আফগানিস্তানে হামলার প্রতিশোধের অঙ্গীকার সিআইএর

আফগানিস্তানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) সাত কর্মীকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। গত বুধবার চালানো ওই হামলায় সিআইএ’র একজন নারী-কর্মীও নিহত হন।
১৯৮৩ সালে বৈরুতে বোমা বিস্ফোরণে সিআইএর আট সদস্য নিহত হওয়ার পর এটি ছিল একসঙ্গে সিআইএর কর্মীদের সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থাগুলোকে বলেন, তাঁরা ওই হামলার প্রতিশোধ নেওয়া নিশ্চিত করতে চান এবং তাঁরা এ কাজে সক্ষম। কর্মকর্তারা বলেন, সফল ও আক্রমণাত্মক সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে ওই হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে দুবার মার্কিন পাইলটবিহীন বিমান থেকে হামলা চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ওই দুই হামলায় পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
আফগান সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি মার্কিন ঘাঁটিতে ওই হামলা চালায়। ওই আত্মঘাতী হামলাকারীর চারপাশে যখন সর্বোচ্চসংখ্যক সিআইএ কর্মী ছিলেন, তখনই সে তার শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। জানা গেছে, ওই হামলাকারীর শরীরে কোনো নিরাপত্তা তল্লাশি চালানো হয়নি।
আত্মঘাতী হামলাকারী আফগান সেনাবাহিনীর সদস্য কি না, তা নিয়েও কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তালেবান দাবি করেছে, হামলাকারী ছিল আফগান সেনাবাহিনীর সদস্য। কিন্তু আফগান সেনাবাহিনী ও সরকারের মুখপাত্র তালেবানের ওই দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন।
মনে করা হচ্ছে, ওই আত্মঘাতী হামলাকারীকে সম্ভবত চর হিসেবে তৈরি করছিল সিআইএ। এ কারণে সে কোনো তল্লাশি ছাড়াই ঘাঁটিতে প্রবেশ করতে ও ঘাঁটির অনেক ভেতরে অবস্থিত ভূগর্ভস্থ ব্যায়ামাগারে ঢুকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া মার্কিন ঘাঁটিতে ওই হামলার পর আফগান সেনাবাহিনী ও মার্কিন বাহিনীর মধ্যে অবিশ্বাস বেড়ে গেছে।

No comments

Powered by Blogger.