ক্যালিসেই উদ্ধার দক্ষিণ আফ্রিকার

মাঠটি প্রিয় দক্ষিণ আফ্রিকারও, জ্যাক ক্যালিসেরও। এক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে কোনো দলের কাছে হারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। জয় এসেছে ২০ টেস্টের ১৪টিতেই। আর এই মাঠে এর আগে ১৬ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরিতে ১৪৪৮ রান ক্যালিসের, হাজার রানও নেই আর কারও। তবে নিজেদের দুর্গেও ডুবতে বসেছিল স্বাগতিকেরা। কিন্তু প্রিয় মাঠে দেশকে টেনে তুলছেন ক্যালিস। ১২৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যালিসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দিনশেষে ৬ উইকেটে তুলেছে ২৭৯। আলোকস্বল্পতায় সাত ওভার আগেই শেষ হয় প্রথম দিনের খেলা।
টস জিতে যে আশা নিয়ে বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, তা দারুণভাবেই পূরণ করেছেন ইংলিশ বোলাররা। ম্যাচের প্রথম ওভারেই জেমস অ্যান্ডারসনের দারুণ এক বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অ্যাশলে প্রিন্স। পরের ওভারেই গ্রাহাম অনিয়নসের বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ, ধরতে পারেননি সোয়ান। এর জন্য খুব বেশি মূল্য অবশ্য দিতে হয়নি ইংল্যান্ডকে, ৩০ রানে স্মিথকে ফিরিয়েছেন অ্যান্ডারসন। এর আগেই অবশ্য হাশিম আমলাকে আউট করেছেন অনিয়নস।
৫১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা স্বাগতিকদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্যালিস ও ডি ভিলিয়ার্স। চতুর্থ উইকেটে দুজন গড়েন ৭৬ রানের জুটি। এবার পেস বোলিং সহায়ক উইকেটেও জ্বলে ওঠেন অফ স্পিনার সোয়ান। টানা দুই বলে আউট করেন ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি ডুমিনিকে। বাউচারকে নিয়ে এরপর ৮৯ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কাটান ক্যালিস। ফিফটির পরই বাউচার আউট হলেও স্টেইনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ক্যালিস। অসমাপ্ত সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজন তুলেছেন ৬৩ রান। ক্যারিয়ারের ৩৩তম সেঞ্চুরিটা করেছেন ক্যালিস ১৭২ বলে। তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৮৩.২ ওভারে ২৭৯/৬ (স্মিথ ৩০, প্রিন্স ০, আমলা ১৪, ক্যালিস ১০৮*, ডি ভিলিয়ার্স ৩৬, ডুমিনি ০, বাউচার ৫১, স্টেইন ২৬*; অ্যান্ডারসন ২/৬২, সোয়ান ২/৭৪, ব্রড ১/৫৪, অনিয়নস ১/৬০)।

No comments

Powered by Blogger.