ভারতে তৃতীয় ফ্রন্টের উদ্যোগে গতি

বিজেপির অভ্যন্তরীণ সংকটবিরোধী জোট এনডিএর অস্তিত্ব নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিল। দলে নরেন্দ্র মোদির উত্থানকে ঘিরে লালকৃষ্ণ আদভানির বিদ্রোহ, সেই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ গঠনের ডাক এবং সেই ডাকে ওডিশা ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাথমিক সাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতি গতকালও ছিল সরগরম। এই পরিস্থিতিতে জোটে ভাঙন রুখতে আদভানি গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফোন করেন জনতা দল (সংযুক্ত) সভাপতি শরদ যাদব ও বিহার-নরেশ নীতিশ কুমারকে। আর্জি, জোটে যেন ভাঙন না ধরে। কিন্তু সেই আর্জি মঞ্জুর হবে কি না, তা নিশ্চিত হবে এ মাসের ১৫ থেকে ১৭ তারিখে। ওই তিন দিনেই দলের ভবিষ্যৎ ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন জনতা দল (সংযুক্ত) নেতারা। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানের পরই আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন নিয়ে এক দফা কথা বলেছেন। মমতার এই আলোচনাকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নরেন্দ্র মোদি ইস্যুতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে নীতিশ কুমারের জেডিইউ। মোদির সঙ্গে নীতিশ কুমারদের রাজনৈতিক সম্পর্ক সাপে-নেউলে। এতটাই যে জোট সত্ত্বেও গত বিধানসভা ভোটে নীতিশেরা বিহারে মোদিকে প্রচারে আসতে পর্যন্ত দেননি। তাঁরা বারবার জানিয়েছেন, মোদিকে যদি বিজেপি তাদের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে, তাঁরা তা হলে জোট ছাড়তে বাধ্য হবেন। রাজনীতিটা আগেই চনমনে করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ গঠনের ডাক দিয়ে। সোমবার নিজের ফেসবুকে সেই ডাক দেওয়ার পরদিনেই ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ইতিবাচক সাড়া দেন। গতকাল বুধবার কলকাতায় গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করেন জনতা দল (সংযুক্ত) সর্বভারতীয়র সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী। বৈঠকের পর মহাকরণে দুই নেতাই জানান, বিকল্প সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.