আফগানিস্তানে আইনপ্রণেতা ও প্রার্থীদের বিক্ষোভ

আফগানিস্তানে গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন বাতিল এবং সেখানে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে দেশটির আইনপ্রণেতা ও প্রার্থীদের একাংশ বিক্ষোভ করেছে। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। এ বিক্ষোভ আফগানিস্তানে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের প্রাসাদ এবং জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে গতকাল রোববার বিক্ষোভরত আইনপ্রণেতা ও প্রার্থীদের একাংশের সঙ্গে কয়েক শ সাধারণ মানুষকেও যোগ দিতে দেখা গেছে। তাঁরা সেখানে সরকার ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিছিল করেন। মিছিলের সামনে ব্যানারে লেখা ছিল ‘আমরা ১৮ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করছি এবং সরকারকে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তালেবান জঙ্গিদের হুমকি সত্ত্বেও সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচন দেয় হামিদ কারজাইয়ের সরকার। গত অক্টোবরের শেষদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার কথা থাকলেও এখনো তা করতে পারেনি ইনডিপেনডেন্ট ইলেকশন কমিশন (আইইসি)। মোট ভোটের প্রায় এক-চতুর্থাংশকে আইইসি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাতিল করায় নির্বাচন-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। আইইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপিতে মদদ জোগানোর অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর ইনডিপেনডেন্ট ইলেকশন কমিশন জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত প্রদেশের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তাকে জালিয়াতির অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর এ বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর আফগানিস্তান-সম্পর্কিত নীতি পর্যালোচনা করার সময় এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া এ মাসেই লিসবনে ন্যাটোর যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেখানেও এ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.