অবরোধে কুতুবদিয়ায় উৎপাদিত লবন অবিক্রিত পড়ে আছে by আরিফুল ইসলাম

হরতাল-অবরোধের কারণে নতুন অর্থ বছরের কুতুবদিয়ায়  উৎপাদিত প্রায় ১০ লক্ষাধিক মন লবন বিক্রি বন্ধ হয়ে আছে। দ্বীপ উপজেলায় হরতাল-অবরোধ পালিত না হলেও নৌ-পরিবহন সম্যায় পড়েছে লবন ব্যবসায়িরা।
চট্টগ্রামে লবনের সরবরাহ চাহিদা না থাকায় চাষিরা মাঠেই জমা করছে নতুন উৎপাদিত লবন। গত ১ মাস ধরে লবন উঠতে শুরু হরলেও বেচা-বিক্রি নেই। চাষিরা জানান,উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে গত এক মাসেই অন্তত: ৫ লাখ মণ লবন উৎপাদন হয়েছে। এ ছাড়া বেশি দামের আশায় চাষিরা গত বছরের উৎপাদিত লবনের প্রায় ৫ লাখ মণ জমা রাখে মাঠের গর্তে। তবে এই আশায় গুড়েবালি পড়েছে। মাঠ পর্যায়ে লবনের দাম মাত্র ১০০ টাকা প্রতিমণ।

কৈয়ারবিল সিকদার পাড়ার হাজী আছাদ উল্লাহ খানের লবন শ্রমিক সামসুদ্দোহা বলেন, মাঠে লবনের দাম নেই। সরকারি নির্ধারিত প্রতিমণ ১৬০ টাকা থাকলেও হরতাল-অবরোধের ফলে মাঠের লবনের দাম মাত্র ১০০ টাকা। লবন ব্যবসায়িদের লাগিয়ত জমি না হলে ১২৫ টাকা দর উঠছে। সস্তা লবনের চাহিদাও নেই চট্টগ্রাম,ঢাকায়। যে কারণে মাঠে বাধ্য হয়েই গর্তে জমা করা হচ্ছে লবন। লেমশীখালীর লবন ব্যবসায়ি আব্দু রহিম বলেন, পরিবহন বিপর্যায়ে থাকায় ঢাকা,চট্টগ্রামের মিল গুলোতে লবন সরবরাহ বন্ধ। তার নিজের অধিনে নতুন লবন মাঠে পড়ে আছে প্রায় ৫ হাজার মণ। দাম না থাকা ও হরতাল-অবরোধের ফলে  লবন পরিবহন হচ্ছেনা। তিনি আরো জানান উপজেলায় অন্তত: শতাািধক লবন ব্যবসায়ি রয়েছে। সবারই একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সে হিসেব অনুযায়ি নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ১০ লক্ষাধিক মণ লবন অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে কৃষকের মাঠেই। অনেকে শ্রমিকের বেতন দিতে পারছেনা লবনের দাম পড়ে যাওয়ায়। লবন উৎপাদনের শুরুতেই এমন দরপতন পরিস্থিতির শিকার হওয়ায় চাষিরা পড়েছে বিপাকে। তেমনি বিপাকে পড়েছে লবন ব্যবসায়িরা। নৌপথে অবরোধ থাকায় বোট মালিকগন অনিহা প্রকাশ করছেন লবন পরিবহনে। এ ভাবে লবন পরিবহন বাধা ও দরপতনে বিপর্যায়ে দিকে চলে যাচ্ছে দ্বীপাঞ্চলের লবন শিল্প।আগামিতে লবন চাষে অনিহাও প্রকাশ করেন অনেক চাষি।

No comments

Powered by Blogger.