প্রতারণার অভিযোগে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে শিল্পপতি অনিল আম্বানি
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনিলসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে রিল্যায়েন্স হোম ফিনান্স সংস্থার তহবিল থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ঠিক ঐ সময়েই অন্তর্বর্তী নির্দেশে সেবি জানায় যে, “যতদিন না পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততদিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার তালিকাভুক্ত কোনও পাবলিক কোম্পানির পদেই থাকতে পারবেন না অনিল। তাকে ডিরেক্টর এবং প্রোমোটর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।”
অনিল এবং তার সংস্থা ‘রিলায়্যান্স হোম ফিনান্সের কয়েক জন কর্মকর্তা মিলে সংস্থার তহবিলের একাংশ তাদের ব্যবসায়িক সহযোগী কোম্পানিগুলির ‘ঋণ’ হিসাবে ‘ছদ্মবেশে’ অপসারণের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে সেবির রিপোর্টে জানানো হয়েছে। একটাসময় বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তির তালিকায় থাকা অনিল আম্বানি এইমুহূর্তে কার্যত দেউলিয়া। তাদের আর.কম-এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, রিল্যায়েন্স কমিউনিকেশন, রিল্যায়েন্স টেলিকম ও রিল্যায়েন্স ইনফ্রাটেলের ঋণ যথাক্রমে ৪৯ হাজার কোটি, ২৪ হাজার কোটি এবং ১২ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র : এনডিটিভি।
No comments