স্নোডেনের প্রতি কোন দেশের মনোভাব কী

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন অন্তত ২৭টি দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তবে মাত্র তিনটি লাতিন দেশ মস্কোর বিমানবন্দরের ট্র্যানজিট এলাকায় আটকে থাকা স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আশ্রয় প্রার্থনা করে বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সাড়া পেয়েছেন স্নোডেন। নিচে এগুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
যারা আশ্রয় দিতে চায়:
ভেনেজুয়েলা: স্নোডেনকে ‘মানবিক কারণে’ আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। তিনি বলেছেন, স্নোডেনকে উত্তর আমেরিকা, তথা যুক্তরাষ্ট্রের ‘সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হয়রানি’ থেকে রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারাকাস।
নিকারাগুয়া: প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগা বলেছেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে’ স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়া হবে। তিনি বলেন, নিকারাগুয়া একটি মুক্ত দেশ এবং দেশটি রাজনৈতিক আশ্রয়ের অধিকারকে শ্রদ্ধা করে।
বলিভিয়া: প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস বলেছেন, স্নোডেন চাইলে বলিভিয়া তাঁকে আশ্রয় দেবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র স্নোডেনকে হয়রানি করছে।
সাড়া দেয়নি যারা:
কিউবা, আইসল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইতালি ও সুইজারল্যান্ড স্নোডেনের আবেদনের ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি। এর মধ্যে কিউবার নেতা রাউল কাস্ত্রো বলেছেন, স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে লাতিন দেশগুলোর সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর সমর্থন আছে। আর আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের আইন অনুযায়ী কেউ এসব দেশে আশ্রয় চাইলে তাঁকে ওই ভূখণ্ডে পৌঁছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হয়। স্নোডেনের জন্য এখন আপাতদৃষ্টিতে যা অসম্ভব।
আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে নয় যারা:
এই তালিকায় আছে ব্রাজিল, ইকুয়েডর, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ভারত, চীন ও রাশিয়া। এর মধ্যে অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের আইন অনুযায়ী কেউ এসব দেশে আশ্রয় চাইলে তাঁকে ওই ভূখণ্ডে পৌঁছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হয়।
ব্রাজিল: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, তাঁরা স্নোডেনের আশ্রয় প্রার্থনার আবেদনের কোনো জবাব দেবেন না।
ইকুয়েডর: পরিস্থিতি দেখে অনেকে প্রথমে মনে করেছিলেন স্নোডেন এ দেশেই যাচ্ছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া বলেছেন, স্নোডেনকে সহায়তা করার প্রস্তাব ছিল ‘একটি ভুল’ সিদ্ধান্ত।
ভারত: ওয়াশিংটন পোস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানায়, স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার কোনো কারণ দেখছে না নয়াদিল্লি।
উল্লিখিত ২১ দেশ বাদে স্নোডেন যে আরও ছয়টি দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে বিবেচনায় সেগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.