অবরোধের আগুন পণ্যবাজারে

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধে বিপর্যস্ত দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিঘ্নিত হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। তেল, ডাল, চাল, মসলাসহ মাছ, মাংস, মুরগির দাম ঊর্ধ্বমুখী। পণ্যভেদে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহন করায় খরচ বেড়েছে। বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে বাড়াতে হচ্ছে এসব পণ্যের দাম। অন্যদিকে সরবরাহ না থাকায় ফুরিয়ে যাচ্ছে মজুত। টানা অবরোধে রাজধানীতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নিত্যপণ্যবাজারে লেগেছে এর উত্তাপ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই দাম বাড়ছে বিশেষত সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এছাড়া সব ধরণের পচনশীল, কাঁচাপণ্যে দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। অবরোধ শুরুর আগে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৪৮৫ থেকে ৫০৫ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৫১৫ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে সমপরিমাণের তেলের দাম রাখা হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫২৫ টাকা। একই পরিমাণের তেলের দাম গলিপথের অতি খুচরা দোকানিরা রাখছে ৬০০ টাকা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। যোগাযোগ করা হলে রূপচাঁদা কোম্পানির একজন ডিলার মানবজমিনকে জানান, অবরোধে গাড়ি ভাড়া বেড়ে গেছে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। সে কারণে কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রতিলিটার তেলে তিন থেকে চার টাকা বাড়ানো হয়েছে। চাল সরবরাহকারীরা বলছেন, অবরোধের কারণে দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে চালসহ পণ্যবাহী কোন ট্রাক আসতে পারছে না। যে ট্রাকগুলো ছাড়ছে সেগুলো নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছে। বাড়তি ভাড়ার কারণে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে পাইকারি বিক্রেতারা। রাজধানীর পাইকারি চালের বাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। নাজির ও মিনিকেটের দাম ৪ টাকা বেড়ে যথাক্রমে ৫০ ও ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে আটাশ চাল ৪১ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তিন টাকা বেড়ে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গুটিস্বর্ণা চালের দাম ৩ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল ছাড়াও বেড়েছে মাংসের দাম। প্রতি কেজি ফার্মের মুরগি ১০ টাকা বেড়ে ১৩৫-১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির দর কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। খাসির মাংস ৩০ টাকা দাম বেড়ে ৬০০ টাকা। গরুর মাংসের দর ১০ টাকা বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হালি প্রতি ডিমের দাম ২ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। খোলা তেলের দর প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রসুনের দর ২০ টাকা বাড়লেও ১০০ টাকা বেড়েছে। চায়না আদা আগে ১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে হচ্ছে ২০০ টাকায়। কেজিপ্রতি মসুরের (দেশী উন্নত) ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, সাধারণ ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, বিদেশী সাধারণ ৮৮ থেকে ৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, সরবরাহ কম হওয়ায় খুলনায় নিত্যপণ্যের মধ্যে ভোজ্য তেল, পিয়াজ, রসুন ও কাঁচা মরিচের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দাম বেড়েছে অন্যান্য পণ্যের। অবরোধের আগে এসব পণ্যের যে দাম ছিল তার থেকে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকার বেশি দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। খুলনাসহ আশপাশের  যেসব জেলা থেকে পণ্য আসত  সেগুলো সময়মত আসতে না পারায় দাম বাড়ছে কাঁচা তরিতরকারির। খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৯৫ টাকা তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮ টাকা। দেশী মসুরের ডালের দাম ছিল ১শ’ টাকা, বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা। আমদানি করা মসুরের ডালের দাম ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৬ টাকা। তবে বাজারে সব থেকে বেশি সংকট  তৈরী হয়েছে পিয়াজ ও ভোজ্য তেলের। খুলনার বাইরে থেকে সড়ক পথে পণ্যবাহী ট্রাক, বাসসহ কোন পরিবহণ আসছে না।
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে জানান, অবরোধে ভোজ্য তেল, ডাল, চাল ও পিয়াজ, রসুন, আদাসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে সরবরাহ না থাকায় এসব পণ্য চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গ থেকে আমদানি করা হয়। এ কারণে এসব পণ্যের ঝুঁকি নিয়ে পরিবহণ করতে হয়। ময়মনসিংহের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোজ্য তেল লিটার প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা, মুসুরের ডাল প্রতি কেজি ১০ থেকে ১২ টাকা, পিয়াজ প্রতি কেজি ৫ থেকে ৬ টাকা দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে চাল ও চিনির দামও বেড়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, হরতাল অবরোধে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বরিশালে দাম বেড়েছে সব ধরনের মাংস ও শিশু খাদ্যের। দুই সপ্তাহেরও বেশি টানা অবরোধে বরিশালে আমদানি করা খাদ্যের মজুদ শেষ হতে বসেছে। এরই মধ্যে বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু  করেছে। গতকাল বাজার ঘুরে দেখো গেছে ১১০ টাকার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। অবরোধে গতকাল ৩২০টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। মাংস বিক্রেতারা জানান, এ অঞ্চলের গরু ভারত থেকে আসে। অবরোধের কারণে বেনাপোল থেকে গরুবাহী কোন ট্রাক আসছে না। একইভাবে পোল্ট্রি মাংশ যেমন ব্রয়লার, লেয়ার মুরগি আসে খুলনা/যশোর থেকে। গাড়ি না আসায় দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে বর্তমানে ডানো লেক্টোজেন সেরিল্যাক, এ্যাংকর, নিডো, বায়োমেল, মাদার এসমাইল, ডিপলোমা, রোডকাউ সহ নানান ব্যান্ডের শিশু খাদ্যে দাম বেড়েছে। কোন কোন ব্যান্ডের শিশু খাদ্যে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে। মিনি প্যাক টুথপেস্ট এখন বরিশালের বাজার থেকে হাওয়া। গত এক সপ্তাহ পর্যন্ত সরবরাহ না থাকায় মুদির দোকানে এ পণ্যটি এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। পিয়াজের দাম প্রতিদিনই ১ টাকা ২ টাকা করে বাড়ছে। ২২ টাকার পিয়াজ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। প্রতিটি ট্রাক অকিরিক্ত ১৫/২০ হাজার টাকায় আনতে হচ্ছে বলে জানান আড়তদার এনায়েত হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, অবরোধ ও হরতালের কারণে রাজশাহীতে আশাপাশের জেলা থেকে অধিকাংশ সময় ট্রাক আসছে না। যে ট্রাকগুলো ছাড়ছে সেগুলো দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে শ্যালো ইঞ্জিল চালিত ভটভটিতে করে রাজশাহীতে আশেপাশের জেলা থেকে সবজি ও চালের সরবারহ করা হচ্ছে। এতে পচনশীল দ্রব্যগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় অল্পদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে ঢাকা থেকে ট্রাক ও ট্রেনে তেল, ডালসহ নিত্য পণ্যের সরবারহ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। স্থানীয় বাজারে যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গতকাল মহানগরীর বাজারগুলোতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৮/১০ টাকা করে। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে ১/২ টাকা হারে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ফুলকপি ১০, বাঁধাকপি ১০ টাকা, শিম ২০, প্রতি  কেজি গাজর ২৫, বিভিন্ন রকম শাক ২০ থেকে ৩০, আলু ১০-১৩, বেগুন ১২, কাঁচামরিচ ১০, পিয়াজ ২৮/৩০, প্রতি হালি কলা ১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রায় সব ধরনের চালের দাম ৪/৬ টাকা হারে বেড়েছে। মিনিকেটের দাম ৬ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪/৪৮ টাকায়। গত সপ্তাহে আটাইশ চাল ৩৭ টাকা বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে দাম বেড়ে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ১০ টাকা। মসুর ডাল ১২০, মটোর ৭২/৮০, অ্যাঙ্কর ডাল ৪৫, খোলা আটা ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে জানান, রংপুরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক না থাকার অভিযোগে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। গতকাল শুক্রবার রংপুর সিটি বাজার, কামাল কাছনা বাজার, সিও বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে সরজমিনে দেখা যায় গত মাসে যে সয়াবিন তেল ৮৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো সেই সয়াবিন তেল বর্তমান বাজারে ১০৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই অবস্থা মসুর ডাল, আটাসহ বিভিন্ন পণ্যে। এসব পণ্যে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিক গাড়ি চলাচল না থাকার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পণ্য আসছে না।
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান: বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যশোরের নিত্যনৈমিত্তিক পণ্যের বাজার। গতকাল যশোরের পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ১০ থেকে ১২ টাকা, প্রতি কেজি গোল আলু ৮ থেকে ১০ টাকা, প্রতি কেজি ফুল কপি ৫-৬ টাকা, প্রতি পিচ বাঁধাকপি ৪-৫ টাকা, প্রতি কেজি সিম ৮-১০ টাকা, প্রতি কেজি পালং শাক ৬ -৮ টাকা, প্রতি কেজি লাল বা সবুজ শাক ১০-১২ টাকা, প্রতি কেজি মটরসুঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বেচা বিক্রি হয়েছে। কৃষকরা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে তাদের পক্ষে চাষাবাদ চালিয়ে নেয়া  অসম্ভব হবে পড়বে। অথচ খুচরা বাজারে এসব সবজির দাম হাকা হচ্ছিল কেজি প্রতি ৭-৮ টাকা বেশি দরে। এদিকে গতকাল যশোরের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস  বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে। যা কয়েক দিন আগেও ২৫০ টাকার মধ্যে বেচা কেনা হচ্ছিল। প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম গেছে ৫শ’ থেকে সাড়ে  ৫শ’ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি দেশী মুরগির দাম ছিল সাড়ে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৮০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ফার্মের মুরগির দাম যাচ্ছে  ২শ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। যার আগের দামের তুলনায় কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১ শ টাকা বেশি।
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান: টানা অবরোধে সরবরাহ কমে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন বাজারে চাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা করে বেড়েছে। জেলা শহরের পুরান থানা, বড়বাজার ও কাচারিবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল দুই সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলও। আলু, টমোটো, সিম, বেগুন, করলা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, পেঁপেসহ প্রায় সব ধরনের সবজি কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজিসহ সবধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। টানা অবরোধের কারণে পণ্য সামগ্রীর সরবরাহ কম থাকায় দু’একদিনের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে ক্রেতারা মনে করছে। পণ্যের স্টকও কমে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, পিয়াজ ও রসুনের দাম বেড়েছে। অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলেও যে কোন  সময় বেড়ে যাবে। পিয়াজের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়। ৮০-৮৫ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-৯৫ টাকায়। টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুনসহ শীতকালীন প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি ২থেকে ৫টাকা বেড়েছে।

No comments

Powered by Blogger.