কর্নাটকের গভর্নরকে শেখ হাসিনার মতো পরিণতির হুঁশিয়ারি কংগ্রেস নেতার

ভারতে অনিয়ম, দুর্নীতির পরিণতি হিসেবে এখন বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাহরণ টানা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ৫ই আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে অজ্ঞাত স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। দেশে বিক্ষিপ্তভাবে সহিংসতা ও আগুন দেয়ার ঘটনায় ভারতীয় মিডিয়ায় নানা অপপ্রচার চলছে। অতি ডানপন্থিরা, বিশেষত ভারতের মিডিয়াগুলো প্রচারণা চালাচ্ছে যে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব রিপোর্ট যে মিথ্যা তা বিবিসি এরই মধ্যে প্রামাণ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে। ঘটনা যখন এমন তখন ভারতের রাজনীতিকদের মুখেই শেখ হাসিনার অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। তারা নিজেদের দেশে অনিয়ম, দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে অকপটে শেখ হাসিনার উদাহরণ টানছেন। কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা ইভান ডি’সুজা এমন উদাহরণ টেনেছেন। কারণ, মহিসুর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমইউডিএ) দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গভর্নর থাওয়ার চাদ গেহলটকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার স্ত্রীকে অনিয়ম করে জমি দেয়া হয়েছে।

অনলাইন এনডিটিভি বলছে, এ নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন গভর্নর। এজন্য তাকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে না নিলে তার পরিণতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো হবে বলে সতর্ক করেছেন ডি’সুজা। ইভান ডি’সুজা ম্যাঙ্গালোরে এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদি এমইউডিএ যদি গভর্নরকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে না নেয়, তাহলে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) মতো একই পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে তাকেও। গভর্নরকে পালিয়ে যেতে হতে পারে। উল্লেখ্য, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচার অনুমোদন করেছেন গভর্নর থাওয়ার চাঁদ গেহলট। এর প্রেক্ষিতে তাকে করুণ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেসের এই নেতা। তাতে তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিণতির সঙ্গে গভর্নরের পরিণতিকে এক সমান্তরালে নিয়ে এসেছেন। গভর্নরের এই উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। তিনি একে বেআইনি এবং কর্তৃত্বের বাইরে বলে দাবি করেছেন। সিদ্ধারামাইয়া আরও দাবি করেছেন এই বিচার এই মুহূর্তে তার সুনামের অপূরণীয় ক্ষতি করবে। উপরন্তু তাতে সরকারে বিঘ্ন ঘটবে। রাজনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। আদালত তাকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। আগামী ২৯শে আগস্ট তার বিরুদ্ধে শুনানির আগে কোনো ব্যবস্থা না নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অভিযোগে বলা হয়েছে এমইউডিএ জমি বরাদ্দ দিতে গিয়ে অনিয়ম করেছে। তাতে আরও বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে সিদ্ধারামাইয়ার স্ত্রী বিএম পার্বতীকে জমি দেয়া হয়েছে। এটা ঘটেছে সিদ্ধারামাইয়া যখন এর আগের মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। অধিকারকর্মীরা বলছেন, মহিসুরের ১৪টি প্রিমিয়াম সাইটের জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সিদ্ধারামাইয়ার স্ত্রীকে। এটা বেআইনি। এতে রাজ্যের ৪৫ কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.