অপহৃত রাজ্জাককে ফেরাতে মংডু গেছে বিজিবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অপহৃত নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনতে আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মংডুতে পতাকা বৈঠকে অংশ নিতে গেছে বিজিবির প্রতিনিধিদল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ বৈঠক হওয়ার কথা।
বিজিবির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন টেকনাফ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবু জার আল জাহিদ। বিজিবির প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবে।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটি দিয়ে কোস্ট গার্ডের দুটি হাইস্পিড বোটে বিজিবির প্রতিনিধিদল মংডুর উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় টেকনাফ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, ‘অপহৃত রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনতে তাঁরা পতাকা বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন।’
আজ সকালের এ বৈঠকের পর অপহৃত বিজিবি সদস্য রাজ্জাককে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।
মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) আট দিন আগে রাজ্জাককে অপহরণ করেছিল।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, মংডুর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।
১৭ জুন ভোরে বিজিবির ছয় সদস্যের একটি দল নায়েক রাজ্জাকের নেতৃত্বে নাফ নদীতে টহল দিচ্ছিল। তাঁরা বাংলাদেশের জলসীমায় মাদক চোরাচালান সন্দেহে দুটি নৌকায় তল্লাশি করছিলেন। এ সময় মিয়ানমারের রইগ্যাদং ক্যাম্পের বিজিপির সদস্যরা একটি ট্রলারে করে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বিজিপির সদস্যদের বহনকারী ট্রলারটি বিজিবির টহল নৌযানের কাছে এসে থামে। বিজিপির ট্রলারটিকে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যেতে বলা হলে তারা নায়েক রাজ্জাককে জোর করে ট্রলারে তুলে নেয়। বিজিবির অন্য সদস্যরা এতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে সিপাহি বিপ্লব কুমার গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিজিপির ট্রলারটি রাজ্জাককে নিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
মিয়ানমারের অভিযোগ, আবদুর রাজ্জাক তাদের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছেন।
রাজ্জাককে অপহরণের পর তাঁর হাতকড়া পরানো ছবি বিজিপির ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ ধরনের ছবি প্রচারের তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ।

No comments

Powered by Blogger.