সাহিত্যালোচনা- রহস্যের পর্দা সরিয়ে দ্যুতিময় এমিলি ডিকিনসন by মনজুর শামস

মিলি ডিকিনসনকে যুক্তরাষ্ট্রের সেরা কবিদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৮৩০ সালের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অ্যামহার্স্ট শহরে তার জন্ম। বস্টন থেকে মাত্র ৫০ মাইল দূরের এ শহরটি তখন অ্যামহার্স্ট কলেজকে ঘিরে শিক্ষার এক প্রাণকেন্দ্র ছিল। তাদের পরিবার ছিল এলাকার সবচেয়ে প্রভাবশালী ও অনুকরণীয়।
তাদের বাড়িটির নাম ছিল 'দ্য হোমস্টিড', লোকে ম্যানসন বলেও ডাকত এটিকে। তখনকার মার্কিন মুলুকের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বৈঠকের স্থান হিসেবে বেছে নিত তাদের বাড়িকে, যাদের ভেতরে ছিলেন রাল্ফ ওয়ালডো এমারসনও, যদিও তার সঙ্গে এমিলির কোনো সাক্ষাৎ হয়নি বলেই ধরে নেয়া যায়।
ছোটবেলায় এমিলি নিজেকে মেধাবী ছাত্রী ও বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন হিসেবে প্রমাণ করেন। ছড়ায় ছড়ায় গল্প লিখে তিনি তার সহপাঠীদের আনন্দে মাতিয়ে রাখতেন। তার বাবা ছিলেন খুব কড়া ধাতের মানুষ। বাবা সম্পর্কে এমিলি বলতেন, 'একইসঙ্গে তার হূদয় ছিল খুব খাঁটি ও ভয়ঙ্কর'। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে তিনি এতটাই কঠোর ছিলেন যে, তাদের জন্য ওয়াল্ট হুইটম্যানের পড়াকেও খুবই গর্হিত বলে মনে করতেন। এমিলি ডিকিনসন তার বাবা এবং পরিবারের কর্তা-পুরুষদের কথা খুব মেনে চলতেন। দূরত্ব বজায় রেখে চললেও তিনি তার বাবাকে খুব শ্রদ্ধা করতেন। ছোটবেলায় নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে বলতেন, তিনি 'শ্রেষ্ঠ ছোট্ট মেয়েটি' হয়ে উঠতে চান। একই সঙ্গে তিনি তখন ছিলেন স্বাধীন সত্তার অধিকারী।
সমাজ জীবন থেকে স্বেচ্ছায় নিজেকে একাকিত্বের ঘেরাটোপে আটকে রেখে এক অস্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্যও তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। একেবারেই সাদামাটা ও নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েও তিনি প্রগাঢ় কাব্যসুষমার এমনসব লিখে গেছেন, কালের গণ্ডি পেরিয়ে এখনো যা পাঠককে চমৎকৃত করে। তিনি তার কবিতায় মন্ত্রোচ্চারণের মতো মাঝেমাঝেই অমরত্ব ও মৃতু্যকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং তা এক বিশিষ্ট কাব্যবৈশিষ্ট্যে বরিষ্ঠতা লাভ করেছে। তার ভিন্নধমর্ী জীবনাচার এক অলৌকিক আভা ছড়িয়েছে, যা থেকে তাকে ঘিরে অনেক কৌতূহল ও গুজবের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন তার চমৎকার সব কবিতার জন্য। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, ছোট্ট পরিসরে ঠাসা বুনটের শব্দবন্ধে আপাত স্ববিরোধিতা ও অনিশ্চয়তার আবহে রচিত তার কবিতার ভেতর এমন এক শক্তি রয়েছে যা নাড়া দেয়, উদ্বুদ্ধ করে। সাহিত্য-জীবনীকার লিন্ডাল গর্ডন সম্প্রতি এমিলির জীবন ও সাহিত্যকর্মের রহস্য উন্মোচনকারী প্রমাণিক তথ্য উদ্ঘাটন করে তার সাহিত্যকৃতিকে আরো উদ্ভাসিত করেছেন।
দুই শ বছর আগে জন্ম নেয়া প্রখ্যাত মার্কিন কবি এমিলি ডিকিনসন দীর্ঘদিন এক প্রহেলিকা হয়েই ছিলেন। একেবারেই নিভৃতচারী এই কবি সব সময় অন্যদের এড়িয়ে চলতেন। আর তাই তিনি যেখানে সারাটা জীবন কাটিয়েছেন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সেই অ্যামহার্স্টের শহুরে লোকেরা তার নাম দিয়েছিল 'দ্য মিথ'। শুনে মনে হতে পারে তার অস্তিত্ব নিয়েই গভীর সংশয় ছিল তাদের। তিনি নানদের মতো সাদা পোশাক পরতেন। ঐ এলাকার খুব কম মানুষেরই তাকে এক পলক দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। জীবদ্দশায় তার মাত্র দশটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল।
১৮৮৬ সালে মৃতু্যর পর একটি কাঠের সিন্দুক থেকে তার আরও কয়েক শ কবিতা আবিষ্কৃত হয়েছিল। সেই থেকে তার রহস্যময় জীবনকে ঘিরে নতুন এক লোককাহিনী লতিয়ে উঠতে থাকে। খুবই মর্মস্পর্শী তার সেই জীবন-কাহিনী। মৃতু্যর পর উদ্ধারকৃত তার সেসব কবিতায় ব্যর্থ প্রেমের গস্নানি বয়ে বেড়ানো, দুনিয়াদারির ওপর একেবারেই বীতশ্রদ্ধ এক নারীর করুণ আর্তি ফুটে উঠেছে, মানুষের অনুভূতিকে যা ছুঁয়ে যায়, স্তম্ভিত করে।
রহস্যময়তার বাতাবরণে থেকেও তার কবিতাগুলো খুবই হূদয়গ্রাহী। কবিতাগুলোর প্রচণ্ডতা এবং সন্ধিযোগ্য শব্দাংশকে সন্ধি না করে প্রয়োগের অদ্ভুত রীতি পাঠককে বিস্মিত করে। যতিচিহ্নের ক্ষেত্রে ডিকিনসনের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ছিল তার ড্যাসের (_) ব্যবহার, যা একই সঙ্গে শব্দবাহুল্য বর্জনের ও অজ্ঞেয়তার ইঙ্গিতবহ। কবির মনের ভেতর কিছু একটা যে ঘটে চলেছিল তা অাঁচ করা যায় তার কবিতায় 'আমার মগজে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া', জীবন্ত আগ্নেয়গিরির মতো 'প্রচণ্ড দৈহিক খিঁচুনি' ইত্যাদি শব্দ চয়নের কারণে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া বিশিষ্ট সাহিত্য-জীবনীকার ও পণ্ডিত লিন্ডাল গর্ডন তার 'লাইভস লাইক লোডেড গান' বইটিতে এমিলি ডিকিনসনের নির্মোহ ও নিঃসঙ্গ জীবনযাপনের এক নতুন ও পূর্ণাঙ্গ প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। তার পরিবেশিত তথ্য অনুযায়ী ডিকিনসন তার কবিতায় যে রহস্যময় শব্দ 'এটি' ব্যবহার করেছেন তা মূলত তার জন্মরোগ মৃগীকেই নির্দেশ করে। তার চাচাত ভাই এবং তার ভাইপোকেও মৃগী রোগের এ তীব্র যন্ত্রণা সইতে হয়েছে। এ রোগটিকে উনিশ শতকের এক কলঙ্কতিলক বলেই গণ্য করা হয়ে থাকে। এ বছরেরই (২০১০) ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রেও তা প্রকাশ করা হয়।
ডিকিনসন এক অজানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন_এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। কিন্তু গর্ডনই প্রথম প্রমাণ হাজির করে দেখান যে, ডিকিনসনের চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে যে ওষুধ নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তা সে সময় মৃগী রোগে অজ্ঞান হয়ে গেলে ব্যবহার করা হতো। ডিকিনসন বাইরে তেমন একটা
বেরুতেনই না। এর কারণও ঐ মৃগীরোগ। কারণ তিনি জানতেন, যে কোনো মুহূর্তেই তার ভেতরে এ রোগ চাগিয়ে উঠতে পারে। তার নানদের মতো একেবারেই সাধারণ সাদামাটা জীবনযাপন বেছে নেয়াকে বিচার করতে হবে সে সময়ের মার্কিন সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখেই। যুক্তরাষ্ট্রে তখন মৃগী রোগীদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ ছিল। কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে তো আইন পাস করেই তাদের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এমিলি ডিকিনসনের কাব্য-সুষমায় আপাত রহস্যময়তার পেছনে তার চিকিৎসাগত বাস্তবতা এবং শরীর-বহির্ভূত অভিজ্ঞতার এক বড় ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে হয়। তা সত্ত্বেও মৃগী রোগ তার সৃজনশীলতা ও প্রচলিত নিয়মবহির্ভূত দৃষ্টিভঙ্গির একমাত্র উৎস নয় কিছুতেই। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই তার চমক-জাগানিয়া স্বাধীন সত্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর প্রমাণ মেলে ধমর্ীয় পুনরুত্থানবাদী সগোত্রীয়দের প্রতি তার নতজানু হতে অস্বীকৃতি জানানোর দৃঢ়তায়। কবিতা হয়ে উঠেছিল তার অনিয়ন্ত্রণযোগ্যকে নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়। যে অল্প কয়েকজন পাঠকের সঙ্গে তিনি পাণ্ডুলিপির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন সেখানেও তার মাধ্যম ছিল কবিতা।
এই কবির সুখ্যাত আধ্যাত্মিকতার শেকড় যদি সত্যিই তার দেহকে ঘিরে বিস্তার লাভ করে থাকে তবে তা তার ঘরোয়া জীবনেও বিস্তৃত ছিল। এ ক্ষেত্রে গর্ডন যে তথ্য প্রকাশ করেছেন তা বরং যতটা ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে আরো বেশি যৌনতায় আচ্ছন্ন। ধার্মিক, সম্মানিত ও মেধাদীপ্ত ডিকিনসনরা ছিল আমহার্স্টের সবচেয়ে নামকরা পরিবার। কিন্তু তাদের বদ্ধ দ্বারের আড়ালে লুকিয়ে আছে বেপরোয়া যৌনতার রগরগে কাহিনী এবং জঘন্য ব্যভিচার, যা বাবার মৃতু্যর পর জন্ম নেয়া এ কবির খ্যাতিতে প্রভাব ফেলে থাকতে পারে।
এমিলি ডিকিনসন তার অবিবাহিত বোন ল্যাভিনিয়ার সঙ্গে যে জাঁকালো বাড়িটিতে থাকতেন তার নাম 'দ্য হোমস্টিড'। 'এভারগ্রিন' নামের পাশের বাড়িটি ছিল তার ভাই অস্টিনের পারিবারিক বাসভবন। তার ভাবির নাম ছিল সিউ। এমিলির খুবই অন্তরঙ্গ ছিলেন তিনি। এমিলি তার বেশির ভাগ কবিতাই লিখেছেন তাকে উদ্দেশ করে। কিন্তু আমহার্স্টে ম্যাবেল লুমিস টড আসার পর তাদের এই স্বর্গীয় উদ্যান তছনছ হয়ে যায়। এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের তরুণী স্ত্রী ছিলেন এই ম্যাবেল। সুরেলা কণ্ঠের, শিল্পবোধসম্পন্ন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ম্যাবেল অত্যন্ত সুকৌশলে ডিকিনসনদের জীবনকে প্রভাবিত করেন। ১৮৮২ সালে তিনি এমিলির ভাই অস্টিনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। অস্টিন ম্যাবেলের স্বামী টডকে পেশাগত পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে এই সম্পর্ক আরো প্রগাঢ় করেন। এ প্রেমিক যুগল মনে করতেন তাদের এই আবেগঘন সম্পর্ক এতটাই বিশিষ্ট যে স্বাভাবিক নীতি আর সেখানে প্রয়োগ করা চলে না। স্বভাবতই অস্টিনের প্রত্যাখ্যাত স্ত্রী সিউয়ের জীবনটা পযর্ুদস্ত হয়ে পড়ে আর এরই পরিণতিতে শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলতেই থাকে।
ম্যাবেল অস্টিনকে কব্জা করাকেই যথেষ্ট মনে করলেন না। নিজের জন্য নিভৃতিও গড়তে চাইলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এমিলির সঙ্গে তার কখনো দেখা হয়নি। ম্যাবেল যখনই তাদের বাড়ি 'দ্য হোমস্টিডে'র দরজা দিয়ে ঢুকতেন তখনই এমিলি সটকে পড়তেন। এই প্রেমিক যুগল প্রায়ই এ বাড়ির ডাইনিংরুমকে গোপনে মিলিত হওয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করতেন। সেখানকার ঘোড়ার লোমের কালো সোফায় তারা একনাগাড়ে দুই-তিন ঘণ্টা প্রণয়লীলায় মেতে থাকতেন।
এমিলি যে কক্ষটিতে বসে লেখালেথি করতে অভ্যস্ত ছিলেন সেখান থেকে বাধ্য হয়েই বেরিয়ে যেতে হতো তাকে। ঐ কক্ষের ঠিক ওপরতলায় গিয়ে আশ্রয় নিতেন তিনি, যেখান থেকে নিচতলার সবকিছুই স্পষ্ট শোনা যেত। পরবতর্ীতে ম্যাবেলের বংশধরেরা অস্টিনের সঙ্গে তার প্রেমকে খুবই সুন্দর এক রোমান্স হিসেবে প্রচার করতে থাকেন। কিন্তু এমিলির কানে সেসব কথা তেমন একটা যায়নি বলেই মনে হয়। ম্যাবেলের সঙ্গে তিনি দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন, কিন্তু তিনি তার কবিতা ও নোটগুলো লিখে যেতেন, যেগুলো পরিপূর্ণ থাকত শেক্সপিয়রীয় ট্র্যাজেডির মতো ধ্বংসাত্মক যৌন বিকৃতির বর্ণনায়।
ম্যাবেল খুব দক্ষতার সঙ্গে ডিকিনসন পরিবারকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেন। কিন্তু নির্মম পরিহাস হচ্ছে এমিলি ডিকিনসন বেঁচে থাকতে একমাত্র এই ম্যাবেলই তার মেধা ও মৌলিকত্ব শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। এমিলির মৃতু্যর পর ম্যাবেল দৃঢ়তার সঙ্গেই এ মত পোষণ করতে থাকেন যে, তার কবিতাগুলো মানুষের পড়া উচিত আর তাই তিনি এই কবিতাগুলো সম্পাদনা, প্রকাশ ও প্রচারের পেছনে ব্যস্ত রাখেন। এসব করতে গিয়ে এমিলির যতিচিহ্ন ব্যবহারের নিজস্ব রীতিটাকে জবরদস্তি চালিয়ে প্রচলিত ধারায় ফেলে তিনি কবিতাগুলোর মৌলিকত্ব ক্ষুণ্ন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এই প্রখ্যাত কবির নিজস্ব অনুভূতিজাত দৃষ্টিভঙ্গিকেও পাল্টে দিয়েছেন, যা লিন্ডাল গর্ডন তার এমিলি ডিকিনসনের নতুন এই জীবনীগ্রন্থে খুবই দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন।
সুপরিচিত এক কবির ওপর নির্দিষ্ট করে মত প্রকাশ করা এবং তার জীবন-ইতিহাস সম্পূর্ণ নতুন করে লেখা কোনো সাহিত্য জীবনীকারের জন্য সত্যিই এক বিরল ঘটনা। চমকজাগানিয়া এ বইটি সাহিত্যজগতে যে আলোড়ন তুলেছে তা এক বিপস্নবের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এরই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় বিদগ্ধ সাহিত্য-পাঠকেরা আরো বছরের পর বছর এমিলি ডিকিনসনের কবিতা পড়তে থাকবে। তার কবিতায় প্রচলিত ধারণার বৈপরীত্য বেশ স্পষ্ট। যেমন_
'গুটিয়ে যাবার আগে জীবন আমার দুবার থেমেছিল।
তবুও তখনো দেখার বাকি ছিল
আমার জন্য অমরত্ব
তৃতীয় ঘটনা হয়ে দাঁড়ায় কিনা,
দুবারের সেই ঘটনাগুলো ছিল
ভীষণ-বিশাল আর চরম নৈরাশ্যময়
বিদায় বলতে আমরা কেবল স্বর্গকেই বুঝি,
আর আমাদের দরকার কেবলই নরক।'
এমিলি ডিকিনসন মৃতু্যর আগে এক চিরকুটে তার সমস্ত লেখা পুড়িয়ে ফেলার অনুরোধ রেখেছিলেন। কিন্তু ধন্যবাদ তার বোন ভিনিকে, যিনি তার অনুরোধ অগ্রাহ্য করে সেগুলো প্রকাশের পথ করে দিয়েছিলেন উত্তর প্রজন্মকে।
এমিলির দীর্ঘদিনের অন্তরঙ্গ বন্ধু টেরেন্স হিগিনসনের উৎসাহে ও সহযোগিতায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৯৩ সালে। এরপর খুব দ্রুতই দেশের প্রধান প্রধান পত্রিকা ও সাময়িকীতে তার কবিতা বেরুতে থাকে। এ সময় নিউইয়র্ক টাইমস এক নিবন্ধে দাবি করে খুব শিগগিরই এমিলি ডিকিনসন ইংরেজিভাষী অমর কবিদের মাঝে ঠাঁই পাবেন। বাস্তবে হয়েছেও তাই। আর এ বছর লিন্ডাল গর্ডনের 'লাইভস লাইক লোডেড গান' জীবনীগ্রন্থটি প্রকাশের পর তাকে ঘিরে সাহিত্যরসিকদের উৎসাহ এখন তুঙ্গস্পশর্ী।
==============================
বেগম রোকেয়াঃ নারী জাগরণের বিস্ময়কর প্রতিভা  শিক্ষারমান ও সমকালীন প্রেক্ষাপট  বিজয় দিবসঃ অর্জন ও সম্ভাবনা  একটি ট্রেন জার্নির ছবি ও মাইকেলের জীবন দর্শন  ডক্টর ইউনূসকে নিয়ে বিতর্ক  উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা  বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন  ক্ষুদ্রঋণ ও বাংলাদেশের দারিদ্র্য  শেয়ারবাজারে লঙ্কাকাণ্ড  মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার  শক্ত ভিত ছাড়া উঁচু ভবন হয় না  ট্রেন টু বেনাপোল  বনের নাম দুধপুকুরিয়া  নথি প্রকাশ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার অ্যাসাঞ্জের  ছিটমহলবাসীর নাগরিক অধিকার  শিক্ষা আসলে কোনটা  জীবন ব্যাকরণঃ হিরালি  ন্যাটো ও রাশিয়ার সমঝোতা ইরানের ওপর কি প্রভাব ফেলবে  জার্নি বাই ট্রেন  পারিষদদলে বলেঃ  চরাঞ্চলের ভূমি ব্যবস্থাপনা  সচেতন হলে শিশু প্রতিবন্ধী হয় না  স্মৃতির জানালায় বিজয়ের মাস  বিচারপতিদের সামনে যখন ‘ঘুষ’  কয়লানীতিঃ প্রথম থেকে দশম খসড়ার পূর্বাপর  শ্বাপদসংকুল পথ  মুক্তিযুদ্ধে গ্রাম  ১২ বছর আগে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে  চট্টগ্রাম ইপিজেডে সংঘর্ষে নিহত ৪  ড. ইউনূস : প্রতিটি বাংলাদেশির গৌরব  জলাভূমিবাসীদের দুনিয়ায় আবার..  আসুন, আমরা গর্বিত নাগরিক হই  স্মৃতির শহীদ মির্জা লেন  ইয়াংওয়ান গ্রুপের পোশাক কারখানা বন্ধ  ট্রানজিটে ১১ খাতের লাভ-ক্ষতির হিসাব শুরু  চট্টগ্রামের বনাঞ্চল ছাড়ছে হাতি  ট্রেন  স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি  মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের বিচার  মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশে দেশে  ক্ষমতা যেভাবে মানবাধিকার আর ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে


দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্যে
লেখকঃ মনজুর শামস


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.