সীতাকুণ্ডে শীতের সবজি চাষের ধূম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে শাকসবজি চাষের ধুম পড়েছে। শীতের আগেই বাজারে শীতকালীন সবজি বিক্রি করে বেশি লাভ করার চিন্তা মাথায় রেখেই তাঁরা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা এখন নানা ধরনের শাকসবজির চারা তৈরি ও জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার সীতাকুণ্ড পৌরসভা, বারৈয়াঢালা, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি ঢালুতেও ব্যাপকহারে সবজি চাষ হচ্ছে।
ইতিমধ্যে মুলা, লালশাক, তিতা করলা ও পালংশাক বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে কৃষকেরা বেশ ভালো দাম পাচ্ছেন।
গত মৌসুমে সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় তাঁরা এবার শীতের আগাম শাকসবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। এসব শাকসবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, তিতা করলা, টমেটো, ঢ্যাঁড়স, পালংশাক ও পুঁইশাক ইত্যাদি।
গত বুধবার বারৈয়াঢালা ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা ব্যাপকহারে শীতকালীন শাকসবজির চারা তৈরি ও রোপণের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। মহালংগা গ্রামের কৃষক অলি উল্যা প্রথম আলোকে জানান, যেকোনো শাকসবজি যদি মৌসুমের শুরুতে বাজারে তোলা যায় তবে তার দামও বেশি পাওয়া যায়।
পূর্ব সৈয়দপুরের গ্রামের নুর সোলেমান তাঁর জমিতে ছাউনি দিয়ে বেগুনের চারা তৈরি করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে চারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা যেমন কম থাকে তেমনি চারাও সতেজ হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা জানান, গত বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ জমিতে শাকসবজি চাষ হয়েছিল। এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.