বাজেট ও সরকারের চ্যালেঞ্জ-দূর করতে হবে মূল্যস্ফীতি
বাজেট আসছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব করা হবে, তার আকার বেশ বড় হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে তেমনটি বলা হয়েছে। জানা গেছে, এবারের বাজেটের আকার হবে প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটে আগামী অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। অন্যদিকে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ শতাংশ।
আমাদের দেশে বাজেট আসার আগে কয়েকটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, বাজেট আসার আগেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে। বাজার থেকে কিছু পণ্য উধাও হয়ে যায়। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশেষত অর্থনীতি বিষয়ে কাজ করে এমন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাজেট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা করে থাকে।
আমাদের দেশে দেখা যায়, সব সময় বাজেট হয় বিদেশি সাহায্যনির্ভর। বাজেটের অর্থ বরাদ্দের একটি বড় অংশ জুড়েই থাকে বৈদেশিক সাহায্য। সেই বৈদেশিক সাহায্যের সিংহভাগই আবার প্রতিশ্রুতিনির্ভর। যে কারণে দেখা যায়, বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয় না। এক বছরের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বরাদ্দ চলে যায় আরেক বছরের বাজেটে। গত কয়েক বছর ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি রোধ করাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি রোধ করা না গেলে তার চাপ সরাসরি এসে পড়ে ভোক্তা পর্যায়ে। বৈরী বৈশ্বিক পরিস্থিতিও আমাদের মতো একটি দরিদ্র দেশের মূল্যস্ফীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। সরকারকে এসব বিষয়ে লক্ষ রাখতে হয়। লক্ষ রাখতে হয় সমস্যা ও সংকটের দিকে।
সাধারণ অর্থে বাজেট একটি দেশের সারা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাবের দলিল। সেদিক থেকে বাজেট নিয়ে শুধু সংসদে নয়, সংসদের বাইরেও উন্মুক্ত আলোচনা হবে। অর্থনীতিবিদরা বাজেটের নানা দিক বিশ্লেষণ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল সে বিষয়গুলো বিবেচনা করবে বলেই আশা করা হয়। সম্প্রতি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক আলোচনায় কয়েকটি দিক সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। সিপিডির মতে, মূল্যস্ফীতি, টাকার মান হ্রাস ও সুদের হার আগামী বছরের জন্য চিন্তার কারণ হবে। সিপিডির মতে, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। খাদ্য মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার নেপথ্যের কারণ বলে মনে করে সিপিডি।
সিপিডির এ মূল্যায়নকে অত্যন্ত অন্যায়, দুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর এ প্রতিক্রিয়ায় অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিপিডির নিজস্ব পর্যবেক্ষণ থাকতেই পারে। সে পর্যবেক্ষণ প্রকাশের স্বাধীনতাও প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে। এভাবে প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে যুক্তি দিয়ে সিপিডির অভিমত খণ্ডন করা যেত। ভলতেয়ার বলেছেন, 'তোমার সঙ্গে আমার মতের যোজন ফারাক থাকতে পারে, কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি জীবন দেব।'
এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে সমস্যার অন্ত নেই। আমাদের এখানে মূল্যস্ফীতি রোধ করা যায়নি, এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। নিশ্চিত করা যায়নি খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন ও সমবণ্টন। গ্যাস-বিদ্যুৎ-অবকাঠামো খাতে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। দেশের সমস্যা ও সংকট বিবেচনায় নিয়েই আগামী দিনের পথনির্দেশনা তৈরি করতে হবে, বাজেটে এর প্রতিফলন থাকবে, এমনটি আশা করা যেতেই পারে।
আমাদের দেশে বাজেট আসার আগে কয়েকটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, বাজেট আসার আগেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে। বাজার থেকে কিছু পণ্য উধাও হয়ে যায়। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশেষত অর্থনীতি বিষয়ে কাজ করে এমন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাজেট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা করে থাকে।
আমাদের দেশে দেখা যায়, সব সময় বাজেট হয় বিদেশি সাহায্যনির্ভর। বাজেটের অর্থ বরাদ্দের একটি বড় অংশ জুড়েই থাকে বৈদেশিক সাহায্য। সেই বৈদেশিক সাহায্যের সিংহভাগই আবার প্রতিশ্রুতিনির্ভর। যে কারণে দেখা যায়, বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয় না। এক বছরের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বরাদ্দ চলে যায় আরেক বছরের বাজেটে। গত কয়েক বছর ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি রোধ করাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি রোধ করা না গেলে তার চাপ সরাসরি এসে পড়ে ভোক্তা পর্যায়ে। বৈরী বৈশ্বিক পরিস্থিতিও আমাদের মতো একটি দরিদ্র দেশের মূল্যস্ফীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। সরকারকে এসব বিষয়ে লক্ষ রাখতে হয়। লক্ষ রাখতে হয় সমস্যা ও সংকটের দিকে।
সাধারণ অর্থে বাজেট একটি দেশের সারা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাবের দলিল। সেদিক থেকে বাজেট নিয়ে শুধু সংসদে নয়, সংসদের বাইরেও উন্মুক্ত আলোচনা হবে। অর্থনীতিবিদরা বাজেটের নানা দিক বিশ্লেষণ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল সে বিষয়গুলো বিবেচনা করবে বলেই আশা করা হয়। সম্প্রতি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক আলোচনায় কয়েকটি দিক সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। সিপিডির মতে, মূল্যস্ফীতি, টাকার মান হ্রাস ও সুদের হার আগামী বছরের জন্য চিন্তার কারণ হবে। সিপিডির মতে, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। খাদ্য মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার নেপথ্যের কারণ বলে মনে করে সিপিডি।
সিপিডির এ মূল্যায়নকে অত্যন্ত অন্যায়, দুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর এ প্রতিক্রিয়ায় অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিপিডির নিজস্ব পর্যবেক্ষণ থাকতেই পারে। সে পর্যবেক্ষণ প্রকাশের স্বাধীনতাও প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে। এভাবে প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে যুক্তি দিয়ে সিপিডির অভিমত খণ্ডন করা যেত। ভলতেয়ার বলেছেন, 'তোমার সঙ্গে আমার মতের যোজন ফারাক থাকতে পারে, কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি জীবন দেব।'
এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে সমস্যার অন্ত নেই। আমাদের এখানে মূল্যস্ফীতি রোধ করা যায়নি, এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। নিশ্চিত করা যায়নি খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন ও সমবণ্টন। গ্যাস-বিদ্যুৎ-অবকাঠামো খাতে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। দেশের সমস্যা ও সংকট বিবেচনায় নিয়েই আগামী দিনের পথনির্দেশনা তৈরি করতে হবে, বাজেটে এর প্রতিফলন থাকবে, এমনটি আশা করা যেতেই পারে।
No comments