আমরা ভুলিনি, ক্ষমা করিনি

ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মস্কোতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এতে কিয়েভ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামে অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ। এক বছর আগে ইয়ানুকোভিচকে হটানোর নিন্দা জানান তারা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা ভুলিনি, আমরা ক্ষমা করিনি’ প্লাকার্ড নিয়ে কিয়েভ বিরোধী স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, গত বছর ময়দানে (স্বাধীনতা স্কয়ারে) যা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। রাশিয়াতে এমন ঘটনা কখনোই ঘটতে দেবো না। উল্লেখ্য, গত বছর ইউক্রেনের স্বাধীনতা স্কয়ারে ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়।
তার সূত্র ধরে ইউরোপপন্থীরা ২২ ফেব্রুয়ারি ইয়ানুকোভিচকে অপসারণ করে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ইউক্রেন স্টাইলের কোনো অভ্যুত্থান রাশিয়ায় যেন না ঘটে সে ব্যাপারে হুশিয়ারি করতে ক্রেমলিনপন্থীরা এই বিক্ষোভ করে। পুলিশ জানায়, এই বিক্ষোভে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম ঘটেছে। ক্রেমলিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা পুতিনবাদ চিরস্থায়ী বলেও স্লোগান দেয়। এদেিক রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ­াদিমির পুতিনের সমালোচনাকারী এক বিরোধী নেতাকে দুই সপ্তাহের জেল দিয়েছে রাশিয়ার আদালত। ক্রেমলিনকে কটাক্ষ করায় আলেক্সি নাভালনি নামের ওই সমালোচকের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়। খবরে বলা হয়েছে, ১ মার্চ পুতিনবিরোধী এক র‌্যালিতে অংশ নেয়ার জন্য সাধারণকে আহ্বান জানিয়েছিলেন নাভালনি। ওই অপরাধে মস্কো প্রেস্নেনস্কি আদালত নাভালনিকে এ সাজা প্রদান করেন। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে টুইটার বার্তায় নাভালনি সমর্থকদের ১ মার্চের র‌্যালিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি কম করে হলেও এক লাখ মানুষকে সমাবেত করতে চেয়েছিলেন ওই র‌্যালিতে। কিন্তু এখন ধারণা করা হচ্ছে, তার অনুপস্থিতিতে ওই র‌্যালিতে জনসমাগম অনেক কম হবে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ভ­াদিমির পুতিন। তার বিরুদ্ধে ২০১১-২০১২ সালে বিক্ষোভ-আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাভালনি।
ইউক্রেনে সেনা ও ট্যাঙ্ক
পাঠাচ্ছে মস্কো : কিয়েভ
ইউক্রেন অভিযোগ করে বলেছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক রাজ্যে আরও সেনা ও ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে রাশিয়া। শুক্রবার কিয়েভের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পাঠানো ওইসব সেনা ও ট্যাঙ্ক ইউক্রেনের নভোয়াজোভাস্ক শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে নতুন করে সহিংসতার আশংকা করা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.