিশু রয়েছে। ঢাকা টাইমস-এর নিউজ এডিটর দিদার মালিকি মানবজমিনকে বলেন, যেহেতু তার বাসা কেরানীগঞ্জে তাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে মেহেদী সেখানে ডিউটি করেন। এবং কিছুক্ষণ পরপর অফিসে আপডেট দিচ্ছিলেন। বিকাল ৪টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত তাকে ফোনে পাওয়া যায়। এ সময় সর্বশেষ তিনি জানান, একটি মৃতদেহ রাস্তায় পড়ে আছে। এরপর আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ফোনটি বারবার বন্ধ দেখাচ্ছিল। পরবর্তীতে আমরা ভেবে নেই হয়তো চার্জ ছিল না। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে তার সঙ্গে থাকা এক সাংবাদিক অফিসে বিষয়টি জানালে আমরা ছুটে যাই। মেহেদীর নিথর দেহ হাসপাতালে পড়ে থাকতে দেখি। তিনি বলেন, একজন সহকর্মী হিসেবে সে অত্যন্ত কর্মনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু এরকম একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমারই সহকর্মীর সঙ্গে ঘটবে এমনটা প্রত্যাশা করিনি। বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। আমরা অফিসের পক্ষ থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওর পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
No comments