মুক্তিযোদ্ধার টানা পঞ্চম হার

তাহলে কি অবনমনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র? অবস্থাদৃষ্টে সেটাই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ লিগে প্রথম পাঁচ ম্যাচই হেরে যাওয়া একটি দলের পক্ষে টিকে থাকা খুব কঠিন। ব্রাদার্স, শেখ রাসেল, ঢাকা মোহামেডান ও ঢাকা আবাহনীর পর কাল ফেনী সকারও যেভাবে হারিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাকে, তাতে দলটির আত্মবিশ্বাস নেমে যাওয়ার কথা তলানিতে।
১২ মিনিটে টিপুর গোল মুক্তিযোদ্ধাকে এগিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দলটির নতজানু চেহারা। দম, গতি, উদ্যম—সবকিছু হারিয়ে বসলে দুই গোল আদায় করে নেয় সকার। ৬২ ও ৭৫ মিনিটে দুটি গোলই করেছেন বদলি স্ট্রাইকার আশরাফুল কাদের মঞ্জু। পঞ্চম ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল নবাগত ফেনী সকার। তাদের পয়েন্ট ৭।
মুক্তিযোদ্ধার বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই অভিজ্ঞ। তবে এটা দলের কোনো কাজে আসছে না। বরং ‘মুক্তিযোদ্ধা বয়সের ভারে ন্যুব্জ এক দল’—এটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। ম্যাচে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দলটি লড়াই করতে পারছে, ক্লান্তির কারণে এরপরই আস্তে আস্তে ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। কাল যে দুটি গোল খেল মুক্তিযোদ্ধা, তা অনেকটা মনঃসংযোগ না থাকার কারণে। মঞ্জু দুটি গোলই করলেন হেড করে। দুবারই তিনি ছিলেন প্রায় অরক্ষিত।
এটাই বারবার বললেন হতাশ মুক্তিযোদ্ধা কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু, ‘রক্ষণকাজটা ঠিকমতো হয়নি। মঞ্জু অরক্ষিত ছিল।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এই ম্যাচ থেকেও পয়েন্ট পেলাম না...খুবই বাজে অবস্থায় পড়ে গেছি আমরা। এটাকে একটা বড় সংকট হিসেবেই দেখছি।’ দলের কেন এই অবস্থা? বললেন, ‘ম্যাচ যত গড়ায় লড়াইয়ের সামর্থ্যটা হারিয়ে ফেলে খেলোয়াড়েরা। এটাই মূল কারণ। তারওপর কিছুটা ইনজুরি সমস্যাও ছিল।’
মুক্তিযোদ্ধার চারজন বিদেশির মধ্যে একজন মাত্র আছেন। বাকি তিনজন মাঝখানের বিরতিতে দেশে গেছেন। ওই খেলোয়াড়েরা আর নাও ফিরতে পারেন। তাঁরা না এলে মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো হবে আরও কঠিন।

No comments

Powered by Blogger.