দেশের ইপিজেডগুলোর রপ্তানি আয় বাড়ছে

দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) শিল্পকারখানার রপ্তানি আয় প্রতিবছর বাড়ছে। বিগত ১০ বছরে ইপিজেডের রপ্তানি আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইপিজেডগুলোর রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।
অবশ্য দেশের আটটি ইপিজেডের মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অবদান ৯০ শতাংশের বেশি।
বেপজা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে ইপিজেডগুলোর রপ্তানি আয় ছিল ৮৯ কোটি ডলারের কিছু বেশি। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২৪২ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে হয়েছে ৪৯ কোটি ৯১ লাখ ডলার।
জানা গেছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইপিজেডগুলোর মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ঢাকা ইপিজেডের আয় ছিল ১১৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের আয় ছিল ১১১ কোটি ৭২ লাখ ডলার।
অর্থাত্ ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের সম্মিলিত রপ্তানি আয় ২৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা ইপিজেডের মোট রপ্তানি আয়ের ৯২ শতাংশের বেশি।
বেপজা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের অন্যান্য ইপিজেডের মধ্যে কুমিল্লার নয় কোটি সাড়ে ৫৮ লাখ ডলার, উত্তরার দুই লাখ ৪০ হাজার ডলার, ঈশ্বরদীর সাত লাখ ৯০ হাজার ডলার, আদমজীর ছয় কোটি ডলার, কর্ণফুলীর তিন কোটি ৯১ লাখ ডলার ও মংলার ৭০ লাখ ৬০ হাজার ডলার আয় হয়েছে।
এ ছাড়া ২০০৯-১০ অর্থবছরে জুলাই-আগস্ট মাসে ঢাকা ইপিজেডে ২১ কোটি ১১ লাখ ডলার, চট্টগ্রামের ২৪ কোটি ৭১ লাখ ডলার, কুমিল্লার এক কোটি ৬৯ লাখ ডলার, উত্তরার এক লাখ ডলার, ঈশ্বরদীর দুই লাখ ৩০ হাজার ডলার, আদমজীর এক কোটি ৫০ লাখ ডলার, কর্ণফুলীর ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও মংলার আট লাখ ৪০ হাজার ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে।
দেশের ইপিজেডগুলোয় স্থাপিত শিল্প কারখানার মধ্যে রয়েছে ওভেন পোশাক, নিট পোশাক, টেরিটাওয়েল, তৈরি পোশাকের এক্সেসরিজ, কৃষিজাত পণ্য, রসায়ন ও রাসায়নিক সার, ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী, আসবাবপত্র, পাদুকা ও চামড়া, পাটপণ্য, গৃহ সাজসজ্জার সামগ্রী, প্রকৌশল কারখানা, সফটওয়্যার, চশমা, খেলনা, মেডিকেল ও বায়োলজিক্যাল, ওষুধ, প্লাস্টিক, অলংকার, বিমানের যন্ত্রপাতি, ল্যাবরেটরি সামগ্রী, মুদ্রণ ও প্রকাশনা, সংগীতবাদন যন্ত্রপাতি, খেলাধুলার সামগ্রী, ধাতব পণ্য, তাঁবু প্রভৃতি।

No comments

Powered by Blogger.