১৫ দিনে মারা যাচ্ছে একটি করে ভাষা

বিশ্বের ১১টি সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা হলো চাইনিজ, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, স্প্যানিশ, আরবি, পর্তুগিজ, রাশিয়ান, বাংলা, জাপানি, জার্মান ও ফরাসি। এই সব ক’টি ভাষায় কথা বলেন বিশ্বের অর্ধেক মানুষ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিশ্বে এত ভাষা থাকতেও হাতে গোনা কয়েকটি ভাষাতেই কথা বলেন ভুবনডাঙার মোট ৯৬ শতাংশ বাসিন্দা।
সবচেয়ে বেশি ভাষার আঁতুড়ঘর দু’টি দেশ। পাপুয়া নিউ গিনি, যেখানে ৮৫০টিরও বেশি ভাষা রয়েছে। অপরটি ইন্দোনেশিয়া, যেখানে ৬৭০টি ভাষা লোকমুখে ফেরে। মহাদেশের বিচারে বিশ্বের ১০০০টির মধ্যে ১৫ শতাংশ ভাষায় কথা বলা হয় দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায়, আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, এশিয়াতেও শতাংশের হিসাবে ৩০, সবচেয়ে কম ইউরোপে, সেখানে মাত্র ৩ শতাংশ।
এদের মধ্যে অনেক ভাষাই পরস্পরের সাথে সংযুক্ত। আবার অনেক ভাষা আছে যেগুলো একটি ভৌগোলিক অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষই ব্যবহার করতেন। বংশধরদের অভাবে সেই ভাষা শেষ হয়ে গিয়েছে। হাতের কাছে উদাহরণ রয়েছে, বাস্ক, উস্কারা। এই ভাষাগুলো বক্তার অভাবে হারিয়ে গিয়েছে।
প্রতিনিয়ত ভাষা ও ভাষায় শব্দের ব্যবহার পাল্টে যাচ্ছে। অনেক ভাষা অস্তিত্ব রক্ষায় অন্যের সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে খর্ব হচ্ছে ভাষার স্বাতন্ত্র্য। সমীক্ষা বলছে, প্রতি ১৫ দিনে একটি করে ভাষা মুছে যাচ্ছে পৃথিবীর বুক থেকে। কয়েকটি ভাষা অবশ্য সরকারি বদান্যতায় স্বমহিমায় ফিরেও এসেছে। যেমন ওয়েলশ, মাওরির মতো ভাষা সরকারি আনুকূল্য পেয়েছে। মাত্র দুই কোটি ৭৫ হাজার মানুষ মাতৃভাষায় কথা বললেও সেই ভাষাকে স্বমহিমায় বাঁচিয়ে রেখেছে আইসল্যান্ড। সূত্র : ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.