সু চিকে গর্ডন ব্রাউনের চিঠি -সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে গর্ডন ব্রাউন সু চির প্রতি তাঁর সরকারের চলমান সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য সু চির প্রশংসা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ব্রাউন তাঁর চিঠিতে সু চির নিঃস্বার্থ ও সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, মিয়ানমারের জনগণ ও সু চির প্রতি ব্রিটিশ সরকারের সমর্থন অটুট থাকবে। তিনি লিখেছেন, ‘ব্রিটেনের সহযোগিতার ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারেন সু চি।’
২০১০ সালে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সে দেশের সামরিক জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রাউন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, এর ব্যত্যয় ঘটলে মিয়ানমারের সঙ্গে বহির্বিশ্বের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিচ্ছিন্নতা আরও প্রলম্বিত হবে।
ব্রাউন লিখেছেন, ‘বিতর্কিত সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবং এ নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ না নিলে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দিলে সে দেশের সামরিক সরকারের ওপরই এসবের দায়দায়িত্ব বর্তাবে।’ তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দীর্ঘায়িত হলে এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটলে এ জন্য জান্তা সরকারই দায়ী থাকবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘আপনার (সু চি) সঙ্গে যাতে আলোচনায় বসে, সে জন্য আমি সামরিক সরকারকে আহ্বান করা অব্যাহত রাখব। এ ছাড়া ইয়াঙ্গুনে ব্রিটিশ কূটনীতিকদের সঙ্গে আপনি যাতে বৈঠকে বসতে পারেন, সে জন্যও আমি অনুরোধ জানাব। আমি সত্যিকার অর্থে এমন আলোচনা চাই, যার ভিত্তিতে মিয়ানমারের মানুষেরা তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে মনোযোগী হতে পারে এবং সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারে।’
ইয়াঙ্গুনে ব্রিটিশ দূতাবাসের মাধ্যমে ব্রাউনের চিঠিটি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো হয়। সু চির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এটাই হলো আনুষ্ঠানিক মাধ্যম। একমাত্র মিয়ানমার কর্তৃপক্ষই চিঠিটি সু চির কাছে পৌঁছানোর এখতিয়ার রাখে।
২০ বছরের মধ্যে ১৪ বছরই সু চিকে গৃহবন্দী করে রেখেছে জান্তা সরকার। সম্প্রতি গৃহবন্দিত্বের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে আরও দেড় বছরের আটকাদেশ দেওয়া হয়। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন সু চি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১০ সালের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সু চির বিরুদ্ধে নতুন করে আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.