পবিত্র কোরআনের আলো-যারা আল্লাহর পথে হিজরত ও জিহাদ করেছে তাদের মর্যাদা অনেক ওপরে
৯৫. লা-ইয়াছ্তাওয়িল ক্বা-য়ি'দূনা মিনাল মু'মিনীনা গাইরা উলিদ্ দ্বারারি ওয়ালমুজা-হিদূনা ফী ছাবীলিল্লাহি বিআমওয়া-লিহিম ওয়া আনফুছিহিম; ফাদ্বালাল্লাহুল মুজা-হিদীনা বিআমওয়া-লিহিম ওয়া আনফুছিহিম আ'লাল ক্বা-য়ি'দীনা দারাজাতান; ওয়া কুল্লান ওয়াআ'দাল্লা-হুল হুছনা; ওয়া ফাদ্দ্বালাল্লাহুল মুজা-হিদীনা আ'লাল ক্বা-য়িদীনা আজরান আ'যীমা।
৯৬. দারাজাতিম্ মিনহু ওয়া মাগফিরাতান ওয়া রাহ্মাতান; ওয়া কা-নাল্লাহু গাফূরার্ রাহীমা।
৯৬. দারাজাতিম্ মিনহু ওয়া মাগফিরাতান ওয়া রাহ্মাতান; ওয়া কা-নাল্লাহু গাফূরার্ রাহীমা।
৯৭. ইন্নাল্লাযীনা তাওয়াফ্ফা-হুমুল মালা-ইকাতু য্বা-লিমী আনফুছিহিম ক্বা-লূ ফীমা কুনতুম; ক্বা-লূ কুন্না মুছতাদ্বআ'ফীনা ফিল আরদ্বি; ক্বা-লূ আলাম তাকুন আরদ্বুল্লাহি ওয়া-ছিআ'তান ফাতুহাজিরূ ফীহা; ফাউলা-ইকা মা'ওয়া-হুম জাহান্নামু ওয়া ছা-আত্ মাসীরা। [সুরা : আন নিসা, আয়াত : ৯৫-৯৭]
অনুবাদ : ৯৫. মুমিনদের মধ্যে যারা কোনো রকম অক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও জিহাদে না গিয়ে ঘরে বসে থেকেছে, আর যারা নিজেদের জানমাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, এরা উভয়ে সমান নয়। ঘরে বসে থাকা লোকদের তুলনায় যারা নিজেদের জানমাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, তাদের আল্লাহ তায়ালা উঁচু মর্যাদা দান করেছেন। এদের সবার জন্য আল্লাহ তায়ালা উত্তম প্রতিদানের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা জিহাদে না গিয়ে ঘরে বসে থাকা লোকদের ওপর মুজাহিদদের আনেক শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
৯৬. এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে স্বয়ং আল্লাহর পক্ষ থেকে আর এর সঙ্গে রয়েছে তাঁর ক্ষমা ও দয়া। আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
৯৭. যাদের প্রাণসংহারের জন্য মৃত্যুর ফেরেশতারা এসে হাজির হবে, অথচ তারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছে অর্থাৎ অসত্য ও অন্যায়ের সঙ্গে ছিল_ফেরেশতারা বলবেন, তোমরা সেখানে কিভাবে ছিলে, তারা বলবে, আমরা পৃথিবীতে দুর্বল ছিলাম। তখন ফেরেশতারা বলবে, কেন, আল্লাহর পৃথিবী কী প্রশস্ত ছিল না? তোমরা তো ইচ্ছা করলে যেখানে সেখানে চলে যেতে পারতে।
এরা হচ্ছে সেই সব লোক, যাদের আবাসস্থল জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্টতম স্থান!
ব্যাখ্যা : যারা আল্লাহর পথে হিজরত করেছে এবং ইসলাম রক্ষার প্রয়োজনে জিহাদ করেছে, তাদের উচ্চ মর্যাদার কথা বলা হয়েছে এসব আয়াতে।
পাশাপাশি সক্ষম ও সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও তারা জিহাদে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে অথবা ধনসম্পত্তির মায়ায় বা প্রাণনাশের ভয়ে নিজের ইসলাম গ্রহণের কথা কাফেরদের কাছে গোপন করে তাদের সঙ্গে বসবাস করছে। অক্ষম, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের প্রতি যুদ্ধের কোনো দায়িত্ব নেই। কিন্তু সক্ষমদের মধ্যে যারা ঘরে বসে থেকেছে এবং যারা জিহাদে অংশ নিয়েছে, তারা অবশ্যই সমান নয়। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আল্লাহ অনেক উঁচু মর্যাদার স্থান নির্ধারণ করে রেখেছেন এবং তাদের অনেক প্রাপ্য রয়েছে।
৯৭ নম্বর আয়াতের শানে নুজুল এ রকম_মক্কায় এমন কিছু মুসলমান ছিল যাদের সৎসাহস ছিল না ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করার। তারা ভেতরে ভেতরে ইসলাম গ্রহণ করেছিল ঠিকই, কিন্তু কাফেরদের অত্যাচারের ভয়ে সে কথা গোপন করছিল। পরিস্থিতির চাপে পড়ে তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেও বাধ্য হয়েছিল এবং তাদের কেউ কেউ সে যুদ্ধে মারাও গিয়েছিল। সৎসাহসের অভাবে তারা ইমান আনা সত্ত্বেও ইমানি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের সম্বন্ধেই এ আয়াতটি নাজিল হয়েছে। এ আয়াতে নিজেদের ওপর অত্যাচার করা বলতে এই ব্যর্থতার কথাই বলা হয়েছে। এ আয়াতে তাদের মৃত্যুকালের করুণ অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে, ফেরেশতারা যখন তাদের প্রশ্ন করবে তখন তারা বলবে, আমরা দুনিয়ায় দুর্বল ছিলাম। এ ধরনের দুর্বলতাকে তাদের পাপ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। এ ধরনের দুর্বল মুসলমানদের জন্য পরকালেও শাস্তি রয়েছে। এ কথাই এ আয়াতে বলা হয়েছে। তবে শাস্তি প্রদানের পর মুসলমানদের আল্লাহ ক্ষমা করবেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৯৫. মুমিনদের মধ্যে যারা কোনো রকম অক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও জিহাদে না গিয়ে ঘরে বসে থেকেছে, আর যারা নিজেদের জানমাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, এরা উভয়ে সমান নয়। ঘরে বসে থাকা লোকদের তুলনায় যারা নিজেদের জানমাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, তাদের আল্লাহ তায়ালা উঁচু মর্যাদা দান করেছেন। এদের সবার জন্য আল্লাহ তায়ালা উত্তম প্রতিদানের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা জিহাদে না গিয়ে ঘরে বসে থাকা লোকদের ওপর মুজাহিদদের আনেক শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
৯৬. এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে স্বয়ং আল্লাহর পক্ষ থেকে আর এর সঙ্গে রয়েছে তাঁর ক্ষমা ও দয়া। আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
৯৭. যাদের প্রাণসংহারের জন্য মৃত্যুর ফেরেশতারা এসে হাজির হবে, অথচ তারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছে অর্থাৎ অসত্য ও অন্যায়ের সঙ্গে ছিল_ফেরেশতারা বলবেন, তোমরা সেখানে কিভাবে ছিলে, তারা বলবে, আমরা পৃথিবীতে দুর্বল ছিলাম। তখন ফেরেশতারা বলবে, কেন, আল্লাহর পৃথিবী কী প্রশস্ত ছিল না? তোমরা তো ইচ্ছা করলে যেখানে সেখানে চলে যেতে পারতে।
এরা হচ্ছে সেই সব লোক, যাদের আবাসস্থল জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্টতম স্থান!
ব্যাখ্যা : যারা আল্লাহর পথে হিজরত করেছে এবং ইসলাম রক্ষার প্রয়োজনে জিহাদ করেছে, তাদের উচ্চ মর্যাদার কথা বলা হয়েছে এসব আয়াতে।
পাশাপাশি সক্ষম ও সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও তারা জিহাদে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে অথবা ধনসম্পত্তির মায়ায় বা প্রাণনাশের ভয়ে নিজের ইসলাম গ্রহণের কথা কাফেরদের কাছে গোপন করে তাদের সঙ্গে বসবাস করছে। অক্ষম, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের প্রতি যুদ্ধের কোনো দায়িত্ব নেই। কিন্তু সক্ষমদের মধ্যে যারা ঘরে বসে থেকেছে এবং যারা জিহাদে অংশ নিয়েছে, তারা অবশ্যই সমান নয়। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আল্লাহ অনেক উঁচু মর্যাদার স্থান নির্ধারণ করে রেখেছেন এবং তাদের অনেক প্রাপ্য রয়েছে।
৯৭ নম্বর আয়াতের শানে নুজুল এ রকম_মক্কায় এমন কিছু মুসলমান ছিল যাদের সৎসাহস ছিল না ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করার। তারা ভেতরে ভেতরে ইসলাম গ্রহণ করেছিল ঠিকই, কিন্তু কাফেরদের অত্যাচারের ভয়ে সে কথা গোপন করছিল। পরিস্থিতির চাপে পড়ে তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেও বাধ্য হয়েছিল এবং তাদের কেউ কেউ সে যুদ্ধে মারাও গিয়েছিল। সৎসাহসের অভাবে তারা ইমান আনা সত্ত্বেও ইমানি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের সম্বন্ধেই এ আয়াতটি নাজিল হয়েছে। এ আয়াতে নিজেদের ওপর অত্যাচার করা বলতে এই ব্যর্থতার কথাই বলা হয়েছে। এ আয়াতে তাদের মৃত্যুকালের করুণ অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে, ফেরেশতারা যখন তাদের প্রশ্ন করবে তখন তারা বলবে, আমরা দুনিয়ায় দুর্বল ছিলাম। এ ধরনের দুর্বলতাকে তাদের পাপ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। এ ধরনের দুর্বল মুসলমানদের জন্য পরকালেও শাস্তি রয়েছে। এ কথাই এ আয়াতে বলা হয়েছে। তবে শাস্তি প্রদানের পর মুসলমানদের আল্লাহ ক্ষমা করবেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments