বারোদাতেও গম্ভীর-আলো

ক্রিকেটে এ মুহূর্তে অধিনায়কত্বটা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছেন কে? অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস? নাকি গৌতম গম্ভীর? যেভাবে ব্যাটে রানের ফোয়ারা, গম্ভীর দাবি করবেন, সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছেন তিনিই।
তিন ম্যাচেই জয়, অধিনায়কত্বের প্রথম সিরিজে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা জিতে নেওয়া—গম্ভীরের মুখে চওড়া হাসিটা খুব মানায়। আগের ম্যাচেই অপরাজিত ১৩৮ রানের ইনিংস খেলা গম্ভীর কাল বারোদায় করলেন অপরাজিত ১২৬। সঙ্গে ফর্মে থাকা বিরাট কোহলির যোগ্য সাহচর্য এবং বোলারদের নিখুঁত বোলিং—তিনে মিলে তৃতীয় ওয়ানডেতেও নিউজিল্যান্ডকে নাস্তানুবাদ করে ছাড়ল ভারত। জয় ৯ উইকেটের। উইকেটের দিক থেকে বারোদার রিলায়েন্স স্টেডিয়ামে এটাই ভারতের বড় জয়।
টসে হারা নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে তোলে ২২৪ রান। দিনের দ্বিতীয় বলেই ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে শূন্য রানে বিদায় করেন বিশ্রাম শেষে দলে ফেরা জহির খান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকা নিউজিল্যান্ডের স্কোর একসময় হয়ে গিয়েছিল ১০৬/৭। এর পরও স্কোর ২২৪ রানে পৌঁছায় জেমস ফ্রাঙ্কলিন ও নাথান ম্যাককালামের ৯৪ রানের জুটিতে। নাথান ৪৩ রান করে আউট হলেও ফ্রাঙ্কলিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে।
উদ্বোধনী জুটিতেই ১১৫ রান তুলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় ভারত। ভেট্টোরির সরাসরি থ্রোয়ে বিজয় রানআউট হওয়ার পর অবিচ্ছিন্ন ১১৪ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন গম্ভীর-কোহলি। গম্ভীরের নবম সেঞ্চুরি আর বিরাট কোহলির দশম ফিফটিতে (৬৩*) ভারত জয়ে পৌঁছায় ৬৩ বল বাকি থাকতেই। গম্ভীরের ১১৭ বলে খেলা ইনিংসটায় মুক্তোর মালা হয়ে আছে ১৬টি চার। ২ ছক্কা ৬ চারে কোহলির রান ৬৩ বলে ৭০।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২২৪/৯ (ফ্রাঙ্কলিন ৭২*, নাথান ৪৩; ইউসুফ ২/২৭, জহির ২/৩১, অশ্বিন ২/৪৯)। ভারত: ৩৯.৩ ওভারে ২২৯/১ (বিজয় ৩০, গম্ভীর ১২৮*, কোহলি ৬৩*)।
ফল: ভারত ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: গৌতম গম্ভীর।

No comments

Powered by Blogger.