আন্ত:রাষ্ট্র বিরোধের কারণে সার্কে স্থবিরতা

সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার(সার্ক) কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তিন বছরের বেশী সময় ধরে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আর এ জন্য ভারতকে দায়ী করেছে পাকিস্তান। দেশটির মতে, ভারত আচরণ না বদলালে সার্কের অগ্রগতি কঠিন। ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তাহ সার্কভুক্ত কয়েকটি দেশের বিরোধীতার কারণে ২০১৬ সালে শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েও তা আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান। কাশ্মিরকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তান পরষ্পরের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় আক্রমন-পাল্টা আক্রমন চালালে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের নেতৃত্বে সার্কভুক্ত অধিকাংশ দেশ ইসলামাবাদ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকে। সার্কের নিয়ম অনুযায়ী কোনো একটি দেশের সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই শীর্ষ সম্মেলন ভেস্তে যায়।
সার্কের সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলন ২০১৪ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখাপত্র সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক করেছেন। সার্কের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন। নেপাল সার্কের ব্যাপারে অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে ভারত তার আচরণ না বদলানো পর্যন্ত সার্কের অগ্রগতি কঠিন। কেননা ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সার্কের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নেপালে সার্কের সচিবালয় অবস্থিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহেদ আব্বাসির কাঠমান্ডু সফরে দুই দেশ আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতির স্বার্থে সার্ক প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করতে একসাথে কাজ করার ব্যাপারে একমত পোষন করে। পাকিস্তান ও নেপাল সার্ককে আরো কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক ইস্যুর প্রভাব সার্কের কর্মকান্ডে পড়া উচিত না। সার্ক প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করতে শ্রীলঙ্কার সাথেও কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পকিস্তান। ইসলামাবাদে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার মেজর জেনারেল(অব:) জয়নাথ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি এই ইচ্ছার কথা জানান।

No comments

Powered by Blogger.