অভিমত ভিন্নমত

বেপরোয়া ছাত্রলীগকে কে সামলাবে? বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রলীগ একের পর এক ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। ছাত্র-অধিকার রক্ষা বা সমাজের সামগ্রিক কল্যাণের কোনো কাজ এই দেড় বছরে ছাত্রলীগ করেছে বলে শোনা যায়নি।


ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে কোনো স্বপ্ন তৈরি তো দূরের কথা, শিক্ষাক্ষেত্রে আতঙ্ক সৃষ্টিই যেন তাদের একমাত্র কাজ। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অন্তর্দ্বন্দ্বজনিত সহিংসতা ও রাহাজানির মতো ঘটনা তারা অন্তহীনভাবে ঘটিয়ে চলেছে। তাদের অরাজকতার কারণে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্থিতিশীল হয়েছে, অগুনতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই বেপরোয়া ছাত্রলীগকে কে সামলাবে?
ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বারবার তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি ছাত্রলীগের কৃতকর্মের দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তাঁদের কথা ছাত্রলীগ শুনছে বলে মনে হয় না। তাদের লাগামহীন তাণ্ডব চলছে তো চলছেই।
ছাত্রসংগঠনগুলো এখন কার কাছে জবাবদিহি করে? ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে যে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, তার ফলে তো আর এসব সংগঠনকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে যেতে হয় না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এসব সংগঠনের কর্তৃত্ব এখন শতভাগ প্রতিষ্ঠিত, শিক্ষার্থীরা একেবারে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এসব সংগঠনের শক্তি আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষার্থীদের বাইরের কোন শক্তি। আর এর উৎস যে কোথায়, তা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না, যখন আমরা দেখি সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাঙ্গনে দখলদারের চেহারা বদলে যায়। আওয়ামী লীগ যতই বলুক না কেন যে ছাত্রলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই, জনগণ তো জানে যে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, তখন শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ছাত্রলীগের দখলদারি কায়েম হয়, আর যখন বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় থাকে, তখন ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্তৃত্ব দেখা যায়। শিক্ষাঙ্গনে দখলদারির এই বদলে যাওয়া থেকে জনগণের বুঝতে কষ্ট হয় না যে কোন দলের সঙ্গে কোন ছাত্রসংগঠনের সম্পর্ক। এ কারণেই ছাত্রলীগের বেপরোয়াপনাতে আওয়ামী লীগের সায় আছে বলেই জনগণ বিশ্বাস করে।
ছাত্রলীগের এই অরাজকতার ব্যাপারে সরকারকে নির্মোহ অবস্থান নিতে হবে। সম্পর্ক না থাকার দোহাই দিয়ে ক্ষমতাসীন দল তাদের দায় এড়াতে পারে না। ছাত্রসংগঠনগুলোর জবাবদিহির ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস দমনে সদিচ্ছা দেখাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই।
ইউসুফ হাসান
মালিবাগ, ঢাকা।


বর্তমানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির নামে যে নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা আর যা-ই হোক ছাত্ররাজনীতি নয়। ছাত্ররাজনীতির যে উদ্দেশ্য তা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি তো দূরের কথা, ছাত্রজীবনে রাজনীতিচর্চার মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য করে তোলার কোনো সুযোগ আর এসব সংগঠনে নেই। তারা এখন ব্যস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, টেন্ডারবাজি, হল দখল প্রভৃতি অনৈতিক কাজে। আর তাঁরা ছাত্রদের কোনো উপকারে আসেন না, শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখছেন না আর দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে তাঁরা না আসাই বরং মঙ্গলজনক। কর্তৃত্ববাদী ছাত্ররাজনীতি যেখানে সমাজের জন্য কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে না, সেখানে এই রাজনীতি না থাকাই যুক্তসংগত।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা বললেই অনেকে অতীতের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যপূর্ণ ছাত্ররাজনীতির প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, যেহেতু জাতির বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, সুতরাং ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু বর্তমান ছাত্ররাজনীতি হচ্ছে নেতিবাচক রাজনীতির প্রতিচ্ছবি, যার কোনো আবেদন নেই সমাজে। এখনই যদি এই ছাত্ররাজনীতি বন্ধ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে। এবং এর দায়ভার নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। এসব দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ, বর্তমান ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে এখনই কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
পৃথিবীর যেসব দেশে আমাদের মতো ছাত্ররাজনীতি নেই, সেখানে তো যোগ্য নেতৃত্বের অভাব নেই। তাদের দেশে যোগ্য নেতৃত্ব বিকশিত হয় বিভিন্ন সুষ্ঠু সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে। আমাদের দেশেও প্রচলিত ধারার ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে সুষ্ঠু সাংগঠনিক চর্চার মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো সম্ভব। শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের এ বিষয়ে গভীরভাবে ভাবা প্রয়োজন।
এম সিজার মোনায়েমুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

নেই কাজ তো...
রমনা উদ্যানের মূল রাস্তাটি আরও চওড়া করা হচ্ছে। ব্যাপক আয়োজন—ইটের খোয়া, বালু, রোলার এবং কর্মব্যস্ত কর্মীরা। আমাদের সামান্য জ্ঞানে আমরা জানি, উদ্যানের রাস্তা বেশি বড় করতে নেই, তাতে উদ্যানের উদ্ভিদসজ্জার ছন্দপতন ঘটে। কিন্তু এতে উদ্যান কর্তৃপক্ষের দারুণ উৎসাহ লক্ষ করেছি। কয়েক বছর পর পরই তারা কাজটি করে। শহরের রাস্তায় যানজট প্রচুর, উদ্যানে জনজট নেই। তাহলে রাস্তা চওড়া করার প্রয়োজনটা কী?
উদ্যানটি যেহেতু গণপূর্ত বিভাগের অধীন এবং উদ্যানের বেশির ভাগ কর্মকর্তাই প্রকৌশলী। ফলে কাঠামো নির্মাণে তাঁদের অধিক আগ্রহ স্বাভাবিক। হ্রদের ওপর প্রকাণ্ড এক পুল বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেটা কেন জানি মুলতবি হয়ে আছে। সকালে বেড়াতে গেলে কংক্রিট পিলারের বড় স্তূপটিকে অযত্নে পড়ে থাকতে দেখি। কখনো চোখে পড়ে, ঘাস তুলে আবার একই ঘাস লাগানো হচ্ছে। অথচ গোটা উদ্যান ঘাসে ভরে না উঠলে সেই ঘাস আর কাটা হয় না। পশুপালনের সঙ্গে উদ্যানের কোনো যোগাযোগ আছে কি? থাকলে ভালো। এখন টেকসই উন্নয়নের যুগ।
কিছুদিন আগে একটি টিভি চ্যানেলে একজন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীকে উদ্যানে হেঁটে হেঁটে গান গাইতে দেখি। আশ্চর্য হয়ে ভাবি, এমন উদ্যান বাংলাদেশে কোথায় আছে! রাস্তার পাশে পিলারের মতো দাঁড়ানো সাইপ্রেস ঝাউ, অনেকগুলো কেয়ারি, তাতে একেক রঙের গোলাপ, বিস্তৃত সবুজ লন, সঙ্গে গাছগাছালির আরও কত সজ্জা—চোখ জুড়ানো, মন ভোলানো। গানও ফুরোল, ভুলও ভাঙল। এটি লন্ডনের রিজেন্টস উদ্যান। মুগ্ধতার অবকাশ নেই। আমাদের উদ্যানটি বড়ই অগোছাল। এতে কোনো ছন্দ নেই, এমন একটা জায়গাও নেই, যেখানে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়। গণপূর্ত বিভাগ কেন এদিকে নজর দেয় না, জানি না। তাদের স্থপতিরা তো চমৎকার দালানকোঠা বানান। তাঁদের কেউ কি রিজেন্টস উদ্যানের মতো আমাদের রমনা উদ্যানকে সাজাতে পারেন না?
হাসান জুবায়ের, পুরানা পল্টন লাইন, ঢাকা।

‘অতিরিক্ত জনসংখ্যা কি বোঝা নয়?’
গত ১৯ জুন প্রথম আলোয় ‘অতিরিক্ত জনসংখ্যা কি বোঝা নয়?’ শীর্ষক নিবন্ধে শিশির মোড়ল যথার্থই বলেছেন, নিছক অনুমানের ওপর ভিত্তি করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মতো অত্যাবশ্যকীয় সমস্যাটি পাশ কাটানো হবে অবিবেচনাপ্রসূত, অদূরদর্শী ও আত্মঘাতী।
আমরা জানি, বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮ ভাগ এবং মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ৭। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, ২০১০ সালের মধ্যে প্রজনন হার ২ দশমিক ২-এ নামিয়ে আনা। আমরা সফল হলে ২০৬০ সালে এ দেশের জনসংখ্যা একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছে ২১ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াত। কিন্তু সে লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করতে পারিনি। নতুন করে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ২-এ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা যদি এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি, তাহলেও জনসংখ্যা স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছাবে ২০৮১ সালে এবং তখন এ দেশের জনসংখ্যা হবে ২৫ কোটি। প্রধানমন্ত্রী কি কখনো ভেবে দেখেছেন, এ বিশাল জনগোষ্ঠীর তখন কী হবে? ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করার কোনো ধরনের প্রস্তুতি কি আমাদের আছে? নেই। তাই এ দেশের জনসংখ্যাকে ২৫ কোটি নয়, আরও কমে স্থিতিশীল করা প্রয়োজন। আর সে জন্য প্রয়োজন পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার বাড়ানো।
আমরাও চাই, এ দেশের প্রত্যেকেই হোক একেকজন দক্ষ জনশক্তি। জনসংখ্যা কম থাকুক বা বেশি, তারা যদি দক্ষ না হয়, তাহলে তা অবশ্যই আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। তাই দক্ষ জনশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বা পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ দেশের মানুষকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির যে পরিকল্পনার কথা বলেছেন, তার সঙ্গে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে চাই না। আমরাও সেটা চাই। এ জন্য প্রয়োজন সমন্বিতভাবে একটা মানবসম্পদ উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন। আমরা জানি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ জনসংখ্যা নীতি যুগোপযোগীকরণের একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমরা চাই, এ নীতিটা যেন পরিবার পরিকল্পনা নীতি না হয়ে যথাযথভাবে একটা জনসংখ্যা নীতি হয়। এ নীতিতে যেন পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন কৌশলের পাশাপাশি মানব সম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং দেশের আর্থসামাজিক ও পরিবেশগত পরিস্থিতির যথাযথ প্রতিফলন ঘটে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বেশ কয়েক বছর ধরে পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির ব্যবহার জোরদারকরণসহ বেশ কিছু বাস্তবমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ জন্য একটা বিশেষ কৌশলপত্র প্রণয়ন করে সে আলোকে কার্যক্রম গ্রহণ করার সুফল আমরা ইতিমধ্যেই পেতে শুরু করেছি। এগুলো অব্যাহত রাখলে নিশ্চিতভাবেই এ দেশের জনসংখ্যাকে একটা সহনীয় পর্যায়ে সীমিত রাখা সম্ভব হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ জনশক্তি গড়তেও তা সহায়ক হবে। আর তা করতে ব্যর্থ হলে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেবে। আর এজন্য আমাদের সবাইকে ভবিষ্যতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
মোহাম্মদ আজমল হোসেন ও আবু জামিল ফয়সাল ধানমন্ডি, ঢাকা।

গঙ্গানন্দপুরের পুরাকীর্তি
কালের সাক্ষী হয়ে বাংলাদেশের আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পূর্বসূরিদের হাতে গড়া স্থাপত্যগুলো, যা পুরাকীর্তি হিসেবে পরিচিত। ধর্মের মাপকাঠিতে এগুলোর গুরুত্ব পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন যুগের মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা লাভ করা যায়। ইতিহাস নিরূপণের উপাত্ত হিসেবেও সেগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।
অনেক পুরাকীর্তি এখনো দেখা যায় যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। মোগল আমলে এই যশোরের শাসনকর্তা ছিলেন বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম জমিদার রাজা প্রতাপাদিত্য। শ্যামরায় বিগ্রহে রাজা প্রতাপাদিত্যের পতন ঘটে। এরপর রাজা কমল নারায়ণের আগমন ঘটে। পরে তাঁর ছেলে রাজা কংস নারায়ণ বোধখানার নিকটবর্তী ঝুমঝুম গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তিনি ওই গ্রামের নাম রাখেন গঙ্গানন্দপুর এবং সেখানে বহু মন্দির স্থাপন করেন। তার মধ্যে সিদ্ধেশ্বরী দেবীর মন্দির প্রধান। এ ছাড়া সুকেশী, শিব, লক্ষ্মী, নারায়ণ, কালী প্রভৃতি দেবতার মন্দিরও এখানে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গঙ্গানন্দপুর শিবমন্দির। এটি গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ১০০ গজ পূর্বে অবস্থিত। এটি মোগল আমলের স্থাপিত, যার আনুমানিক বয়স ৪০০ বছরেরও বেশি। এই মন্দিরবেষ্টিত সম্পত্তি এই অঞ্চলের জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব মহিতোষ রায় চৌধুরী মন্দির পরিচর্যার জন্য নয়নতারা দেবীকে দান করেন। উল্লেখ্য, এ অঞ্চলের মোট ২২ একর ১৭ শতক জমি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত আছে। পরবর্তী সময়ে নয়নতারা দেবী মন্দিরবেষ্টিত সম্পত্তি বিক্রি করেন (মূল মন্দিরের এক শতক জমি বাদে)। এরপর দুবার ওই জমির হাতবদল ও মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকলেও পুরাকীর্তিটি সংরক্ষণে কোনো পদেক্ষপ নেয়নি।
আশার কথা হচ্ছে, ওই গ্রামে এখনো অনেক প্রাচীন স্থাপত্য বর্তমান। শ্রী কালীপদ চক্রবর্তী ও তাঁর ভাইরা এই মন্দিরগুলোতে পুরোহিত ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে তাঁরা এখন সেগুলো সংরক্ষণ করতে পারছেন না। এমতাবস্থায় প্রাচীন স্থাপত্যগুলো সংরক্ষণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
আবদুল্লাহ আল সাঈদ, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সিএনজির মূল্যবৃদ্ধি
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব খারাপ না হলেও খুব ভালো নয়। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভালো নয়। সার্বিক উৎপাদন ও কর্মসংস্থানও সংকুচিত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে রমজান ও তদসঙ্গীয় বর্ধিত চাহিদার ফলে (এবং অবশ্যই বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে!) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অনিবার্য। সরকারের তাই সে পরিপ্রেক্ষিতেই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো উচিত, যাতে ভোক্তা-সাধারণ তথা দেশের জনগণের ভোগান্তি কম হয়। কিন্তু সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে সিএনজি গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণ করার কথা শুনে অবাক না হয়ে পারা যায় না। সিএনজির দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়বে সব ধরনের পরিবহনের ভাড়া এবং অনেক পণ্যের উৎপাদনমূল্যের ওপর। গ্যাসের বা সিএনজির দাম সামান্য বাড়ালেও দ্রব্যমূল্যে প্রতিকূল প্রভাব পড়বে জেনেও দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব মোটেই সুচিন্তিত অভিমত বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের মানুষ কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবিত মূল্যবৃদ্ধি ভালোভাবে নেবে মনে করার কোনো কারণ নেই। নেহাত চার-পাঁচ শতাংশ বাড়ালেই যথেষ্ট হতে পারে বলে মনে হয়। বর্তমান দ্রব্যমূল্য ও রমজান মাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে সিএনজির মূল্য এ মুহূর্তে না বাড়ানোই সঠিক পদক্ষেপ হবে। এমনিতেই সরকার নানা কারণে চাপে আছে আরও চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করা কি সমীচীন হবে?
এফ আহমেদ
বড় মগবাজার, ঢাকা।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিকার চাই
হাজারো সমস্যায় জর্জরিত এ দেশের মানুষ। এ সমস্যাগুলোর অন্যতম বেকার সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব। তার ওপর এখন আবার যোগ হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা। এর ফলে মেধাবীরা দিন দিন হতাশ হয়ে ভেঙে পড়ছে এবং হীনম্মন্যতায় ভুগছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়। পুলিশ ইতিমধ্যে এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে বারবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। ২০১০ সালে এ পর্যন্ত সরকারি কর্মকমিশনের নেওয়া তিনটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন সমাজসেবা কর্মকর্তা এবং এরপর কাস্টমস কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। এসব বিষয়ের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র তেমন ছড়িয়ে না পড়লেও সর্বশেষ জুন মাসে পিএসসি কর্তৃক গৃহীত থানা/উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়। এসব প্রশ্নপত্র পাঁচ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী একত্র হয়ে এ ঘটনা ঘটাচ্ছেন। বিজি প্রেসে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় দলিলাদি ছাপা হয় এবং সেখানে কড়া পাহারার ব্যবস্থা থাকাই সংগত। অথচ সেখান থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া বড় উদ্বেগজনক ব্যাপার। এসব অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেমন করে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো সেটা অনুসন্ধান করে এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি প্রদানের কোনো বিকল্প নেই।
সেরা মেধাবীদেরই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটলে তাঁরা পিছিয়ে পড়বেন। এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন, তেমনি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। সুযোগ পেয়ে যাবেন অসাধুরা। ফলে দুর্নীতি দিন দিন বাড়তেই থাকবে। তাই সরকার ও পিএসসির কাছে আবেদন, তারা যেন এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়।
জসিম, ঢাকা।

‘ঝুঁকিপূর্ণ পেশা: নজরুলদের নীরব মৃত্যু’
গত ৪ জুলাই প্রথম আলোয় ‘ঝুঁকিপূর্ণ পেশা: নজরুলদের নীরব মৃত্যু’ শিরোনামে প্রকাশিত মশিউল আলমের লেখাটিতে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকদের একটা আংশিক চিত্র ফুটে উঠেছে। এ ধরনের লেখা সংবাদপত্রে খুব কমই প্রকাশিত হয়। ধন্যবাদ মশিউল আলমকে।
শ্রম আইন, ২০০৬-এ বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় শ্রমিক আহত বা নিহত হলে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের পরিদর্শককে নোটিশ দিয়ে অবহিত করবেন। কিন্তু নোটিশ দেওয়া তো দূরের কথা মালিকেরা অনেক সময় নিহত শ্রমিকের লাশ গুম করে ফেলে বা থানায় অপমৃত্যু মামলায় শ্রমিকের নাম পরিবর্তন করে দেয়। আইনানুযায়ী নিহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ বাবদ এক লাখ টাকা মালিককে শ্রম আদালতে জমা দিতে হবে। কিন্তু মালিকেরা কখনোই কাজটি করেন না। অনেকে টাকা দেন, কিন্তু আইনে টাকা দেওয়ার কোনো বিধান নেই। তবে মানবিক সাহায্য দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আইনানুযায়ী টাকা অবশ্যই শ্রম আদালতে জমা দিতে হবে। আইনি ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ১০-১৫ হাজার টাকা পেয়েই শ্রমিকের পরিবার খুশি।
সেইফটি অ্যান্ড রাইটস নামের একটি এনজিওর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৭ সালে ২২২ জন, ২০০৮ সালে ৩২০ জন এবং ২০০৯ সালে ২৬৫ জন শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে মারা যান। নিহতদের মধ্যে ৩৫ শতাংশেরও বেশি নিহত হয় নির্মাণ খাতে এবং ৩২ শতাংশ কলকারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। সংস্থাটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মশিউল যথার্থই বলেছেন, ‘যেসব মানুষ নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত, তাদের অনেকেই এভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাঁদের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় না। কেবল তখনই তাঁরা সংবাদ শিরোনাম হতে পারেন, যখন একসঙ্গে অনেকে দুর্ঘটনায় পড়ে প্রাণ হারান।’
মশিউল আলম তাঁর লেখায় প্রশ্ন তুলেছেন, নজরুলের জন্য এখন মামলা-মোকদ্দমা করতে যাবেন কে? শ্রম আইনের ১৫৮ ধারা অনুযায়ী, শ্রম আদালত শ্রমিকের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর জন্য মালিককে নোটিশ দিয়ে ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে তলব করতে পারেন। আবার ৩১৯(৫) ধারা অনুযায়ী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ‘কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে অভিযোগ পেশ করিতে পারিবেন।’ তাই এ দুই সংস্থা নজরুলের মতো কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকদের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
নির্মাণশ্রমিকের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তির বিষয়টি বেশি কঠিন। শ্রম আইনের ধারা ১৬১ অনুযায়ী শ্রমিক আহত বা নিহত হলে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বা ডেভেলপার ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য। কিন্তু যেসব সাইটে সম্পত্তির মালিক ঠিকাদারদের কাছে সরাসরি চুক্তিভিত্তিক কাজ দেয় সে ক্ষেত্রে শ্রমিক সম্পত্তির মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পায় না। শ্রম আইনে এমন বিধান রাখা প্রয়োজন যাতে সম্পত্তির মালিক যারা চুক্তির ভিত্তিতে কাজ দেয় তারাও ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য হয়। তা ছাড়া, ১৬১ ধারার ‘মালিক’ শব্দটি বাদ দিয়ে ওয়ার্কমেনস কম্পেনসেশন অ্যাক্ট, ১৯২৩-এর ‘প্রিন্সিপাল’ শব্দটি শ্রম আইনে সংযোজন করা উচিত।
নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১ লাখের পরিবর্তে ৫ লাখ টাকা করা উচিত। আহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে পুনর্বাসনের বিধানসহ কমপক্ষে ৬ লাখ টাকা করা যেতে পারে। কারণ কোনো কোনো আহত শ্রমিকের চিকিৎসা বাবদ তিন-চার লাখ টাকা খরচ হয়। স্থায়ীভাবে পঙ্গু শ্রমিক কোনো কাজই করতে পারে না, বরং চিকিৎসা খরচ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হয়। শ্রম আইন সংশোধনীতে এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে নজরুলের মতো পরিবারের আইনি প্রতিকার পাওয়া সহজ হবে।
দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ বিষয়ে মালিক ও শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং এসব পালনে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে যোগাযোগ কর্মকৌশল তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। গণমাধ্যম সচেতনতা সৃষ্টি, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ জন্য কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার রিপোর্ট সঠিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা প্রয়োজন, যাতে শ্রম আদালত এবং কলকারখানা পরিদর্শন পরিদপ্তর ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।
সচেতনতা সৃষ্টি, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ পরিবর্তনের কথা বলার কারণ হচ্ছে, অনেক শ্রমিক নিরাপত্তাসামগ্রীর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানে না বা ব্যবহার করতে চায় না। অন্যদিকে, একটা প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয় কিন্তু শ্রমিকদের নিরাপত্তাসামগ্রী প্রদানের জন্য কোনো বরাদ্দ থাকে না। শ্রমিক, মালিক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর এবং শ্রম আদালতসহ সবাইকে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করে শ্রমিকদের মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বরণ করা থেকে অনেকাংশে রক্ষা করা যায়।
মোহা. মাহামুদুল হক, সাংবাদিক।
mahmud_raj@yahoo.com

লিখুন, পাঠিয়ে দিন
প্রিয় পাঠক, প্রথম আলোয় প্রকাশিত সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রতিবেদন ইত্যাদি নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া/ভিন্নমত আমাদের লিখে পাঠান। সমসাময়িক অন্যান্য বিষয়েও আপনার অভিমত, চিন্তা, বিশ্লেষণ সর্বোচ্চ ৪০০ শব্দের মধ্যে লিখে পাঠিয়ে দিন ডাকযোগে:
অভিমত, সম্পাদকীয় বিভাগ, প্রথম আলো, সিএ ভবন,
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
ই-মেইলে (এমএস ওয়ার্ড অ্যাটাচমেন্ট):
obhimot@prothom-alo.info

No comments

Powered by Blogger.