শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের পথ একটাই

বই, খাতা, স্কুলের ভারে ভারাক্রান্ত শৈশব। মাঠ, ঘাট, দমকা হাওয়ায় ভেসে যাওয়ার টান বাঁধা পড়ছে ইট-কাঠ-কংক্রিটের জঙ্গলে। বই থেকে মুখ তুললেই কার্টুনের জগতে। সবুজ মাঠ থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকার সব উপকরণ চার দেয়ালের ভেতরেই মজুত। পড়াশোনা ছাড়া কার্টুন। এভাবেই আবর্তিত শৈশবকাল। সবুজ ঘাসে পা ফেলার ফুরসত কই! ভুল হয়ে যাচ্ছে। বিরাট ভুল। দৌড়তে হবে। আরো বেশি। পা ফেলতে হবে মাটিতে। বই-খাতায় মুখ গুঁজে থাকলেই বুদ্ধি বাড়ে না। টিভির পর্দায় চোখ আটকে থাকলে 'আই কিউ' বাড়ে না। বুদ্ধি বিকাশের একটাই পথ। দৌড়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাধারণত আট বছর বয়স পর্যন্ত বুদ্ধির বিকাশ হয়। চিকিৎসাশাস্ত্র বলে, একজন মানুষ খুব বেশি হলে তার বুদ্ধির মাত্র দুই শতাংশ ব্যবহার করতে পারে। আমেরিকার দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এজিং-এর গবেষণা বলছে, দৌড়ালে মানুষের শরীরের মাংসপেশি থেকে ক্যাথাপসিন বি নামে একটি প্রোটিন বেরোয়। এই প্রোটিন সরাসরি মস্তিষ্কে প্রবাহিত হয়। ক্যাথাপসিন বি নামে এই প্রোটিনেই লুকিয়ে রয়েছে বুদ্ধি বাড়ার রহস্য। গবেষকদের দাবি, চার মাস ধরে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ২০ মিনিট করে দৌড়ালে পেশিতে ক্যাথাপসিন প্রোটিনের নিঃসরণ বাড়তে থাকে। রক্তে এর পরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কের নিউরোজেনেসিসগুলো প্রভাবিত হয়। ফলে, খুব সহজেই কেউ জটিল কাজ করতে পারে। সূত্র : ইন্টারনেট

No comments

Powered by Blogger.