‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ -আদিলুর রহমান খান
গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি।
বিভিন্ন সময়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা শোনা যায়, কাজ না করে বিল নিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। এর জবাবে আদিলুর রহমান খান বলেন, দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, এসব অবশ্যই আমলে নেয়া হবে। তিনি বলেন, রক্তক্ষয়ী গণআন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। সুতরাং দুর্নীতিকে মেনে নেয়ার কোনো উপায় নেই। দুর্নীতিকে মেনে দেশ চালানোর প্রশ্নই আসে না।
সাভার চামড়া শিল্পসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য দুর্নীতির যে অভিযোগ আছে, তা সমাধানের জন্য আমরা এসেছি। এ ছাড়া জাহাজ ভাঙা শিল্পে গুরুত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্ম হিসেবে শিল্প উৎপাদনে গ্যাস সংকট সমাধানকে মন্ত্রণালয়ে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানান। কারণ, অর্থনীতির চাকা পুরোপুরি সচল রাখতে শিল্পখাতে গ্যাসের সংকট নিরসন সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান কমাতে কাজ করা হবে। সেসব প্রতিষ্ঠানের সমস্যা নিরূপণ করে এসব প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সার উৎপাদনে যে সমস্যা রয়েছে তা দূর করার মাধ্যমে আমদানি-নির্ভরতা কমানো হবে। এতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ কমবে।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর সংস্থাগুলোর প্রশাসনিক সংস্কার বিষয়ে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কিছু কাজ আছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করতে কাজ করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা গেলে লোকসান কমে আসবে বলে আশা করছি। পোশাক কারখানাগুলোও একই সমস্যার কারণে যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি করতে পারছে না; এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাতে আমাদের যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, সমস্যা আছে; সেগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করবো। এ বিষয়ে উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আপনারা জানেন, গ্যাসের প্রাপ্যতা না থাকায় ছয় মাস ধরে আমাদের সার কারখানাগুলো বন্ধ। শুধু ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া প্রকল্প এখন উৎপাদনে আছে। এ ছাড়া চামড়া শিল্পনগরীর বিষয়গুলো আছে; এসব বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ঠিক করে এখন থেকেই পুরোদমে কাজ শুরুর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা।
No comments