রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিই যাবে ট্রাইব্যুনালে

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হতে পারে। আর সেই লক্ষ্যেই এই রায় লেখা শুরু হয়েছে। রায় লেখা শেষ হতে সপ্তাহখানেক বা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আপিল বিভাগ যেহেতু এখনও সংক্ষিপ্ত আদেশের কপি ট্রাইব্যুনালে পাঠাননি, সেহেতু হয়তো পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপিই পাঠাবেন। সেক্ষেত্রে সাজা কার্যকর কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে তার ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে ওইদিন সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করা হয়। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। রায় ঘোষণার পরের দিনেই কামারুজ্জামানকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত এই আলবদর নেতার ফাঁসির আদেশ বহাল থাকায় তাকে ফাঁসির কাষ্ঠেই যেতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর কত দ্রুত তার ফাঁসি কার্যকর হবে তা মূলত নির্ভর করছে আপিলের রায়ের অনুলিপি প্রকাশের ওপর। কারণ এর পরই কেবল ফাঁসি কার্যকরের অন্য ধাপ শুরু হবে।রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি দ্রুতই কার্যকর হয়ে যাবে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সব মহলে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্য ও তার আইনজীবীরা। রায়ের কপি প্রকাশের পর রিভিউ আবেদন দায়ের করা হবে এবং রিভিউ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর না করার আহ্বান জানান তারা।সর্বশেষ আইনমন্ত্রী শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের অনুলিপি কারাগারে না পৌঁছানো পর্যন্ত তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে না। রোববার নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, যখন ট্রাইব্যুনাল আপিল বিভাগের আদেশের কপি পাবে, তাদের দণ্ড বহাল থাকলে তখনই তারা মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবে। জেলখানায় সেটা যাবে। তখন আসামিকে জানানো হবে যে, আপনার দণ্ড বহাল রয়েছে এবং পরোয়ানা এসে গেছে। এরপর সরকারের আদেশে ফাঁসি কার্যকর হবে। এসব বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট যে, কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করতে হলে আগে আপিল বিভাগের রায়ের অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে (বিচারিক আদালতে) পৌঁছাতে হবে।গত বছরের ৯ মে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে কামারুজ্জামান আপিল করেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হওয়া ৫ অভিযোগের ওপর আপিল বিভাগ ৩ নভেম্বর রায় প্রদান করেন। মাত্র দেড় মিনিটে দেয়া আপিল বিভাগের এই সংক্ষিপ্ত রায়ে আসামি কামারুজ্জামানের আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হয়। আপিল বিভাগের ওই সংক্ষিপ্ত রায় পর্যালোচনায় দেখা যায়, রায়ে কামারুজ্জামানকে সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে সব বিচারপতি একমত হতে পারেননি।তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা এক নম্বর অভিযোগ একাত্তরে বদিউজ্জামানকে হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন দণ্ড দিলেও আপিল বিভাগ খালাস দিয়েছেন। দ্বিতীয় অভিযোগে শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে অমানবিক নির্যাতনের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ১০ বছরের সাজা বহাল রয়েছে। তৃতীয় অভিযোগে সোহাগপুর গ্রামে (বর্তমানে বিধবাপল্লীতে) গণহত্যা ও নারী ধর্ষণের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে। চতুর্থ অভিযোগে গোলাম মোস্তফাকে হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। সপ্তম অভিযোগে দারা ও টেপা মিয়াকে অপহরণ এবং পরে দারাকে হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রয়েছে আপিলের এই রায়ে।এই দণ্ড দেয়ার ব্যাপারে কোন বিচারপতি একমত হননি তা রায় ঘোষণার সময় জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এই জামায়াত নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ব্যাপারে বেঞ্চের অন্য বিচারপতিদের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তিনি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। রোববার থেকে এই বিচারপতি তার রায়ের অংশ লেখা শুরু করেছেন।মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পক্ষে রায় লেখা শুরু করেছেন বিচারপতি এসকে সিনহা। রায় লেখা শেষ হলে তা পাঠানো হবে ট্রাইব্যুনালে। এরপর ট্রাইব্যুনাল ওই রায়ের ওপর ভিত্তি করেই কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন। এর আগে যেমনটি করা হয়েছিল জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে।গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে কাদের মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দেন। প্রায় আড়াই মাসেরও বেশি সময় পর ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওই রায়ে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়ার পক্ষে একমত ছিলেন না বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। রায়ের কপি প্রকাশের পর ৮ ডিসেম্বর সেটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল সেদিনেই কাদের মোল্লার মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে আদেশটি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়।রায়ের কপি হাতে পেয়েই তার ফাঁসি কার্যকর করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে তখন জেল কোড অনুযায়ী রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ২১ দিনের আগে নয় ও ২৮ দিনের পরে নয় যে বিধান রয়েছে তা অনুসরণ না করেই ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের জন্য জেল কোডে প্রদত্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে আসামিপক্ষের উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে চেম্বার জজ ১০ ডিসেম্বরে ফাঁসির আদেশ স্থগিত করেছিলেন।কাদের মোল্লার পক্ষে দুটি রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল। ১১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানি হয়। ১২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি কেবল ঘোষণা দেন যে, বোথ দ্য ক্রিমিনাল রিভিউ পিটিশনস আর ডিসমিসড। রিভিউ আবেদন খারিজের দিন রাতেই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কিন্তু রিভিউ আবেদন কী কারণে খারিজ হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি আপিল বিভাগ। রিভিউ সংক্রান্ত রায়ের কপি এখনও প্রকাশিত না হওয়ায় আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে খারিজ করেছেন নাকি রিভিউ গ্রহণের আগেই খারিজ হয়েছে সেটি এখনও জানা যায়নি। তাই রিভিউ করা যাবে কি যাবে না তা নিয়ে আইনি তর্কের মীমাংসা হয়নি।একই কারণে কামারুজ্জামানের রায় রিভিউয়ের আবেদন নিয়েও অস্পষ্টতা কাটেনি। আরেক জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশের অনুলিপি প্রকাশ হলেই রিভিউ নিয়ে অস্পষ্টতা ঘুচবে বলে রোববার মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার অভিজ্ঞতা থেকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রায়ের কপি প্রকাশের পর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে বাকি প্রক্রিয়া শেষ হতে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সে অনুযায়ী চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী ডিসেম্বরের যে কোনো সময় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আমি চ্যালেঞ্জ করছি বাবা কোনো অভিযোগে জড়িত নয় : শেরপুরের সোহাগপুরের ঘটনার সঙ্গে কামারুজ্জামানের কোনো সম্পর্ক নেই বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তার ছেলে হাসান ইকবাল। সোমবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে কামারুজ্জামানকে নির্দোষ দাবি করে এই চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি। এ সময় কামারুজ্জামানের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, ভাই ও শ্যালক উপস্থিত ছিলেন।হাসান ইকবাল বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। সোহাগপুরের ঘটনার সঙ্গে আমার বাবার দূরতম সম্পর্ক নাই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমার বাবা সম্পূর্ণ নির্দোষ। অন্যায়ভাবে সাজানো অভিযোগে তাকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে। আমার বাবা কখনও সোহাগপুরে যাননি। এমনকি রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা ফর্মাল চার্জেও সোহাগপুর গণহত্যার সময় সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন মর্মে কোনো অভিযোগ নাই।তিনি বলেন, এই মামলায় মূল সাক্ষীর তালিকায় ৪৬ জনের নাম ছিল। তাদের মধ্যে ১০ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার পর নতুন করে তিনজন মহিলাকে অতিরিক্ত সাক্ষীর মাধ্যমে এসব অভিযোগে আনা হয়েছে। হাসান ইকবাল বলেন, স্বাধীনতার সময় সাক্ষীরা আমার বাবাকে চিনতেনও না। তাদের কথায় আমার বাবার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। এ রায় ন্যায়ভ্রষ্ট।তিনি বলেন, ২০১১ সালে সোহাগপুরের গণহত্যা নিয়ে সাংবাদিক মামুন-উর রশিদ উক্ত এলাকা পরিদর্শন করে সোহাগপুরের বিধবা কন্যারা নামে একটি বই প্রকাশ করেন। সেখানে অনেক সাক্ষীর সাক্ষাৎকার আছে। তাতে কেউ একবারের জন্যও বলেনি যে আমার বাবা এ ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান তালুকদারের ২০১১ সালের অনুপম প্রকাশনী মুক্তিযুদ্ধে নালিতাবাড়ী বইতেও আমার বাবার সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়নি। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় আমার বাবাকে জড়ানো হয়েছে। রিভিউ আবেদনে আশা করি তিনি খালাস পাবেন।কামারুজ্জামানের ছেলের বক্তব্য আদালত অবমাননাকর : মানবতাবিরোধী অপরাধী কামারুজ্জামানের ছেলের বক্তব্য আদালত অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য দম্ভোক্তি এবং শালীনতাবোধ বর্জিত। দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবালের সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কামারুজ্জামানের ছেলে যে কথাগুলো সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, এসব বক্তব্য তার আইনজীবীরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আদালতে উপস্থাপন করেছেন। এসব বক্তব্য বিবেচনা করেই আদালত তার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সর্বোচ্চ আদালত সম্পর্কে একজন যুদ্ধাপরাধীর ছেলের দম্ভোক্তি এবং শালীনতাবোধ বর্জিত বক্তব্য দুঃখজনক। এটা আদালতের নজরে আনবেন কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক সময় মানুষ পাগলের প্রলাপ বকে। সব পাগলকে তো আর আদালতের সামনে নিয়ে যাওয়া যায় না। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ব্যাপারে ক্ষোভ থাকলে তার প্রকাশ এ ধরনের হওয়া উচিত না। বিশেষ করে ন্যায়ভ্রষ্ট কথাটা তাকে কে শিখিয়ে দিয়েছে আমি জানি না। এটার সম্পূর্ণ অর্থ জেনেই বলা উচিত। অবশ্যই আদালতের প্রতি এ ধরনের বক্তব্য আদালত অবমাননাকর বলে উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে তিনি বলেন, দণ্ড কার্যকর হবে ২০(৩) ধারা মতে, সরকারের নির্দেশ অনুসারে। কাজেই সরকার যেভাবে সময় প্রদান করবে, সেভাবেই রায় কার্যকর হবে। তিনি বলেন, রিভিউ যদি কেউ করেনও সেই রিভিউয়ের জন্য দণ্ড স্থগিত থাকবে না। আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ দেয়ার আগ পর্যন্ত দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া কারা কর্তৃপক্ষ চলমান রাখবে।

No comments

Powered by Blogger.