জমি দখল করে বিপণিবিতান করেছেন ছাত্রলীগ নেতা

সড়কের জমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণ করেছেন ভোলার
বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক
নেতা। ছবিটি গত রোববার দুপুরে তোলা l প্রথম আলো
সড়কের জমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণ করছেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরও নির্মাণকাজ চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোলা-চরফ্যাশন আন্তমহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে বৈদ্যেরপুল বাজার। বাজারের শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সড়কের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে। সর্বশেষ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আমানুল্যাহ ও তাঁর সহযোগীরা দুই মাস আগে সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে একটি বিপণিবিতান নির্মাণ করেন। আমানুল্যাহর ছেলে বেল্লাল হোসেন নিজেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করলেও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রিয়াজ জানান, বেল্লালকে সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে।
সওজের কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে আমানুল্যাহ ও তাঁর সহযোগীদের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। কিন্তু তাঁরা তা না শুনে নির্মাণকাজ শেষ করেন।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আমানুল্যাহ ও তাঁর সহযোগীরা দুই মাস আগে সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে একটি বিপণিবিতান নির্মাণ করেন এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা বেল্লাল হোসেন ও তাঁর বাবা আমানুল্যাহ বলেন, যে জমিতে তাঁরা বিপণিবিতান নির্মাণ করেছেন, সেটি তাঁদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া; সড়ক বিভাগের নয়। সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় কিছু লোক শত্রুতা করে নির্মাণকাজে বাধা দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সওজ বিভাগের সার্ভেয়ার (জরিপকারী) সফিকুল ইসলাম বলেন, আমানুল্যাহ ও তাঁর সহযোগীরা সড়কের জমি দখল করে বৈদ্যেরপুল বাজারে বিপণিবিতান নির্মাণ করছেন। সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৬-৮৭ ফুট। ফুটপাত দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণের কারণে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। বিপণিবিতানটি উচ্ছেদের জন্য এ সম্পর্কিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন সরকার অভিযোগ করেন, দখলের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার জন্য পুলিশকে এবং উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতনকৃষ্ণ রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমি নয় মাস ধরে দায়িত্বে আছি। সওজের কোনো জমি দখলের খবর ও সেটি উচ্ছেদের চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে দখল বন্ধ করতে সুবিধাই হতো।’

No comments

Powered by Blogger.