লজ্জা ঢাকতে তদন্ত ও শাস্তি

সারা দেশ মেতে আছে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত দক্ষিণ এশীয় (এসএ) গেমস নিয়ে। বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা সোনা জিতছেন, গোটা জাতির মুখে সোনালি হাসি ফুটছে। ওই হাসিটা ফুটিয়ে তুলতে নিরন্তর লড়ছেন দেশপ্রেমী ক্রীড়াবিদেরা। একই সঙ্গে আরেকটা লড়াই চলছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের, বাংলাদেশের ক্রীড়া প্রশাসনের—লজ্জা মোচনের লড়াই!
ইম্পেরিয়াল হোটেলের লিফট দুর্ঘটনা ও সাইক্লিং-লজ্জার ব্যাপারে কাল ক্রীড়া প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশেই দুটি ঘটনায় প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারটা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট চূড়ান্ত করে ফেলেছে। আজ সকালেই তা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি সেনাপ্রধান জেনারেল মো. আব্দুল মুবীনের হাতে জমা পড়তে যাচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দোষী একজনকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
লিফট দুর্ঘটনায় ইম্পেরিয়াল হোটেলকেই দায় নিতে হচ্ছে। এ জন্য দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিত্সার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করতে হতে পারে তাদের। তবে এর চেয়েও হোটেলটির বড় শাস্তি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত হয়ে পড়া।
আর সাইক্লিং-লজ্জায় সাইক্লিং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হোসেনই মূল অপরাধী বলে চিহ্নিত হয়েছেন। ওয়ালিদ ছিলেন ইভেন্টের টার্নিং কমিশিয়ার। মোটরসাইকেলে আরেকজন আরোহীকে নিয়ে চিংবাই মারমাকে ‘ঠেলে দেওয়ার অপকর্ম’ করেছেন তিনি। তবে মিজানুর রহমান মানুর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটিকেও অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তদন্ত কমিটি সবকিছু খতিয়ে দেখে মনে করছে, অপরাধ করা হয়েছে যৌথভাবেই। সাইক্লিং ফেডারেশনের বর্তমান কমিটিকে হয়তো বহিষ্কারই হতে হচ্ছে এই ঘটনায়। সাইক্লিস্ট চিংবাইও সাময়িক নিষিদ্ধ হতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.