মোশাররফের বিচারে তদন্ত কমিশন গঠিত

পারভেজ মোশাররফ
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার’ ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করেছে দেশটির সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে সাবেক এই সেনাশাসককে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়ায় আরও একধাপ অগ্রগতি হলো। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নাসির গতকাল পার্লামেন্টে জানান, সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চৌধুরী নাসির বলেন, ‘এটা চার সদস্যের কমিটি বা কমিশন। এই কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম প্রতি সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে।’ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারাই এই কমিটিতে থাকবেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৯৯৯ সালে এক রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন সেই সময়কার সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। পরে ক্ষমতা ছেড়ে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান। গত মার্চে আবার দেশে ফেরেন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে তিনি ইসলামাবাদে গৃহবন্দী আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। মোশাররফের হাতে ক্ষমতাচ্যুত নওয়াজ শরিফ গত মে মাসে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। গত সোমবার তিনি জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মোশাররফের বিচার হবে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগেও তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মোশাররফকে বিচারের অভিপ্রায় গতকাল সুপ্রিম কোর্টকেও জানিয়ে দিয়েছে সরকার। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.