দুই শিবিরেই দুশ্চিন্তা by আবদুল্লাহ আল মামুন ও হাবিবুর রহমান খান

টানা ৬০ দিনের অবরোধে দুশ্চিন্তায় পড়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের ধারণা ছিল আইনশৃংখলা বাহিনীর নেয়া কঠোর পদক্ষেপে অবরোধ থেকে পিছু হটবে বিএনপি। অন্যদিকে টানা অবরোধ ও থেমে থেমে হরতাল কর্মসূচিতে সরকার কিছুটা নমনীয় হয়ে ইতিবাচক সাড়া দেবে বলে ধারণা ছিল ২০ দলীয় জোটের। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী এবং দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সমাজ ও বিশিষ্টজনদের নেয়া নানা উদ্যোগের পরও অপরিবর্তিত রয়েছে অস্থিতিশীল অবস্থা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় নিয়ে সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান কর্মসূচি ২ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো দাবি আদায় করতে পারেনি তারা। সরকার আগের অবস্থানেই অনড়। সরকারের পক্ষ থেকে নাশকতার দায় ২০ দলীয় জোটের ওপর চাপানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী। সেই সঙ্গে প্রায় নিয়মিতভাবে কথিত বন্দুকযুদ্ধের শিকার হচ্ছেন অনেকে। সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপ এখনও অব্যাহত রয়েছে। এমন অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীরা অনেকটাই পর্যুদস্ত। টানা কর্মসূচিতে অনেকের মাঝে ভর করেছে ক্লান্তির ছাপও। তারপরও আন্দোলনে কোনো ফল ছাড়া পিছু না হটার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বিএনপি।
অন্যদিকে বারবার অভয় দিয়েও সরকার জনজীবন স্বাভাবিক করতে পারেনি। পেট্রলবোমা ও আগুনে মানুষের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। আমদানি-রফতানি, ব্যবসা-বাণিজ্য এক প্রকার বন্ধ। ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। দূর হয়নি মানুষের মধ্যে থেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। অথচ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহলের চাপ অব্যাহত রয়েছে সরকারের ওপর। এ অবস্থায় গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারকরা।
সরকারের দুশ্চিন্তার আরও কারণ, তারা ভেবেছিল খুব বেশি দিন কর্মসূচি টেনে নিয়ে যেতে পারবে না বিএনপি। তাই শুরুতে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা এক সপ্তাহের মধ্যে কিংবা শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু ২ মাস পর বাস্তবতা এই যে, ঢাকায় জীবনযাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটেনি। স্কুল-কলেজ সপ্তাহের ৫ দিনই বন্ধ থাকছে। শুক্র ও শনিবার হচ্ছে ক্লাস। এ নিয়ে অভিভাবকরাও রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।
যতটা সরকার আশা করেছিল ঢাকার বাইরের অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এখনও রাতে সব রুটে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে না। বিভিন্ন স্থানে নাশকতা অব্যাহত রয়েছে। সব ধরনের আমদানি-রফতানি এক প্রকার বন্ধ। এমনকি জেলা শহরগুলো থেকে ঢাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ খুবই কম। যে কারণে হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। যার প্রভাব পড়ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ওপর।
জানতে চাইলে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউ যে ভালো নেই সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় একটাই, তাহলো সমঝোতা। সমঝোতা শুধু দুই দলের মধ্যে নয়, সবাইকে নিয়েই হতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন নয়। ২০১৯ সালে হবে, না মধ্যবর্তী সময়ে হবে সে জন্য জনগণের মতামত নেয়া যেতে পারে। হাসিনা-খালেদার ইচ্ছায় তো হবে না, জনগণ কী চায় তাই করতে হবে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদার মতে, এ সমস্যার সমাধান রাজনীতিবিদদেরই করা উচিত। তিনি শুক্রবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। ফলে দেশ সব দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। তাহলে এখন কী করা উচিত- জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দু’পক্ষকেই ছাড় দিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হবে। এতে বোমা, সন্ত্রাস বন্ধ হবে, সৃষ্টি হবে একটা শান্তির পরিবেশ। তখনই আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগ : সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মনে করেছিলেন টানা অবরোধ-হরতাল পালন করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্লান্ত হয়ে পড়বে। জনগণও নাশকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ঘর থেকে বের হয়ে আসবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকলে জনজীবন স্বাভাবিক হতে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু নাশকতা কমে এলেও পুরোপুরি দূর হয়নি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঢাকার মানুষ গ্রামে যাচ্ছে না। আবার গ্রামের মানুষ ঢাকায় আসছে না। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মাঠে নেই। তাদের কোথাও কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেখা যাচ্ছে না।
সরকার নাশকতা দমনে আইনের কঠোর প্রয়োগের হুংকার দিয়ে যাচ্ছে। নাশকতার অভিযোগে বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হচ্ছে। অব্যাহত রয়েছে ক্রসফায়ার। দেশব্যাপী অসংখ্য পুরনো মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তারপরও কার্যকরভাবে বিএনপিকে নিবৃত্ত করা যায়নি। তারা দুই মাস ধরে অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। এ অবস্থায় মানুষের মৃত্যু এবং অর্থনেতিক ক্ষতিতে ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছে সরকারের হাইকমান্ড।
বর্তমান পরিস্থিতিকে জাতীয় সংকট হিসেবে অভিহিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এক প্রকার জাতীয় সংকট। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশের উন্নয়নের জন্য বড় বাধা। এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সবারই সমস্যা হচ্ছে। এর থেকে উত্তরণে আমাদের চিন্তা করতে হবে। এর আগে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেন, অবরোধ-হরতালের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের কৃষকরা। তারা পথে বসে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অবরোধ-হরতালে অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয় স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে মালামাল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করা যাচ্ছে না। যে কারণে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অবরোধ-হরতালে জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়া অস্বাভাবিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের ওপর রয়েছে নানামুখী চাপ। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা ক্রমাগত সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন। তারা সহিংসতা দূর ও স্থায়ী স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। এই পরিস্থিতিতে কয়েকটি দেশ ঢাকায় তাদের নাগরিকদের সতর্কভাবে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে। এর বাইরে সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী এবং দেশের ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
অচলাবস্থার দুই মাস অতিক্রান্ত হচ্ছে, তারপরও সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এ অবস্থায় সরকারের করণীয় কি- জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাচ্ছেন এর শান্তিপূর্ণ সমাধান। তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক সমস্যা, তাই এটা যাতে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা যায়, সে চেষ্টা রয়েছে। এ জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।
বিএনপি : নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে টানা দুই মাস আন্দোলন করে আসছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। সংকট নিরসনে চলছে দেশী-বিদেশী নানা উদ্যোগ। জাতিসংঘও সংকট নিরসনে তাগাদা দিয়ে আসছে। এসব নানামুখী চাপের পরও সরকার আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যত কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সরকারের এমন অনড় অবস্থানে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে ভাবিয়ে তুলেছে। তবে এমন ভাবনা থাকলেও চলমান আন্দোলনে কোনো ফল ছাড়া তা থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে তারা।
বিএনপির একটি অংশ মনে করছে, টানা দুই মাস আন্দোলনে অনেকের মাঝেই সৃষ্টি হয়েছে নানামুখী চিন্তা। আর কতদিন এভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে সারা দেশের অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার, নির্যাতন, কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যাসহ সরকার নানাভাবে চাপে রাখছে। সরকারের এসব নির্যাতন মোকাবেলা করে রাজপথে টিকে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ছে। আন্দোলন শুরুর পর সারা দেশে সক্রিয় নেতাকর্মীরা কেউ বাসায় থাকতে পারছেন না। অজ্ঞাত স্থান থেকে কর্মসূচি পালন করছেন। আত্মগোপনে থেকেও কেউ স্বস্তিতে নেই। সেখান থেকেও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে কর্মসূচি চালিয়ে গিয়ে অনেকেরই মাঝে ভর করেছে ক্লান্তির ছাপ।
সূত্র জানায়, এর পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মতো রসদও অনেক জায়গায় ঠিকমতো পাচ্ছে না। অর্থসহ অন্যান্য রসদ জোগান দিতে যেসব নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এদের অনেকেই এলাকায় ছেড়ে ঢাকায় নিরাপদে অবস্থান করছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার তাদের এলাকায় গিয়ে নেতাকর্মীদের খোঁজ ও আন্দোলন সমন্বয়ে কাজ করার নির্দেশ দিলেও তারা তা মানছেন না। এ নিয়ে তৃণমূল নেতারা বারবার চেয়ারপারসনের কাছে অভিযোগ করছেন। কিন্তু তারপরও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এলাকায় যাচ্ছেন না।
দলের নীতিনির্ধারকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে চলমান আন্দোলনে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হচ্ছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পরিবহন, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সব সেক্টরে নেমে এসেছে স্থবিরতা। নেতাকর্মীদের নামে গণহারে মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনসহ নানাভাবে হয়রানির বিষয়টিও তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। কিন্তু এমন বাস্তবতার পরও আন্দোলন যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে সেখান থেকে পিছু হটার কোনো উপায় নেই। একটা ফল নিয়েই এর পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে। না হলে নেতাকর্মীদের মনোবল আরও ভেঙে যাবে। ভবিষ্যতে তাদের ওপর আরও ভয়াবহ নির্যাতনও নেমে আসতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল থেকে আন্দোলন স্থগিত না করার চাপও রয়েছে। সব মিলিয়ে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, টানা দুই মাস যেভাবে দেশ চলছে তা খুবই দুঃখজনক। টানা আন্দোলন চলার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নেতাকর্মীদের মাঝে একটা ক্লান্তি বা হতাশার ছাপ আসতে পারে। এতদিনেও সরকার তাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত করছে না। এভাবে আর কতদিন চালাতে হবে এমন ভাবনাও কেউ কেউ করছেন। কিন্তু টানা দুই মাস কর্মসূচি চালাতে পারবে এমনটাও তো অনেকে ভাবেনি। অন্যদিকে সরকার বারবার সবকিছু স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। সারা দেশে সবকিছু স্থবির, আগুন জ্বলছে, এত বিপর্যস্ত অবস্থার মাঝেও সরকার দু’মাস টিকে রয়েছে এ জন্য তাদের ধন্যবাদ দিতে হবে।
তিনি বলেন, এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। দ্রুত এই সংকটের সমাধান হওয়া উচিত। দেশী-বিদেশী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সহসাই এসব উদ্যোগ আলোর মুখ দেখবে এমনটা ভাবছি না। তবে অন্ধকারের মাঝে কিছুটা আলোর রশ্মি দেখা যাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.