মেসিদের কোচ সবুজ সংকেত দেবেন?

আর কত ‘খেলা’ দেখা যাবে! মেসিদের অনুশীলন মাঠের জন্য এবার সামনে আনা হলো আর্মি স্টেডিয়াম। কাল দুপুরে ওই স্টেডিয়ামটি পরিদর্শন করে এসেছেন বাফুফের সহসভাপতি বাদল বায়। বিকেলে তিনি ফুটবল ভবনে আসতেই দুই কর্মকর্তা শওকত আলী খান ও আনোয়ারুল হক হেলাল বেশ কৌতূহলী হয়ে উঠলেন। সেখানে কি মেসিদের নেওয়া যাবে?
উত্তরটা তখন পর্যন্ত মোটামুটি হ্যাঁ-বোধকই ছিল। বাদল রায় বললেন, ‘এমনিতে বাইরে থেকে স্টেডিয়ামটা দেখতে ভালোই লাগে। পরিবেশটাও ভালো। কিন্তু মূল সমস্যা ড্রেসিংরুম-বাথরুম নিয়ে। এগুলোর তো মেসিদের মানের নয়।’ এই কথা বলে তিনি চারদিকে ফোন করা শুরু করেন।
আজ সকালে আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ জুলিয়ান কামিনো ঢাকা আসছেন এক দিনের সফরে। সঙ্গে আরও দুজন। ম্যাচের উদ্যোক্তা ভারতের সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের দুজন কর্মকর্তাও আসবেন। তাঁরা হোটেলে বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতি দেখতে।
প্রথমে তাঁদের আনা হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। তারপর কমলাপুরে ঘুরে আর্মি স্টেডিয়াম। ম্যাচ আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক হেলাল কাল রাতে জানালেন, ‘আমরা অনুশীলন মাঠ হিসেবে কমলাপুর এবং আর্মি দুটোই দেখাব। যেটা তাঁদের পছন্দ হয়।’ দুটোরই এমন অবস্থা, পছন্দ হওয়ার কোনো কারণ নেই বলছেন খোদ কর্মকর্তারাই। তবে একটা জায়গায় ম্যাচ আয়োজক কমিটির প্রধান একমত, ‘কমলাপুর থেকে আর্মি স্টেডিয়াম অন্তত ভালো হবে।’
এখানেই শেষ নয়। রাতে বাদল রায় দিয়েছেন নতুন তথ্য, ‘প্রয়োজনে ফতুল্লাও দেখাব আমরা। এ নিয়ে বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি।’ এর আগে বিকেলে সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কাছে আর্মি স্টেডিয়াম চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ‘জাতীয় স্বার্থে’ মাঠ পাওয়া গেলেও কর্তাদের কথায় বোঝা গেল, যদি প্রতিনিধিদল ‘দয়া’ করে ছাড় দেয়, নইলে উন্নত মাঠ, ড্রেসিংরুম, বাথরুম, আইসবাথ ছাড়া সহজেই ‘হ্যাঁ’ বলে দেবে এটা ভাবা বাড়াবাড়ি।
পুরো ব্যাপারটা এমনই লেজেগোবরে যে মূল ভেন্যু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামও প্রস্তুত নয়। কাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ দেখে মনে হলো, বড় রকমের শঙ্কা রয়ে গেছে। মাঠের কোথাও কোথাও ঘাস নেই। কোথাও প্রচুর ঘাস, কিন্তু ফুটবলের উপযোগী ঘাস নয় এগুলো। কিছু জায়গা জঙ্গলের মতো হয়ে আছে। প্রয়োজন ছিল মাঠে নতুন ঘাস লাগানো, কিন্তু লাগানো হয়নি।
ঘরোয়া ফুটবল শেষে অল্প কদিন আগে কাজ শুরু হয়েছে মাত্র। মাঠে দাঁড়িয়ে মাঠের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বললেন, ‘আরও ১৫ দিন সময় আছে। ১০ দিন সময় পেলেই মাঠ এর চেয়ে আরও অনেক ভালো করা যাবে।’ উপস্থিত এএফসির ম্যাচ কমিশনার মনিরুল ইসলাম তাতে সায় দিলেন। তবে আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এসে মাঠ দেখলে কামিনোর পছন্দ হবে, এমন নিশ্চয়তা তিনিও দিতে পারেননি।
গোলরক্ষক যেখানে দাঁড়ান, সেই জায়গাটা ন্যাড়া। ঘাস লাগানো হলেও সেভাবে এখনো ওঠেনি। কামিনোর চোখ যে তা এড়াবে না, শতভাগ নিশ্চিত বলা যায়।
বাফুফের জন্য স্বস্তির খবর, কলকাতার যুবভারতী দেখে সবুজ সংকেত দিয়েছে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিদল। ২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা প্রীতি ম্যাচ। ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ম্যাচ। ম্যাচ পরের কথা, আজ কামিনোরা এসে কী বলেন, সেটিই বড় প্রশ্ন।

No comments

Powered by Blogger.