নিউইয়র্কে ইউনিসেফ-এর সদর দফতরে গৃহদাসী আদুরী, নিলুফা এবং রিতাদের কথা by মহিউদ্দিন আহমদ

‘ইউনিসেফ’- জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল- বাংলাদেশের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে নির্যাতিত শিশু গৃহদাসীদের রক্ষায় আর কি কি ব্যবস্থা নিতে পারে, আমার সাম্প্রতিক নিউইয়র্ক সফরকালে তা আলোচনা করার জন্য ৩১ অক্টোবর এ সংস্থাটির সদর দফতরে গিয়েছিলাম। ড. সুসান বিসেল (ঝঁংধহ ইরংংবষষ চয.ফ) নামের এক ভদ্র মহিলার সঙ্গে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট। ইউনিসেফে তিনি শিশু রক্ষা বিভাগের প্রধান (চিফ, চাইল্ড প্রোটেকশন)। ড. সুসান বিসেলের বয়স ৫০-এর মতো হবে, দেখতে মমতাময়ী এক মায়ের মতোই। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯- এ ৬ বছর তিনি বাংলাদেশে ঢাকার ‘ইউনিসেফ’ অফিসে কাজ করেছেন। এখনও একটু একটু বাংলা বলতে পারেন, ড. হামিদা হোসেন, সুলতানা কামাল, মরহুম সালমা সোবহান এদের নাম এখনও তার মনে আছে। এদের সঙ্গে তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন। বাংলাদেশকে তিনি এখনও গভীরভাবে ভালোবাসেন; এ ভালোবাসার প্রকাশে তিনি তার মেয়ের নাম জেসমীন রেখেছেন। তার অফিসে তিনি বাংলাদেশের কয়েকটি ছবিও টাঙিয়ে রেখেছেন।
ড. সুসান বিসেলের এই ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে আমার কাজটি সহজতর হল। বাংলাদেশের শিশুদের সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি সম্যক অবগত আছেন। দুনিয়ার আরও কতগুলো দেশে শিশুদের ওপর কেমন নির্যাতন নিষ্ঠুরতা চলছে এবং তার মোকাবেলায় তারা কী করছেন তারও একটু বর্ণনা দিলেন তিনি আমাকে। আমাদের দেশে অনেক পরিবারে গৃহকর্মী ছাড়া চলে না, শিশুদের বাবা-মায়েরা বাধ্য হয়েই শিশুগুলোকে শুধু বাঁচিয়ে রাখতে, কখনও কখনও শুধু খাওয়া-পরার বিনিময়ে তাদের শিশু ছেলেমেয়েগুলোকে এমন নিষ্ঠুর পরিবার ও পরিবেশে রেখে যেতে বাধ্য হন- আমাদের আলোচনায় তা-ও এলো। আমাদের দেশে এখনও ৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে, এই পরিবারগুলোর শিশু সদস্যদের রুজি-রোজগারে অনেক পরিবারের খাওয়া-পরা চলে, অনেক পরিবারে এই ছোট শিশুগুলোর গতরের ছোট ছোট আয়ও প্রবল ভূমিকা রাখে।
জনসচেতনতার সৃষ্টি, পরিবারের কর্তা-কর্ত্রীদের শিশু গৃহদাসীদের ওপর চালানো নিষ্ঠুরতা থেকে বিরত রাখতে পারে, এ বিষয়ে আমরা একমত হলাম। এই জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ঢাকার ‘ইউনিসেফ’ অফিস কিছু কাজ করছে, যেমন শুভেচ্ছা দূত নিয়োগ। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ‘সেলিব্রিটি’দের জাতিসংঘ এবং ইউনিসেফ তাদের আদর্শ, উদ্দেশ্য প্রচারে ‘গুডউইল এম্বাসেডর’ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। তারা নিয়মিত কোনো বেতন-ভাতা পায় না; তবে চাইলে বছরে এক মার্কিন ডলার প্রতীক সম্মানী নিতে পারেন।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের আদর্শ, উদ্দেশ্য প্রচারে মাস কয়েক আগে সিনেমা অভিনেত্রী মৌসুমী, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে এমন শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ইউনিসেফ নিয়োগ দিয়েছে। এ তিনজনই বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সেলিব্রিটিদের মধ্যে আছেন, সুতরাং যোগ্যতম তিন বাংলাদেশীকেই বাংলাদেশের ‘ইউনিসেফ’ কাজে লাগাতে চেয়েছে। তবে এ তিন সেলিব্রিটি দৃশ্যমান কী কাজ গত তিন-চার মাসে করেছেন, তা নিয়ে আমার ‘সিরিয়াস’ প্রশ্ন আছে, এ প্রশ্নটি আমি করেছি আমার নিউইয়র্ক যাওয়ার আগে, গত ৩ অক্টোবর এই দৈনিক যুগান্তরে ‘শিশু গৃহদাসী আদুরী ও নিলুফাদের ঠিকানা ঢাকা মহানগরের ডাস্টবিন’ শিরোনামে লেখায়। আমার এ লেখায় আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম, ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ শিশু আদুরীকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যেতে পারলেন, কিন্তু এই তিন শুভেচ্ছা দূতের একজনও তা পারলেন না কেন? বেনজীর আহমেদ মৃত ভেবে ডাস্টবিনে রেখে আসা আদুরীর জন্য কিছু ফলমূলও নিয়ে গিয়ে একটি অনুসরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করলেন, কিন্তু এই উদাহরণটি মৌসুমী, জুয়েল আইচ বা সাকিব আল হাসানদের চোখে পড়ল না কেন? নাকি তারা টিভি দেখা, পত্রপত্রিকা পড়া ছেড়ে দিয়েছেন।
শিশু নির্যাতনের এমন কোনো ঘটনার পরপরই আমাদের ‘সেলিব্রিটি’দের কেউ শিশু ‘ভিকটিম’টি দেখতে বা ঘটনাস্থলে গেলে, মিডিয়াতে তারা একটু ‘একটিভ’ হলে, খবরটি আরও গুরুত্ব পায়, খবরটি আরও বড় হয় এবং তাতে মানুষের সচেতনতা আরও বাড়ে। এমন কিছু শুভেচ্ছা দূতদের তিনজনের কেউ আদুরীর ক্ষেত্রে করেননি। করেননি অতি সম্প্রতি মাত্র গত সপ্তাহে গত ১৮ নভেম্বর ঢাকার পূর্ব শেওড়াপাড়ায় মৃত গৃহদাসী রিতার ক্ষেত্রেও। সুসান বিসেল শিশু আদুরীর ওপর গত ৩ অক্টোবর যুগান্তরে প্রকাশিত আমার লেখাটির একটি কপি আগ্রহের সঙ্গে আমার কাছ থেকে নেন এবং বলেন যে, এ লেখাটি তিনি তাদের ঢাকা অফিসে পাঠিয়ে দেবেন। নিউইয়র্কে থাকতেই আমাদের বাংলাদেশের কোনো একটি টিভি চ্যানেলে আমাদের এই তিন শুভেচ্ছা দূতের বাণী প্রচার হতে দেখেছি। এই বাণীতে তারা শিশুদের ওপর নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু এখানে আমার দাবি- ঢাকার ‘ইউনিসেফ’কে এমন বিজ্ঞাপনচিত্র বেশি বেশি প্রচার করতে হবে; আর আমাদের শুভেচ্ছা দূতদেরও নির্যাতিত শিশুদের হাসপাতাল বা ঘটনাস্থলে দেখতে যেতে হবে। মিডিয়াকে আগে খবর দিয়ে এবং দরকার হলে একাধিকবার যেতে হবে; যেমন করেছেন পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ।
দুই.
পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদের প্রশংসা আমি আগের লেখায় করেছি, এই লেখায়ও এখন করছি।
(আমার আগের লেখাটির কথা জানাতে বেনজীর আহমেদকে টেলিফোন করেছিলাম। তিনি আমার টেলিফোন ধরেননি। তার এক স্টাফ অফিসার নুরুন্নবীকে টেলিফোন করে মেসেজ রেখেছিলাম, কিন্তু তারপরও কোনো টেলিফোন পাইনি। বুঝলাম না, তার জন্য আমার প্রশংসা তার চোখে পড়েছে কিনা। এক বছর আগে চ্যানেল একাত্তর-এর সামিয়া জামানকে প্রশংসা জানাতে টেলিফোন করেছিলাম। তিনিও আমার টেলিফোন ধরেননি, ই-মেইলের জবাব দেননি। তখনও এক নির্যাতিত গৃহদাসীর ওপর তাদের প্রচারিত সংবাদচিত্রের প্রশংসা করতে চেয়েছিলাম)। পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ, কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শিশু আদুরী এবং তার মাকে তিন সপ্তাহ আগে তার অফিসে ডেকে এনে আরও কিছু উপহার দিয়েছেন। তার পুলিশ বাহিনীর কোনো এক কর্মকর্তার আত্মীয় কানাডা থেকে আদুরীর জন্য ৭৬ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন, সেই টাকা আদুরীর মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছেন; এ টাকা দিয়ে আদুরীর মা কয়েকটি রিকশা কিনে ভাড়ায় খাটাবেন। এতে তার একটি নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা হবে। এসব খবর নিউইয়র্কেই জেনেছি। টিভিতে দেখেছি।
জামায়াত-শিবিরের হামলায় গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। জামায়াত-শিবিরের এমন হামলা টিভিতে দেখছি, পত্রপত্রিকায় মর্মান্তিক সচিত্র খবরও পড়ছি। দিনরাত তারা ডিউটি করছেন, আইন মান্যকারী নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করে চলেছেন, তারপরও তারা নিন্দিত হচ্ছেন কোনো কোনো গণমাধ্যমে। গণমাধ্যমের লোকজন কোনো অন্যায় করে না, যেন ঘুষ খায় না, ব্ল্যাকমেইল করে না।
একদিকে এমন কঠোর কঠিন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দায়িত্ব পালন অন্যদিকে শিশু আদুরীদের জন্য এমন দরদ, মমত্ববোধ। তারিফ অবশ্যই করতে হয়।
কিন্তু এমন মর্মস্পর্শী মায়া-মমত্বের বিপরীতে সেদিন গত ১৮ নভেম্বর এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সোনিয়া আখতারকে শেওড়াপাড়ায় তার বাসা থেকে গৃহকর্মী রিতাকে ধাক্কা মেরে উপর তলা থেকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলেছে, এমন গুরুতর অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে চলছে। এই বাহিনীর নিষ্ঠুরতা অবশ্যই আমাদের পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি কলংক।
শেওড়াপাড়ার এ মহিলার শাস্তির দাবিতে ওখানকার স্থানীয় লোকজন যেমন জেগে উঠেছে তা আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। অভিযুক্ত মহিলাকে ওখানকার পুলিশ প্রোটেকশন দিচ্ছে, এমন অভিযোগে লোকজন রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও করেছে। একজন দৃশ্যত অভিযুক্ত মহিলার শাস্তির দাবিতে একজন পুলিশ সদস্যকে আহত করা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। এমন জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘ইউনিসেফ’-এর বাংলাদেশী শুভেচ্ছা রাষ্ট্রদূত- মৌসুমী, জুয়েল আইচ এবং সাকিব আল হাসানদের কাছে প্রত্যাশিত। তাদের কোনো একজনও যদি সেদিন শেওড়াপাড়ায় যেতেন, লোকজনকে আইনি পথে প্রতিকার চাইতে, সংঘবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন লোকজন হয়তো সেদিন সহিংস হয়ে উঠত না।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি মর্মান্তিক দৃশ্যের কথা বলি, আদুরীর নির্যাতনকারী মহিলা নওরীন আখতার নদী এবং রিতাকে উপরের ছাদ থেকে ঠেলে নিচে ফেলে মেরে ফেলার অভিযোগে অভিযুক্ত মহিলা সোনিয়া আখতার, তাদের দু’জনকে যখন আদালত থেকে জেলে নেয়া হচ্ছে- দেখি তাদের দু’জনের কোলেই এক বছর বা তারও কম বয়সী শিশু!! তাদেরই শিশু। তারাও মা, বুকে তাদের শিশু সন্তানদের তারা আঁকড়ে ধরে আছে। শিশুগুলো কিছুই বুঝছে না, হয়তো ঘুমাচ্ছে। এখন এই নির্দোষ শিশুগুলোকেও তো মায়ের সঙ্গে জেলে থাকতে হবে। এ শিশুদের কিভাবে রক্ষা করা যায়, টিভিতে তাদের দেখার পর, এই চিন্তা-দুশ্চিন্তাও আমাকে তাড়া করে চলেছে। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, মা হয়েও এই মহিলাগুলো কিভাবে অন্য শিশুদের ওপর এমন নিষ্ঠুরতা দেখাতে পারে।
তিন.
ড. সুসান বিসেলের অফিসে যাওয়ার পথে এখন একটি আমোদজনক (বা উদ্বেগজনক) অভিজ্ঞতার কথা। নিউইয়র্কের সেকেন্ড এভিনিউর খান্দানী এলাকায় অবস্থিত আমাদের স্থায়ী মিশনের পাশেই ‘ইউনিসেফ’-এর সদর দফতর। মাত্র দু’তিন মিনিটের হাঁটা পথ।
সুসান বিসেলের অফিসে সেদিন আমার সঙ্গে ছিলেন আমাদের স্থায়ী মিশনের ইকোনমিক মিনিস্টার বরুণ দেব মিত্র। এখানে এই দায়িত্বে আসার আগে তিনিই বাংলাদেশের সরকারের খাদ্য সচিব ছিলেন। বাংলাদেশে তার এত বড় সাম্রাজ্য ত্যাগ করে এখানে নিউইয়র্কে তার এই দায়িত্ব গ্রহণের কারণ বোধহয় তার স্ত্রী রাখী মিত্র। ভদ্রমহিলা ঢাকার ‘ইউনিসেফ’ অফিসে কাজ করতেন, এখন নিউইয়র্কের সদর দফতরে। স্ত্রী, প্রেমিকার টানে দুনিয়ার কত জায়গায় যুগে যুগে কত ত্যাগই না কত পুরুষ করেছেন। বরুণ মিত্রের স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা সম্রাট শাজাহানের তাজমহল নির্মাণের মতো কিছু নয়, তবে ত্যাগ অবশ্যই।
আমরা দু’জন হাঁটতে হাঁটতে ইউনিসেফ সদর দফতরে পৌঁছলাম ঠিকই, কিন্তু হাঁটু সমান গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকতে পারছিলাম না। জাতিসংঘ থেকে আমাকে আমার ছবিসহ যে আইডি দেয়া হয়েছে, তা গ্রাউন্ড ফ্লোরের গেটের ওপর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে বা ছোঁয়া দিলেই হাঁটু সমান গেট আপনা-আপনি খুলে যাবে, তারপরই উপরের এক কামরায় সুুসান বিসেলের কামরায় যাব; তাই নিয়ম। জাতিসংঘের সদর দফতরে এমন করেই বারবার ঢুকেছি। নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি এত বেশি যে জাতিসংঘে ঢুকতে হলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই ঢুকতে হয়। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে ‘ইউনিসেফ’ সদর দফতরে ঢুকতে এই পদ্ধতি কাজ করছিল না।
পাশেই রিসেপশন, দু’তিন জওয়ান উপবিষ্ট, মনে হল পাকিস্তানি। তারাও চেষ্টা করল। তাতেও কাজ হচ্ছিল না। তারা কম্পিউটারে কী সব কয়েকবার টেপাটিপি করল। কিন্তু ‘নো সাকসেস’। তখন তারা প্রস্তাব করল, আমাদের ছবি তুলতে হবে, গেট দিয়ে ঢুকতে হলে এখন অন্য এক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তাই মেনে নিলাম। কাউন্টারে আগে ফিট করা ছোট্ট একটি ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়, তারপর কয়েক সেকেন্ডের ফরমালিটি। রিসেপশনের ওরা দুঃখ প্রকাশ করল গেটও খুলে গেল।
বললাম আমি, দুঃখ প্রকাশ করার কিছু নেই। আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জার্মানির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেলকেও বোধ হয় একজন আমেরিকাবিরোধী হিসেবে সন্দেহ করে। তাই এঙ্গেলা মারকেলের টেলিফোনের কথাবার্তাও আড়িপেতে রেকর্ড করে আমেরিকানরা সম্প্রতি ধরা খেয়েছে, আর এখন মাফও চাইছে। আমরা অর্ডিনারি মরণশীল মানুষ কোন ছার!

No comments

Powered by Blogger.