ত্রিপুরায় বন্যা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২, কেন্দ্র ৪০ কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা অনুমোদন করেছে

লাগাতার ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে।  চার দিনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে। রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্রের মোদি সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন  ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহাকে ফোনে ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে অবগত করার পাশাপাশি বন্যা মোকাবেলায় আরও বেশি সংখ্যায় এনডিআরএফ কর্মীদের মোতায়েন করার আবেদন জানিয়েছেন মানিক সাহা।  কেন্দ্র বন্যা কবলিত ত্রিপুরার জন্য ৪০ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে। পানির স্তর  সামান্য কমলেও এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে হাওরা নদী। গোমতী নদীর অবস্থা শোচনীয়। ফুঁসছে মুহুড়ী, মনু, দেও, খোয়াইও। এর মধ্যেই আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। তাতেই প্রমাদ গুণছে রাজ্য প্রশাসন। ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা এবং উনকোটির মতো রাজ্যের ছয়টি জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিপুরার গোমতী জেলা। এ ছাড়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনকোটিতেও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে সাড়ে চারশোর বেশি ত্রাণশিবির গড়ে তোলা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। ত্রাণশিবিরে এই মুহূর্তে ৬৫,৪০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্য প্রশাসনের অনুরোধের পর অসম রাইফেলসের চারটি বাহিনী বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করা হয়। তারা বন্যার কারণে আটকে পড়া নাগরিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণে ত্রিপুরায় আজও বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল। অন্তত ২,০৩২টি জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে বিপর্যন্ত সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। একাধিক জেলায় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাতে পারছে না মৌসুম ভবনও । উল্লেখ্য, গোমতী জেলার গোমতী জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জলাধার ডম্বুর বাঁধ থেকে পানি  ছাড়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ সেই দাবি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ভারত।

সূত্র : এবিপি নিউজ

No comments

Powered by Blogger.