রুখে দাঁড়াও সহিংসতা- ভাষাশহীদদের প্রতি জাতির বিনম্র শ্রদ্ধা

ভোর হতেই দেশের সব রাজপথ মিশেছিল শহীদ মিনারে। মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জয়ী বীর বাঙালি জাতি আবারও বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করল তার গর্বিত পূর্বসূরিদের। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শহীদ মিনারের বেদিগুলোও ভরে উঠেছিল ফুলেল শ্রদ্ধায়। ফাল্গুন ভোরের হিম হাওয়ায় নগ্ন পদে সবাই ছুটেছেন শহীদ মিনারের পানে। অবরোধের বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিল লাখো মানুষের ঢল। মা, মাটি, দেশ আর মাতৃভাষার প্রতি বাঙালির অপরিসীম মমত্ববোধের চিরায়ত প্রকাশ ঘটে গতকাল।  ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ, যুবা, তরুণ-তরুণী, পাহাড়ি, বাঙালি, ভিনদেশি, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই সারিবদ্ধভাবে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সবার কণ্ঠে ছিল অমর একুশের কালজয়ী সেই গান 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো/একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...।'
চলমান সহিংসতা, হরতাল-অবরোধ, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস আর নিষ্ঠুরতার শিকড় উপড়ে ফেলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আর সমাজে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেওয়ার অঙ্গীকারে এ বছর সারাদেশে পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
শহীদ বেদি থেকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চারিত হয়েছে তীব্র ঘৃণা। বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনারে নিয়ে আসা তাদের ব্যানারে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের নিন্দা জানায়।
শুক্রবার মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সারি দেখা যায় শহীদ মিনারে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শেষ হলে শহীদ মিনার সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। ফুলের ডালি নিয়ে আসতে থাকেন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংগঠন। তবে শ্রদ্ধার্ঘ্য অপর্ণের জন্য শনিবার সকালে নামে মানুষের ঢল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষের সারি আরও দীর্ঘ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, পলাশী মোড় ছাড়িয়ে নীলক্ষেত ও ইডেন কলেজের পাশেও দীর্ঘ লাইনে ফুল হাতে সারিবেঁধে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় সব বয়সের মানুষকে। মাঝরাতে রওনা দিয়ে কেউ কেউ পেঁৗছেছেন ভোরে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্টও ছিল সবার কাছে তুচ্ছ। তাই তো ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিশ্বে রক্ত দেওয়ার অনন্য গৌরব কেবলই বাঙালির।
দূর হোক সন্ত্রাস, সহিংসতা ও নৈরাজ্য: রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন ও সন্তানদের নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সংঘাত-সহিংসতার পথ পরিহার করে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব ছিল ফুল হাতে আসা মানুষের কণ্ঠ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাদা ব্যানারে বড় বড় লাল বর্ণমালায় লেখা ছিল 'পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা বন্ধ করো'।
শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, ভাষার দিনেও হরতাল-অবরোধ পালন দুঃখজনক। সবারই সহিংসতার পথ পরিহার করা উচিত। তিনি প্রস্তাব করেন, ভাষাসৈনিকরা যাতে রাষ্ট্রীয় প্রটোকলে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
শহীদ মিনারে ফুল নিবেদন শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, 'আমার ৫৫ বছরের রাজনীতিতে অতীতে আর কখনও দেখিনি মহান একুশের দিন কাউকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিতে বা পালন করতে। পরাধীন দেশেও কখনও এমনটি ঘটেনি।' আর খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেননি খালেদা জিয়া। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির প্রতি তার কোনো ভালোবাসা নেই।
শুক্রবার মধ্যরাতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ভাষার মাসে দেশের মানুষ পেট্রোল বোমায় মরবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ভাষা আন্দোলনের এত বছর পর কেন দেশের সাধারণ মানুষ পুড়ে মরবে! এই চেতনা নিয়ে তো ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন ফোরামের মহাসচিব আশরাফ আলী খলিফা বলেন, হরতাল-অবরোধ ভেঙে শহীদ মিনারে জনতার ঢল প্রমাণ করে, এ দেশের মানুষ সহিংসতা চায় না। তারা দেশটাকে ফুলের বাগানের মতো দেখতে চায়।নিজ দলের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ভাষার দিনে গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভিনদেশিরাও: একুশের প্রথম প্রহরেই শ্রদ্ধা জানান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'রক্তে রাঙা একুশে ফেব্রুয়ারি সবার মাঝে গর্বের সঞ্চার করে। স্যালুট ভাষাশহীদদের।'
গতকাল দিনভর শহীদ মিনারে বিদেশিদের আগমনও ছিল লক্ষণীয়। তাদের অনেকের গালে শোভা পায় শহীদ মিনারের অঙ্কিত চিত্র। ফ্রান্সের নাগরিক প্যাক্স জানান, ভাষার জন্য প্রাণদানকারীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে তিনি গর্বিত।
এদিকে, ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা ও সংরক্ষণের দাবি জানান। রাখাইন স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মং এস সে সমকালকে বলেন, 'আমাদের মাতৃভাষায় নূ্যনতম প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।' সে জন্য পাঠ্যপুস্তকগুলো তাদের ভাষায় রচনার উদ্যোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এ দেশের সব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দাবিও একই রকম বলে তিনি মনে করেন।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও ছিলেন না পিছিয়ে। শহীদ মিনারে এসে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে যাত্রাবাড়ী জামেয়া আবু বকর কওমি মাদ্রাসার ছাত্র শিহাব ও সাইফ সমকালকে বলেন, দেশপ্রেম থেকেই এখানে এসেছি। দেশটা তো আমাদের সবার, তাই আমরা শান্তি ও সুখ চাই। সন্ত্রাস-নৈরাজ্য দেশ থেকে দূর হয়ে যাক।
প্রথম প্রহরে: একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা দু'জন ফুল দেওয়ার পর শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সফররত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের স্পিকার ব্যারোনেস ডি সুজা। এর পর শহীদ বেদিতে ফুল দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে সফরে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাদের পরেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও উপদেষ্টারা। তাদের মধ্যে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাজাহান খান, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ। এর পর আসেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা।
রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এর পর ফুল নিয়ে আসেন পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর প্রধানগণ, ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের চেয়ারপারসন সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও ভাষাসৈনিকরা।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এদিকে, লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ২০ দলীয় জোটের প্রধান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাননি। বিএনপি জোটের কোনো দল বা নেতাও প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাননি শহীদ মিনারে। তবে গতকাল সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও অধ্যাপক মাজিদুল ইসলামের নেতৃত্বে শহীদ বেদিতে ফুল দেন বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া গতকাল বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে লোকসমাগম কম দেখা গেছে বলে সেখানকার শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন জানিয়েছেন। শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এয়ার রোভারের একজন সদস্য জানান, গত বছরগুলোর তুলনায় এবারে মধ্যরাতের পর মানুষের উপস্থিতি কম। রাত পৌনে ৩টার পর থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত শহীদ মিনার অনেকটা ফাঁকাই ছিল। তাই শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের বেগ পোহাতে হয়নি। এ জন্য বর্তমান সহিংস রাজনীতি অনেকাংশে দায়ী বলে মত দিয়েছেন কয়েকজন।
বর্ণাঢ্য কর্মসূচি: নানা বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গর্ব আর শোকের এই দিনটি পালন করলেও দিনের মূল কর্মসূচি ছিল শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। দুপুর ২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেল ৩টায় শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করে শোনান বিদেশিরা; ছিল গানের আসরও। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরেও ছিল বিশেষ আয়োজন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তাবলয়: অমর একুশে উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিল র‌্যাব-পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র‌্যাব-৩-এর কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমও সক্রিয় ছিল নিরাপত্তাবলয় তৈরিতে। এ ছাড়া পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা ও হেলিকপ্টার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পুরো শহীদ মিনারের আশপাশের এলাকা নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা হয়।
দেশজুড়ে নানা আয়োজন: রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে দিনভর শহীদদের স্মৃতির প্রতি পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন ছাড়াও ছিল কবিতা পাঠের আসর, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, শিশু চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হস্তাক্ষর ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠান।

No comments

Powered by Blogger.