অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা

"অধ্যাপক ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও অযথার্থ সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের অনেক বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন, এ জন্য আমরা দুঃখিত। অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে নিজের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ-সংক্রান্ত সংবাদ বিশ্বের বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। একটি সংবাদ সংস্থার খবরের শিরোনাম এমন ছিল, 'স্ট্যাশিং অব হান্ড্রেড মিলিয়ন ডলার বাই নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ইউনূস'।
গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার নরওয়ের টেলিভিশনে 'ফ্যাংগেট আই মাইক্রোজেল্ড' শিরোনামে প্রচারিত প্রামাণ্যচিত্রের ওপর ভিত্তি করে এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়; এবং এর ওপর ভিত্তি করে বার্তা সংস্থা বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম সংবাদ প্রকাশ করে।
"সব পাঠককে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এসব সংবাদ প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অধ্যাপক ইউনূসের লেখা ১৯৯৮ সালের ৮ জানুয়ারির একটি চিঠিতে আমাদের নেপথ্যকথা সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে ওই চিঠিও প্রকাশ করা হয়। যেকোনো পাঠক বুঝতে পারবেন, সামপ্রতিক এসব সংবাদ প্রতিবেদন কতটা ভিত্তিহীন। এই প্রত্যুত্তরে আমরা অধ্যাপক ইউনূসের ওই চিঠি সংযুক্ত করছি।
"গ্রামীণ ব্যাংক এবং গ্রামীণ কল্যাণ নামের প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা ভুল করা হয়নি। সৎ উদ্দেশ্য ও বিশ্বাস নিয়ে যথাযথ পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে দরিদ্রদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ চুক্তি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঋণগ্রহীতাদের জন্য সম্ভাব্য সুবিধাজনক উপায়ে দাতাদের বরাদ্দ করা অর্থ ব্যবহারের কথা বিবেচনা করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ পদক্ষেপ নেয়। এ ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য গ্রামীণ ব্যাংককে দায়বদ্ধ রাখা হয়।
"নোরাড ও অন্যান্য দাতা সংস্থার কাছ থেকে গ্রামীণ ব্যাংক তার কার্যক্রম সমপ্রসারণের তৃতীয় পর্যায়ে যে অর্থ বরাদ্দ পায়, তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে শর্ত ছিল_বরাদ্দ করা অর্থের সুদের হার দুই শতাংশে নির্দিষ্ট করা থাকবে এবং এই সুদের অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ও কর্মীদের সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট ফান্ড (এসএএফ) বা সামাজিক বিকাশ তহবিল গঠনে ব্যবহার করা হবে। এসএএফ গঠনে আমাদের প্রস্তাব দাতারা সানন্দে রাজি হয়।
"গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্বাস করেছে, এসএএফের ব্যবহার যদি গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয় এবং এর ব্যবস্থাপনা যদি ব্যাংকের হাতে থাকে, তা হলে এই তহবিলের যথাযথ ব্যবহার সম্ভব হবে না। গ্রামীণ ব্যাংকের মূল কার্যক্রম, ঋণ প্রদান কর্মসূচি সব সময়ই অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষে এর সদস্য ও কর্মীদের জন্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে।
"তা ছাড়াও, গ্রামীণের 'কর অব্যাহতি' সুবিধা পাওয়ার সময়সীমা ১৯৯৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। সে সময় গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য 'করের আওতামুক্ত থাকার' সুবিধার মেয়াদ তৎকালীন সরকার বাড়াবে কি না তা নিশ্চিত ছিল না। সরকার যদি এই সময়সীমা না বাড়াত, তা হলে ওই তহবিলের জন্য যে ব্যয় হতো, তা গ্রামীণ ব্যাংকের খরচ হিসাবে বিবেচনা করা হতো না। এর ফলে, এসএএফের বিপরীতে ৪০ শতাংশ কর দিতে হতো, যার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংককে দাতাদের বরাদ্দ করা অর্থের বিপরীতে দুই শতাংশ হারে সুদ দেওয়া বন্ধ করতে হতো, অথবা এই হার হ্রাস করতে হতো। অধ্যাপক ইউনূস ১৯৯৮ সালের ৮ জানুয়ারি লেখা চিঠিতে বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা দেন। এ অবস্থায়, একটি নতুন সংস্থা গঠনের প্রয়োজন হয়। ফলে সুদ হিসেবে পাওয়া ওই অর্থ ব্যবহারের জন্য 'গ্রামীণ কল্যাণ' নামের প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়।
"গ্রামীণ ব্যাংক বোর্ডের সিদ্ধান্ত (বোর্ড সিদ্ধান্ত ৪২.৮, এপ্রিল ২৫, ১৯৯৬) অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে 'গ্রামীণ কল্যাণ' প্রতিষ্ঠা করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ও কর্মচারীদের (যাদের ৯০ শতাংশই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসা) সুবিধার জন্যই এটা করা হয়। বাংলাদেশের প্রখ্যাত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি অধিভুক্ত 'রহমান রহমান হক অ্যান্ড কম্পানি'র মতামত নিয়েই 'গ্রামীণ কল্যাণ' প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
"কম্পানি আইন অনুযায়ী 'গ্রামীণ কল্যাণ' একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। কোনো স্বতন্ত্র ব্যক্তি এ কম্পানির কোনো শেয়ারের মালিক হতে পারেন না। এই কম্পানির লাভ ভাগ করে নেওয়া যাবে না এবং কম্পানি ঘোষিত উদ্দেশ্য অনুযায়ী এর কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর কাজে ওই মুনাফা ব্যবহার করা যায়। গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ও কর্মীদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা কম্পানির ঘোষিত উদ্দেশ্যে।
"পরিচালনা পর্ষদের গৃহীত সিদ্ধান্তের ক্ষমতাবলে এবং গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ কল্যাণের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ৩৯১ কোটি ৭০ লাখ ১৪ হাজার টাকার তহবিল সৃষ্টি করা হয়। পর্যায়ক্রমে জাতীয় মুদ্রায় অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে এই তহবিল গড়ে তোলা হয়। এ তহবিলের নিয়ন্ত্রণ বা মালিকানা কখনোই গ্রামীণ কল্যাণের কাছে দেওয়া হয়নি। তহবিল গড়তে পর্যায়ক্রমে অর্থের এই স্থানান্তর এবং গ্রামীণ ব্যাংকে এই অর্থ ঋণ আকারে ফেরতের মধ্য দিয়ে এ থেকে সুদ আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ওই সুদের অর্থ জমা হয় ঋণগ্রহীতাদের জন্য সৃষ্টি করা এসএএফে। দরিদ্রদের কল্যাণের জন্যই এই আর্থিক তহবিলের নতুন পথ সৃষ্টি করা হয়। গ্রামীণ কল্যাণ ওই তহবিলের ওপর ধার্য করা দুই শতাংশ হারে সুদ পেতে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ও কর্মীদের শিক্ষার সুবিধা ও অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করতে সুদের এই অর্থ ব্যবহার করা হয়।
"এসএএফে সুদের আয় থেকে জমাকৃত অর্থের সাহায্যে 'গ্রামীণ কল্যাণ' যেসব কর্মসূচি পরিচালনা করে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ১. ঋণগ্রহীতাদের মেধাবী সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় আর্থিক ঋণ-সহায়তা প্রদান। ২. শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া ঋণগ্রহীতাদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান। ৩. গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে ঋণগ্রহীতাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া। এই কর্মসূচির অধীনে বর্তমানে দেশজুড়ে ৫১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ৪. চিকিৎসা-ঋণের ব্যবস্থা করা এবং ব্যাংকের কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা। ৫. কর্মীদের সংসার-ব্যয় নির্বাহের সহায়তার জন্য ঋণ কর্মসূচি পরিচালনা।
"ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া পদক্ষেপ ওই তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে আছেন গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়জন প্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের তিনজন প্রতিনিধি। এ সিদ্ধান্তের ফলে শুধু নোরাড নয়, সব দাতার দেওয়া মোট ৩৪৭ কোটি ৪৫ লাখ এক হাজার টাকা গ্রামীণ কল্যাণ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে 'ফিরিয়ে আনা' হয়েছে। যদিও ওই টাকা সব সময়ই গ্রামীণ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টেই ছিল। শুধু এসএএফের তহবিলের ৪৪ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার টাকা গ্রামীণ কল্যাণের অধীনে রয়েছে। এই অর্থ সুদের আয় বাবদ পাওয়া।
"গ্রামীণ ব্যাংকের তহবিল থেকে ৭০০ কোটি টাকা গ্রামীণ কল্যাণের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে মর্মে কিছু সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণই মিথ্যা। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে ৩৯১ কোটি ৭০ লাখ ১৪ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরে গ্রামীণ ব্যাংকে ফেরত দেওয়া হয় ৩৪৭ কোটি ৪৫ লাখ দুই হাজার টাকা_যা আগেও উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের বার্ষিক অডিট থেকেও এর সত্যতা যাচাই করা যেতে পারে।
"১৯৯৬ সালের বিনিময় হার অনুযায়ী উলি্লখিত অর্থ পরিবর্তন করলে ব্যাংক থেকে স্থানান্তর করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর, ব্যাংকে 'ফেরত দেওয়া' অর্থের অঙ্ক প্রায় সাড়ে আট কোটি ডলার। এভাবে দাতাদের সব অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। এর ভেতর থেকে মাত্র এক কোটি ১০ লাখ ডলার গ্রামীণ কল্যাণের অ্যাকাউন্টে রাখা হয়, যা সুদের আয়ের মাধ্যমে অর্জিত। সুতরাং গ্রামীণ ব্যাংক ১০ কোটি ডলার স্থানান্তর করে মাত্র তিন কোটি ডলার আবার ফিরিয়ে এনেছে_এমন তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা।
"গ্রামীণ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নথিতে এই অর্থ স্থানান্তরে প্রয়োজনীয় সব তথ্যই লিপিবদ্ধ আছে। যদিও প্রকৃত কোনো অর্থ স্থানান্তর করা হয়নি। কারণ সব সময়ই ওই অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকের কাছেই ছিল। গ্রামীণ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অর্থ বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না এবং অধ্যাপক ইউনূসের ওই অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অর্থ পাচারসংক্রান্ত যাবতীয় কথা ফাঁকা বুলি এবং উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এসব বলা হয়েছে।
"গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদ মনে করে, নোরাডের সঙ্গে চুক্তির কোনো ধারা এতে বিচ্যুত হয়নি। ওই বিষয়টিতে দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা সৃষ্টি হয়। নোরাড মনে করে, চুক্তির ধারা এতে লঙ্ঘিত হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মতে, চুক্তি অনুযায়ীই এটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা তর্কে জড়াতে চাই না এবং নোরাডের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক নষ্ট করার ইচ্ছাও নেই আমাদের। তাই গ্রামীণ ব্যাংক তার সিদ্ধান্তে পরির্বতন এনেছে এবং দুই পক্ষের সম্পর্কের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে এনেছে।
"নোরাড ও নরওয়ের সরকারের উদ্বেগকে মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এ নিয়ে মতানৈক্য দূর করতে উভয় পক্ষ একসঙ্গে কাজ করেছে এবং প্রাথমিক চুক্তির একটি ধারার ব্যাপারে মতভিন্নতা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে একটি সন্তোষজনক সমাধানে পেঁৗছানো সম্ভব হয়েছে। আন্তরিকভাবেই সম্পর্কের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। এরপর কোনো পক্ষই বিষয়টি আর উত্থাপন করেনি। বিষয়টি নিয়ে কারো মধ্যে আর কোনো অসন্তোষ থাকেনি।
"এখানে ১৯৯৮ সালের ২৬ মে মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা নরওয়ে দূতাবাসের একটি চিঠির অংশের উদ্ধৃতি দেওয়া হলো। ঢাকায় তৎকালীন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যান্স ফ্রেডারিক ও আইনার ল্যান্ডমার্ক চিঠিতে লেখেন, 'বিষয়টি মীমাংসার ক্ষেত্রে দূতাবাস আপনার উদ্যোগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে। তা ছাড়া যেভাবে এটির সমাধান করা হয়েছে, তাতে দূতাবাস সন্তুষ্ট। গ্রামীণ ব্যাংক ও নরওয়ে দূতাবাস উভয় পক্ষের জন্যই এটি সন্তোষজনক। এতে কোনো কিছু গোপন ছিল না। এটি ছিল ভিন্নমতের একটি সত্যনিষ্ঠ প্রতিফলন।
"গ্রামীণ ব্যাংকের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া সব সময় চমৎকার স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সরকারের নিয়োগ দেওয়া একজন বিশিষ্ট নাগরিকই সব সময় দায়িত্ব পালন করছেন। চেয়ারম্যান ছাড়াও দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পর্ষদের সদস্য হিসেবে সরকার নিয়োগ দিয়ে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে প্রতিবছর দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রতিষ্ঠান গ্রামীণের হিসাব নিরীক্ষার পর তা সরকার এবং আয়কর বিভাগের কাছে জমা দেওয়া হয়। প্রতি বছর সব দাতার কাছেও গ্রামীণ ব্যাংক নিরীক্ষাকৃত হিসাবের প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও এর সমান্তরালে গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শন করেন। ব্যাংকের কর্মকাণ্ড-সম্পর্কিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানের পাশাপাশি ১৯৮৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষার সব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। অন্যদিকে, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়মিতভাবে মাসিক প্রকাশনা 'গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাট এ গ্ল্যান্স' প্রকাশ করে থাকে। পাশাপাশি এটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়_যা গ্রামীণ কল্যাণের পরিচিতি তুলে ধরে।
"গ্রামীণ কল্যাণ : গ্রামীণ কল্যাণ (ওয়েল-বিইং) হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত দ্রুত বিকাশমান একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া অনুদানের টাকা থেকে পাওয়া সুদের আয় থেকে যে অর্থ পাওয়া যায় তার মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক সামাজিক বিকাশ তহবিল (এসএএফ) গঠন করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিসংক্রান্ত সামাজিক উন্নয়নের কর্মকাণ্ড পরিচালনার লক্ষ্যে গ্রামীণের ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে এসএএফ একটি আলাদা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
"গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একটি ব্যাংক। এ প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদান নিয়ে আমরা গর্ব করি।" (গ্রামীণ ব্যাংক প্রেরিত প্রেসরিলিজ)
=================================
শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার'  প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে?  আলোচনা- 'মেয়েদের লাঞ্ছনা বন্ধ করতে কঠোর হতে হবে'  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আগ্নেয়গিরির ওপরে পিকনিক'  আলোচনা- 'হিমালয়ের কোলে এক টুকরো দক্ষিণ এশিয়া'  স্মরণ- 'মানুষের জন্য যিনি জেগে থাকতেন'  রাজনৈতিক আলোচনা- 'আবার আসিব ফিরে!'  আলোচনা- 'রাজকীয় সম্মেলন'  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'অসারের তর্জন-গর্জন'  আলোচনা- 'একজন নোবেল বিজয়ী, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদ'  স্মৃতি ও গল্প- সেই আমি এই আমি  গল্প- 'ঘুঁটি'  আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি : মিয়ানমারে কি কি গণতন্ত্র আসছে?  শিল্পি- শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদের সৃষ্টিসমগ্র  সাহিত্যালোচনা- তান তুয়ান এঙের উপন্যাস দ্য গিফট গিফট অব রেইন  খবর- বন্ধ তাবানীতে লোক নিয়োগ  ইতিহাস- আমাদের ভাববিশ্ব ও বৌদ্ধবিহার  স্মৃতি ও ইতিহাস- ঢাকায় আমার প্রথম তিন দিনের স্মৃতিরোমন্থন  আলোচনা- একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি কি হারিয়ে যাবে  আলোচনা- বাংলাদেশের সমাজ : মধ্যবিত্ত সমাচার  গল্প- দূর গাঁয়ের গল্প  সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠা  সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠাই কবির তপস্যা  পাঁচ গাড়িসহ দুই ছেলের মালপত্র বুঝে নেওয়া হলো আজ বাকিগুলো  গল্প- 'কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে'  গল্প- মৌরস ভৌরস  শিল্পি- ড্রয়িং, স্কেচ না পূর্ণাঙ্গ চিত্রকর্ম  গল্পসল্প- নারী শিক্ষা মন্দির  স্মৃতি ও গল্প- ছিন্নস্মৃতি  স্মৃতি ও গল্প- স্কুল জীবনে বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি ও যশোর  ফিচার- তাঁহাদের দান  ফিচার- ডায়ানার আংটি  গল্প- 'অভিমান'


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে

এই লেখা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.