ক্রিকেট ও নির্বাচনী খেলার টিকিট by মোঃ মাহমুদুর রহমান
আগামী
বছর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে টি
২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৪ সালে।
সম্ভবত জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। তারপর মার্চ মাসে শুরু হবে বিশ্বকাপ
ক্রিকেট। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও বিশ্বকাপ
ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট সবাই জড়িত। জাতীয় রাজনীতির চূড়ান্ত জয়-পরাজয় নির্ধারণী খেলা
হচ্ছে সংসদ নির্বাচন। আর ওয়ানডে ক্রিকেটের মিনি সংস্করণ টি ২০-তে
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের চূড়ান্ত খেলা হচ্ছে টি ২০ বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে
উভয় খেলার দৃশ্যমান কার্যক্রম শুরু হয়েছে জোরেশোরে। ১৭ নভেম্বর থেকে
আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আইসিসি
নিযুক্ত একটি ভারতীয় সংস্থার স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের দুটি
ব্যাংকের ১০০টি শাখা থেকে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বের যে কোনো
প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কেনার সুযোগ রয়েছে। আপাতত টিকিটের
বিপরীতে টাকা সংগ্রহ করে মানি রিসিপ্ট দেয়া হচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে
থাকলে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট বুকিং নেয়া হচ্ছে। পরে মূল টিকিট
দেয়া হবে। এভাবে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সিরিয়াল অনুসারে টিকিট সংগ্রহ করলে
কোনো সমস্যা হতো না। ক্রীড়ামোদী বেশিরভাগ মানুষই টিকিট পেতে সক্ষম হতেন।
অথচ দেখা গেল, একেকজন আগের দিন থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘ লাইন। ব্যাংক
কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাংকের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে
বাধ্য হল। নির্ধারিত সময়ে যখন টিকিট বিক্রি শুরু হল তখন সিরিয়ালের প্রথম
থেকে যারা টিকিট নিতে এলেন তাদের দেখে মনে হল তারা খেলার প্রকৃত দর্শক নয়।
হয় তারা অন্যের জন্য টিকিট সংগ্রহ করছে অথবা পরে বেশি দামে কালোবাজারি করার
জন্য টিকিট নিচ্ছে। কারণ তাদের বেশির ভাগেরই ধারণা নেই কোন স্টেডিয়ামে কোন
খেলা হচ্ছে। কার সঙ্গে কে খেলবে। তবে একটা বিষয়ে টিকিট সংগ্রহকারী সবার
আগ্রহ ছিল সমান। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের খেলার টিকিট। যারা কালোবাজারি বা
অন্যের জন্য দিনমজুর হিসেবে দুই দিন থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে- তারা কোন
তারিখে ভারত-পাকিস্তান খেলা তা না জানলেও টিকিট তাদের চাই-ই চাই।
No comments